সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

রাজনীতি লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মাদকের শাস্তি কি ক্রসফায়ার বা হত্যা?

বাংলাদেশের মতো একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রে মদ বিক্রি বা খাওয়ার অভিযোগে গত দশ দিনে ৫৪ জন মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। অথচ, একটি ইসলামী রাষ্ট্রে মদ বিক্রি বা মদ খাওয়ার অপরাধে কাউকে ক্রসফায়ার বা হত্যা করা হতো না। মদকে নিষিদ্ধ করার জন্যে কোর'আনে তিনটি ধাপ অবলম্বন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে বলা হয়েছে যে, মদের মধ্যে কিছু উপকারিতা আছে, তবে মদের ক্ষতি অনেক বেশি। [সূত্র - ২:২১৯] এর অনেকদিন পর, দ্বিতীয় ধাপে বলা হয়েছে যে, তোমরা মদ খেয়ে নামাজ পড়তে এসো না। [সূত্র - ৪:৪৩]। এর অনেকদিন পর, তৃ তীয় ধাপে বলা হয়েছে যে, মদ খাওয়া হচ্ছে শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা মদ খাওয়া পরিত্যাগ করো। [সূত্র - ৫:৯০, ৯১] দেখুন, একটি ইসলামী রাষ্ট্রে মদ বিক্রি বা খাওয়ার অপরাধে কাউকে হত্যা করার আদেশ দেয়া হচ্ছে না, বরং অনেক ধাপে ধাপে, আস্তে আস্তে মানুষকে মদ থেকে দূরে সরিয়ে আনা হচ্ছে। কিন্তু, একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র কতটা নির্মম হলে মদ বিক্রি বা খাওয়ার অভিযোগে মানুষকে হত্যা করতে পারে? ধরুন, আজকে বাংলাদেশে যদি কোনো ইসলামী সরকার থাকতো, এবং মদ বিক্রি বা খাওয়ার অপরাধে কাউকে হত্যা করা হতো, তখন সারাবিশ্বের সেক্যুলারগণ ইসলামের বিরুদ্ধে য...

সেহরিতে ডাকার সংস্কৃতি

ফেইসবুকে এক সেক্যুলার বন্ধু লিখেছেন - "রোজা রাখার জন্যে কিন্তু আসলেই শেষ রাইতে মাইকে হাক ডাক দিয়া সবার ঘুম ভাঙানো জরুরি নয়। বাংলাদেশ ছাড়া দুনিয়ার আর কোন দেশের মুসলমানরা এমন বাজে কাজ করে কি? " ভদ্রলোক থাকেন নেদারল্যান্ডসে। বাংলাদেশের মাইকে ডাকাডাকি শুনে নেদারল্যান্ডস থেকে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়, তাই তিনি এ নিয়ে খুব চিন্তিত। যাই হোক, চিন্তা করার স্বাধীনতা সবার আছে, চিন্তা করুক। কিন্তু, উনি যে বাজে কথাটি বলেছেন, তা হলো, "বাংলাদেশ ছাড়া দুনিয়ার আর কোন দেশের মুসলমানরা এমন বাজে কাজ করে কি? " ভদ্রলোকের মতো অনেকেই না জেনে এ প্রশ্নটি করেন। প্রায় সব মুসলিম দেশেই রাতে সেহরির জন্যে ডাকা হয়। যেমন আমি তুরস্কের কথা বলতে পারি। রাতে সেহরির জন্যে ডাকাডাকি করাটা তুরস্কের অন্যতম একটি কালচার। মধ্যরাতে মানুষকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্যে তুরস্কের প্রতিটি মহল্লায় কিছু স্বেচ্ছাসেবক ঢোল নিয়ে রাস্তায় নামে যায়। প্রত্যেক বিল্ডিং, বাসা ও ঘরের সামনে গিয়ে গিয়ে তাঁরা ঢোল বাজাতে থাকে, এবং মানুষকে ঘুম থেকে জাগতে বলে। এখানে কয়েকটি ভিডিও দেখুন।

হুকুম ও হিকমাহ-এর সম্পর্ক

তিউনিসিয়ার রশিদ ঘানুশী, তুরস্কের এরদোয়ান, এবং মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদকে দেখতে পারেন না আমাদের অনেক 'জিহাদি' ভাইয়েরা। এসব 'জিহাদি' ভাইদের যুক্তি হলো, ঘানুশী, এরদোয়া ও মাহাথিররা হলেন হিকমতপন্থী, শরিয়াহর হুকুমপন্থী নয়। কোর’আনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা রয়েছে; ১) হুকুম (حكم), ২) হিকমাহ (حكمة)। 'হুকুম' ও 'হিকমাহ' পরিভাষা দুটি একই শব্দমূল থেকে এসেছে, তাই হুকুম ও হিকমাহ একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। হুকুম মানে আল্লাহর আদেশ, যা বাস্তবায়ন করা মুসলিমদের জন্যে ফরজ; আর, হিকমাহ  মানে হুকুম বাস্তবায়ন করার কৌশল। ‘জিহাদি’ ভাইয়েরা শরিয়াহর হুকুম বাস্তবায়ন করতে চান, কিন্তু হিকমাহ বা কৌশল অবলম্বন করতে চান না। অর্থাৎ, তাঁরা কোর’আনের একটি হুকুমকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আরেকটি হুকুমকে অর্থাৎ হিকমাহকে অবজ্ঞা করেন। ‘জিহাদি’ ভাইয়েরা বলেন, “সৃষ্টি যার আইন তাঁর; সুতরাং আল্লাহ যা বলবেন, তাই হবে; এখানে আবার হিকমাহ অবলম্বন করতে হবে কেন?”

বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের প্রাথমিক কাজ - শহর পরিচ্ছন্ন করা

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা চায় ইসলামী শরীয়ত বাস্তবায়ন করতে। ইসলামী শরিয়তের আলোচনা করা হয় জ্ঞানের যে শাখায়, তার নাম ফিকহ। ফিকহের সকল গ্রন্থ শুরু হয় পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার আলোচনা দিয়ে। অর্থাৎ, ইসলামী শরিয়ত বাস্তবায়নের জন্যে প্রথম কাজ হলো পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা। এরদোয়ান ১৯৯৪ সালের ২৭ মার্চ যেদিন ইস্তানবুলের মেয়র হয়েছিলেন, সেদিন রাতের অন্ধকারে তিনি ও তাঁর সমর্থকরা সারা ইস্তানবুল শহরকে আবর্জনামুক্ত করে ফেললেন। ফলে সকালবেলা ইস্তানবুল শহরের লোকজন ঘুম থেকে উঠে অবাক হয়ে গেলেন। এর পর থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে এরদোয়ানের জনপ্রিয়তা ও বিশ্বস্ততা বাড়তে শুরু করে। এক রাতেই ইস্তানবুল শহরকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করে ফেলার পরিকল্পনাটি হঠাৎকরে এরদোয়ানের মাথায় আসেনি। এর জন্যে তাকে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়েছিলো। তিনি যখন তুরস্কের ইসলামী আন্দোলনে অর্থাৎ রেফা পার্টিতে ইস্তানবুল শহরের দায়িত্ব পান, তখন থেকেই তাঁর প্রধান কর্মসূচি ছিলো নিজ নিজ এলাকাকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা। তখন রেফা পার্টির কর্মীদের জন্যে বাধ্যবাধকতা ছিলো যে, কেউ বিস্কুট খেয়ে খালি প্যাকেট রাস্তায় ফেলতে পারবে না, বরং পকেটে রাখবে; এরপর ডাস...

ইসলামী আইডোলজি প্রচারের জন্যে কি প্রয়োজন?

আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলেই যেমন দেশের সব মানুষ আওয়ামীলীগ হয়ে যায় না, তেমন ইসলামী দল ক্ষমতায় আসলেও দেশের সব মানুষ ভালো হয়ে যাবে না। ক্ষমতা মানুষকে সর্বোচ্চ মুনাফেক বানাতে পারে, মুমিন নয়। ইসলামী রাজনীতির সাথে অন্য রাজনীতির পার্থক্য হলো, ইসলামী রাজনীতিতে ভালোবাসা থাকে ক্ষমতার ঊর্ধ্বে, আর অন্য রাজনীতিতে ক্ষমতা থাকে ভালোবাসার ঊর্ধ্বে। উদাহরণ স্বরূপ আমাদের মা-বাবাকে লক্ষ্য করুন। তাঁরা আমাদের যতই শাসন করুক না কেনো, তাঁদের ভালোবাসা থাকে শাসনের ঊর্ধ্বে। তেমনি ইসলামী রাজনীতির কাজ হলো দে শের সব মানুষকে ভালোবাসা। ভালোবাসার জন্যেই মাঝে মাঝে হয়তো শাসন করতে হয়, কিন্তু, শাসন কখনোই ভালোবাসার ঊর্ধ্বে যেতে পারে না। যারা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চান, তাঁরা মূলত ভালোবাসাহীন ক্ষমতা দিয়ে দেশের সব মানুষকে ভালো বানিয়ে ফেলতে চান। কিন্তু এটা অসম্ভব। কেবল ক্ষমতা দিয়ে মানুষকে পরিবর্তন করা যায় না। মানুষকে পরিবর্তন করতে হয় ভালোবাসা দিয়ে। আর, কাউকে ভালোবাসার জন্যে ক্ষমতার প্রয়োজন হয় না।

এরদোয়ানের রাষ্ট্র দর্শন

আদালতের সংজ্ঞা বিচারপতিদের এক বৈঠকে এরদোয়ান বলেন – "আদালত হলো রাষ্ট্রের ছাদ। আদালতের কাজ সম্পর্কে পৃথিবীতে অনেকে দার্শনিক ও রাজনীতিবিদ কথা বলেছেন। তবে সবচেয়ে মূল্যবান কথা বলেছেন মাওলানা জালাল উদ্দিন রূমি"। মাওলানা জালাল উদ্দিন রূমি বলেছেন – “জুতাকে পায়ের নিচে রাখা, আর টুপিকে মাথার উপর রাখা-ই আদালতের কাজ। যখন টুপিকে পায়ের নিচে রাখা হয়, এবং জুতাকে মাথার উপর রাখা হয়, তখন আদালত ভেঙ্গে পড়ে। তিনি আরো বলেন, নায় বিচার হলো গাছে পানি দেয়া, আর, জুলুম হলো আগাছায় পানি দেয়া।” এরদোয়ান বলেন – "আদালতের কাজ হলো, যে যা প্রাপ্য, তাকে সেটা বুঝিয়ে দেয়া। আর, জুলুম হলো, যে যা প্রাপ্য, তাকে সেটা না দেওয়া। দেশে যখন আদালত প্রতিষ্ঠা থাকে, তখন দেশে শান্তি থাকে। কিন্তু যখন আদালত ভেঙ্গে পড়ে, তখন দেশে অশান্তি শুরু হয়"। ২০১৮ এর নির্বাচনে এরদোয়ান দুটি অর্থনৈতিক ইশতিহার ১) সুদকে শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসা। এরদোয়ানের মতে, সূদের পরিমাণ যতো বাড়ে, দ্রব্যমূল্যের দামও তত বাড়ে; এবং সূদের পরিমাণ যতো কমে দ্রব্যমূল্যের দামও তত কমে। এরদোয়ান যখন ক্ষমতায় আসেন তখন শতকরা সুদ ছিলো ৬৩ টাকা। কিন্তু ২০১৩ সালে সুদের পরিম...

তুরস্কের শিশু দিবস

বাংলাদেশের শিশু দিবসের সাথে তুরস্কের দিবসের অনেক পার্থক্য রয়েছে। ১) বিশ্বের প্রথম শিশু দিবস উদযাপন হয় তুরস্কে। তুরস্কের জাতির পিতা মোস্তফা কামাল ১৯২০ সালের ২৩ এপ্রিল প্রথম এ দিবসটি শুরু করেন। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিশু দিবস পালন করা শুরু হয়। তার ধারাবাহিকতায়, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে প্রথম শিশু দিবস চালু করা হয়। ২) তুরস্কে যেদিন সংসদ ভবন প্রথম চালু করা হয়েছিলো, এবং যেদিন জনগণ প্রথম নিজেদের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করেছিলো, সেদিনকে তারা শিশু দিবস হিসাবে উদযাপন করে। কিন্তু বাংলাদেশে যেদিন জাতীর জনক জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সে দিনকে শিশু দিবস হিসাবে পালন করা হয়। ৩) তুরস্কের জাতীর জনক এ উদ্দেশে শিশু দিবস ঘোষণা করেছিলেন যে, আগামীদিনের শিশুরা যাতে তুর্কি জাতির নেতৃত্ব গ্রহণ করতে পারে। তিনি সত্যিকারভাবে শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই দিনটিকে শিশু দিবস ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশে শিশু দিবস পালন করা হয় রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক কারণে। অর্থাৎ, শিশুরা যাতে জাতীর জনককে ভুলে না যায়, তাই তাঁর জন্মদিনে শিশু দিবস পালন করা হয়। ৪) তুরস্কে শিশু দিবস পালন করার জন্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, সেনা বাহিনীর প্র...

নারী নির্যাতন রুখতে বডিগার্ড

জাফর ইকবালের উপর ছোট্ট একটা হামলা হবার পর তাঁর জন্যে সরকার একাধিক বডিগার্ড নিয়োগ করেছে। জাফর ইকবাল যেহেতু সরকারের দালালি করেন, তাই তাঁর জীবনের মূল্য আছে, ফলে তাঁর জন্যে বডিগার্ডেরও প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমাদের মতো সাধারণ জনগণের জীবনের কোনো মূল্য নেই, তাই আমাদের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করে না সরকার। আর, এ কারণে আমাদের কোনো বডিগার্ডও নেই। অথচ, যে কোনো সরকারের প্রধান কাজ হলো জনগণের সম্পদ, সম্মান ও জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করা। কিন্তু আমাদের ব্যর্থ ও স্বৈরাচারী সরকার জনগণের নিরাপত্তা না দিয়ে নিজেদের মন্ত্রী, এমপি এবং বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্যে বডিগার্ডের ব্যবস্থা করে রেখেছে। যাই হোক, কোনো সরকার জনগণের সম্পদ, সম্মান ও জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারলো কি পারলো না, ইসলাম সে জন্যে বসে থাকে না। ইসলাম নিজেই মানুষের সম্পদ, সম্মান ও জীবনের নিরাপত্তা দেয়ার জন্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইসলাম যেহেতু নারীদের অনেক বেশী সম্মান প্রদান করে, তাই ইসলাম নারীদের জন্যে বডিগার্ড নিয়োগ করে দিয়েছে। ইসলাম বলে, কোনো নারী যখন অনিরাপদ পথে বের হবে, তখন অবশ্যই একজন বিনা পারিশ্রমিক বডিগার্ড অর্থাৎ জীবনসঙ্গী, স...

উসমানী খেলাফতের বিচার ব্যবস্থা

[১] উসমানী খেলাফত হলো মুসলিমদের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের খেলাফত। পৃথিবীর বিশাল একটি অঞ্চল প্রায় ৬২৫ বছর তাদের অধীনে ছিলো। এর অন্যতম একটি কারণ হলো, উসমানী খেলাফতের আইন, কানুন ও বিচার ব্যবস্থা ছিলো তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত। ব্রিটেন ও ফ্রান্স সহ তৎকালীন ইউরোপের অনেক দেশ উসমানী খেলাফতের আইন-কানুন ও বিচার ব্যবস্থা শেখার জন্যে ইস্তাম্বুলে আসতো, এবং নিজেদের দেশে গিয়ে সেসব আইন-কানুন প্রয়োগ করতো। [২] উসমানী খেলাফতের অধীনে ইহুদি ও খ্রিষ্টান সহ সকল ধর্মাবলম্বীদের পূর্ণ স্বাধীনতা ছিলো। অমুসলিমদেরকে আল্লাহর আমানত হিসাবে বিবেচনা করা হতো। এবং মুসলিম ও অমুসলিমদেরকে সমান অধিকার প্রদান করা হতো। [৩] সুলতান মেহমেত ইস্তাম্বুল বিজয় করার পর খ্রিষ্টানদের সাথে একটি চুক্তি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে, ইস্তাম্বুল বিজয়ের আগে যেভাবে খ্রিষ্টানদের ইবাদাত ও সংস্কৃতি পালন করার স্বাধীনতা ছিলো, ইস্তাম্বুল বিজয়ের পরেও ঠিক একইভাবে খ্রিষ্টানদেরকে পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করা হবে। কেউ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। [৪] ‘সুলতান সুলাইমান’ সিরিয়াল থেকে এখানে একটি ছোট্ট ভিডিও সংযুক্ত করে...

ইসলামী রাজনীতির উদ্দেশ্য

ইসলামী রাজনীতির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো রাষ্ট্রে আদালত প্রতিষ্ঠা করা। এখানে আদালত প্রতিষ্ঠা করা মানে, আদালত নামের একটি দালান তৈরি করা নয়, বরং রাষ্ট্রের সকল জনগণকে তার ন্যায্য অধিকার দেওয়া। এ কারণে, আবু বকর (রা) খলিফা হবার পর অল্প কয়েকটি বাক্যে ইসলামী রাষ্ট্রের মূলনীতিগুলো বলে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন – والضعيف فيكم قوي عندي حتى أريح عليه حقه إن شاء الله، والقوى فيكم ضعيف حتى آخذ الحق منه إن شاء الله، “তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তি আমার কাছে সবচেয়ে শক্তিশালী, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তাঁর অধিকার ফিরিয়ে দিতে না পারি। এবং তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি আমার কাছে সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তি, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার থেকে অন্যের অধিকার না নিতে পারি।” অর্থাৎ, আবু বকর (রা)-এর সূত্র হলো, শক্তি বা ক্ষমতার কারণে কেউ অতিরিক্ত অধিকার বা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে না। কিন্তু, বর্তমানে আমাদের সমাজে তাকালে দেখবো, যাদের শক্তি ও ক্ষমতা বেশী, তাদের অধিকারও বেশী। যেমন, ১) সাধারণ ছাত্রদের তুলনায় অবৈধ কোটার অধিকার বেশী। ২) গরীব মানুষের তুলনায় ধনী লোকদের অধিকার বেশী। ৩) উপজাতি বা আদিবাসীদের তুলনায় বাঙ্গালীদের অধিক...

দারুল ইসলাম ও দারুল হরব - শায়েখ আবদুল্লাহ বিন বাইয়াহ

"সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ইসলামী রাষ্ট্রের ধারণা ও আইনের পরিবর্তন হয়। যেমন, রাসূল (স) এর হাদিসে এসেছে যে, ঘোড়ার উপর যাকাত নেই। কিন্তু যখন মানুষ ঘোড়া ক্রয়-বিক্রয় করতে শুরু করলো, তখন উমর (রা) ঘোড়ার উপর যাকাত নির্ধারণ করে দিলেন। একইভাবে জমির ফসলের উপর নির্ধারিত ভূমিকর বা খারাজের নিয়মেও উমর (রা) পরিবর্তন এনেছেন। চোরের হাত কাটার নিয়মও তিনি পরিবর্তন করেছেন। তিনি বলেছেন, দুর্ভিক্ষের সময়ে চোরের উপর কোনো শাস্তি প্রদান করা যাবে না। ইসলামের ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যা থেকে আমরা  জানতে পারি, সময়ের পরিবর্তনের সাথে ইসলামী আইনের পরিবর্তন হয়েছিলো। আগের যুগে ইসলামি ফিকহে 'দারুল ইসলাম' ও 'দারুল হরব' নামে দুটি ভাগ ছিলো, কিন্তু এখন আর তা নেই। এখন সমগ্র বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো একে অপরের সাথে এতটাই জড়িত যে, নতুন একটি রাষ্ট্রের ধারণা জন্ম নিয়েছে। তাই, 'দারুল ইসলাম' ও 'দারুল হরব' নামে এমন কোনো রাষ্ট্রের ধারনা এখন আর অবশিষ্ট নেই।" - শায়েখ আবদুল্লাহ বিন বাইয়াহ। সূত্র:  https://www.youtube.com/watch?v=rgBwGmfXi5E [৫৪ মিনিট থেকে। আরবি বক্তব্যের ইংরেজি অনুবাদ করেছেন শা...

ইসলামী শরিয়াহ ও রাজনীতি - শায়েখ হামজা ইউসুফ

"আধুনিক যুগের মুসলিমরা মনে করেন যে, ইসলাম হলো একটি রাজনৈতিক দর্শন। আসলে এটি জায়োনিস্টদের একটি দাবী। জায়োনিস্টরা ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন করার জন্যে ইহুদি ধর্মকে একটি রাজনৈতিক দর্শনে পরিবর্তন করে ফেলে। আধুনিক মুসলিমরা ইহুদি জায়োনিস্টদের অনুসরণ করছে। জায়োনিস্টরা যেমন ইহুদি রাষ্ট্র কায়েম করতে চেয়েছিলো, আধুনিক মুসলিমরাও তেমনি ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়। অথচ, রাসূল (স) কেয়ামতের একটি আলামত হিসাবে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যে, "মুসলিমরা তখন বনি ইসরাইল অনুসরণ করবে।" অনেকের ধারণা এমন যে, ইসলামী রাষ্ট্রে মানুষকে জোর করে ভালো মুসলিম বানানো যায়। আসলে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ইসলামে কখনো এমন কোনো ধারণার অস্তিত্ব ছিলো না, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। যদি কেউ মনে করে যে, রাষ্ট্র ও সরকারের মাধ্যমে ইসলামী শরিয়াহকে বাস্তবায়ন করতে হবে, তাহলে তিনি ভুল চিন্তা করছেন। কারণ আল্লাহ তায়ালা কোর'আনে বলছেন – وَلَوْ شَاءَ رَبُّكَ لَآمَنَ مَن فِي الْأَرْضِ كُلُّهُمْ جَمِيعًا ۚ أَفَأَنتَ تُكْرِهُ النَّاسَ حَتَّىٰ يَكُونُوا مُؤْمِنِينَ তোমার প্রভু ইচ্ছা করলে পৃথিবীর সকল মানুষ ঈমান গ্রহণ করতো। কিন্তু তুমি মানুষকে ...

মুসলিমরা অত্যাচারিত হবার কারণ কি?

সিরিয়া ও মিয়ানমার সহ সারাবিশ্বের মুসলিমদেরকে আঘাত করছে অমুসলিমরা। এর কারণ হলো মুসলিমদের বিভক্তি। যদি প্রশ্ন করা হয়, মুসলিমদের বিভক্তির কারণ কি? উত্তর - অজ্ঞতা। রাসূল (স)-এর আগমনের পূর্বে, অর্থাৎ অজ্ঞতার যুগে আরবের গোত্রে গোত্রে কেবল যুদ্ধ হতো। রাসূল (স) এসে সেই অজ্ঞ জাতিকে বললেন - "পড়"। মানুষ যখন পড়তে শুরু করলো, তখন তাঁদের মধ্যে শান্তির সু-বাতাস বইতে লাগলো। এবং এই শান্তির সু-বাতাস ছড়িয়ে পড়লো সারাবিশ্বে। এরপর, মুসলিমরা আবার যখন জ্ঞান থেকে দূরে সরে গেলো, তখনি মুসলিমদের মধ্যে বি ভক্তি শুরু হলো, এবং ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ শুরু হলো। অজ্ঞতাই হলো নিজেরা নিজেরা যুদ্ধের কারণ। এবং অজ্ঞতাই হলো শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে না পারার কারণ। খুব সাধারণ একটি সূত্র দেখুন, বাসে বা ট্রেনে আপনার পাশে বসা অপরিচিত একজন মানুষ। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি তার সাথে কথা বলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে না পারবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার মনে এক ধরণের ভয় বা সংশয় কাজ করবে। কিন্তু যখন আপনি তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন, তখনি তাকে বন্ধুর মতো মনে হবে। বর্তমানে মুসলিমরা একে অপরকে শত্রু মনে করছে। এর কারণ, মুসলিমরা...

রাজনীতির সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক - শায়খ ড. জাসের আওদা

[‘ইসলাম ও রাজনীতি’ প্রসঙ্গে কেউ মনে করেন, প্রচলিত ব্যবস্থাকে উপড়ে ফেলে ‘আদর্শ ইসলামী ব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করাই হলো একমাত্র করণীয়। আবার কেউ মনে করেন, রাজনীতির মধ্যে ইসলামকে টেনে আনা মোটেও ঠিক নয়। কিন্তু স্বয়ং ইসলাম ব্যাপারটিকে কীভাবে দেখে, তা নিয়ে সমাজে স্বচ্ছ ধারণার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। গত ২০ মে ২০১৬ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ADAMS সেন্টারের জুমার খুতবায় শায়খ ড. জাসের আওদা রাজনীতির সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক নিয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। সিএসসিএস -এর পাঠকদের জন্য বক্তব্যটি অনুবাদ করেছেন জোবায়ের আল মাহমুদ।]   গণসম্পৃক্ততা ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে নেতৃবৃন্দ, ইমাম ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্যে আমরা একটি নির্দেশনা তৈরি করেছি। আজকের বক্তব্যটি সেই প্রশিক্ষণেরই অংশ। বিশেষত, আমাদের নেতৃবৃন্দ, ইমাম ও শিক্ষকদের মধ্যে যারা এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন এ বক্তব্য তাদের জন্যে। একটি অনুষ্ঠানে আজকের  এই বক্তব্যের ঘোষণাটি দেয়ার পর বেশ কয়েকজন ভাইবোনের কাছ থেকে আমি কিছু প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। একজন বলেছেন, ‘ইসলাম ও রাজনীতি’ প্রসঙ্গটি নিয়ে মসজিদে আলোচনা করা উচিত নয়। এই ভাইয়ের য...

এরদোয়ানের ইসলামী রাজনীতির সূত্র

ইসলামী রাজনীতির ক্ষেত্রে এরদোয়ানের সূত্র হলো – "রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ হবে, কিন্তু কোনো ব্যক্তি ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে না" তাঁর কথাটি একটু ব্যাখ্যা করছি – ১। ইংরেজি সেক্যুলার শব্দের বাংলা অর্থ করা হয় ধর্মনিরপেক্ষ। ব্যবহারিকভাবে এটি একটি ভুল অনুবাদ। সেক্যুলারিজমের প্রকৃত অর্থ হলো ধর্মহীন বা ধর্মবিদ্বেষ। কারণ, সকল 'সেক্যুলার'-ই ধর্মের বিরোধিতা করেন, কেউই ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারেন না। ২। সেক্যুলারিজম হলো একটি রাজনৈতিক পদ্ধতির নাম, কোনো ব্যক্তি সেক্যুলার হতে পারে না। তেমনি, ধর্ম হলো ব্যক্তি মানুষের দৈনন্দিন পালনীয় কার্যাবলীর নাম, রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। যেমন, একজন ব্যক্তিকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হয়, কিন্তু রাষ্ট্রকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হয় না। ৩। পরিবার ছাড়া যেমন কোনো মানুষ হতে পারে না, তেমনি ধর্ম ছাড়াও কোনো মানুষ হতে পারে না। পরিবারহীন মানুষ যেমন পথ-শিশু হয়ে যায়, ধর্মহীন মানুষও তেমনি সমাজ বিচ্যুত হয়ে যায়। নাস্তিকতা একটি ধর্মের নাম। কারণ, স্রষ্টার ধারণা ছাড়াই পৃথিবীতে অনেক ধর্ম রয়েছে, যেমন, বৌদ্ধ ধর্ম। ৪। 'ধর্মহীন রাষ্ট্র' ও 'ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র' ...

ইবনে খালদুন সম্পর্কে রোনাল্ড রেগান

কার্ল মার্ক্সকে পড়ার আগে আমাদেরকে ইবনে খালদুন পড়া উচিত। অনেকে মনে করেন, “ইবনে খালদুনের চিন্তাকে আরো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন কার্ল মার্ক্স। সুতরাং, কার্ল মার্ক্সকে পড়লে এখন আর ইবনে খালদুনকে পড়ার প্রয়োজন হয় না।” কথাটি একেবারেই সত্য নয়। পশ্চিমা বিশ্বে যত বড় বড় অর্থনীতিবিদের জন্মই হোক না কেনো, এখনো সারাবিশ্বে ইবনে খালদুনের প্রয়োজনীয়তা, জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, অ্যামেরিকার ৪০তম প্রেসিডেন্ট Ronald Reagan এর একটি বক্তব্য আমি এখানে বাংলা সাব-টাইটেল করে দিয়েছি। রোনাল্ড রেগান এর সময়ে অ্যামেরিকা সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক সচ্ছলতা লাভ করে। এর কারণ হিসাবে রেগান বলেন, তিনি ইবনে খালদুনের একটি তত্ত্ব মেনে চলতেন। ইবনে খালদুন বলেন –

তাবলীগের সমস্যা ও আমাদের করণীয়

আপনার আশেপাশে যদি খারাপ কোনো প্রতিবেশী থাকে, তাহলে তিনি মনে মনে চাইবেন, যাতে আপনাদের পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া লাগে। মাঝে মাঝে যখনি আপনাদের দুই ভাইয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়, তখনি ঐ খারাপ প্রতিবেশী মনে মনে খুব খুশী হতে থাকে। কিন্তু, এতে আপনার মা-বাবা কখনো খুশী হবে না। কারো মা-বাবা চায় না, দুই ভাইয়ের মধ্যে কোনো ধরণের ঝগড়া হোক। এর কারণ হলো, আপনার মা-বাবা আপনাদের দুই ভাইকেই ভালোবাসেন। তাবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এখন ঝগড়া চলছে। কেউ কেউ দেখছি ঐ খারাপ প্রতিবেশীদের মতো মনে ম নে খুব খুশী হয়েছেন, যা খুবই সংকীর্ণ মনের পরিচয়। মুসলিমরা পরস্পর ভাই ভাই। এক ভাইয়ের সাথে অন্য ভাইয়ের ঝগড়া লাগলে বাবা-মায়ের মতোই আমাদের কষ্ট পাওয়া উচিত। _____

থার্টি ফাস্ট

সেদিন তুমি বলেছিলে, “আসার সময় কিছু হাঁসের ডিম নিয়ে এসো” নিরামিষ সবজি তোমার পছন্দ না কম দামী ডিমটাই তোমার পছন্দ। আমি বলেছিলাম, “আচ্ছা, ইনশাল্লাহ” কিন্তু তুমি জানতে না, পকেটে আমার একটি টাকাও ছিলো না তখন, কিছু কেনার খালি হাতেই ঘর থেকে বেরিয়েছিলাম। দিনভর কাজ নেই, মন খারাপ, ফিরছিলাম রাস্তায় দেখি, ময়লায় পড়ে আছে থার্টি ফাস্ট নাইটের একটি বেলুন তুলে নিলাম, ঘরে গিয়ে তোমায় দিলাম। তুমি জিজ্ঞেস করলে আমায় “বেলুনের দামে কি একটা ডিম পাওয়া যায় না?” তোমায় উত্তর দেয়ার মতো কোনো শব্দই আমার জানা ছিলো না।

হাসান তুরাবির ভাবনায় ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা

[সুদানের ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ড. হাসান তুরাবির এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ব্রিটিশ স্কলার ও সাংবাদিক জিয়াউদ্দীন সরদার। ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল ফোর-এর সিরিজ প্রোগ্রাম ‘ইসলামিক কনভারসেশনস’-এ ২০১২ সালে এটি প্রচারিত হয়। এই সাক্ষাৎকারে ‘সলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা নিয়ে ড. তুরাবি তাঁর আন্ডারস্ট্যান্ডিং খোলামেলাভাবে তুলে ধরেছেন। ইসলামী রাষ্ট্র কী? কীভাবে এটি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব? নাগরিক জীবনে এর প্রভাব কী? ইসলামী রাষ্ট্রে ভিন্ন মতাদর্শের অবস্থান কী হবে? – এ ধরনের সমকালীন যুগজিজ্ঞাসার জবাব এতে পাওয়া যাবে।] জিয়াউদ্দীন সরদার: ইসলামী রাষ্ট্র মানে কী? হাসান তুরাবি: মুসলিম রাষ্ট্র মানে মুসলিম আধিপত্যশীল রাষ্ট্র। তবে ইসলামী রাষ্ট্র মানে – যে রাষ্ট্রে ইসলামী নীতি-আদর্শকে কেবল ব্যক্তিজীবনে নয়, বরং প্রকাশ্য জনপরিমণ্ডলে চর্চা করা হয়। জিয়াউদ্দীন সরদার: এ কথার মানে কী? হাসান তুরাবি: এর মানে হচ্ছে – যেখানে রাজনীতি, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ সবকিছুই হবে ইসলাম দ্বারা অনুপ্রাণিত। যেহেতু ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। জিয়াউদ্দীন সরদার: তারমানে আপনি কি মোল্লা শাসিত কোনো রাষ্ট্রের কথা বলতে চাচ্ছেন?

নারীবাদীদের ইসলাম বিরোধিতার কারণ

নারীবাদীদের ইসলাম বিরোধিতার কারণ হলো পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞতা ____ এক ____ সরোজিনী নাইডু। তিনি একজন বাঙালী হিন্দু নারী। একজন কবি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আমাদের দেশের বর্তমান সেক্যুলার বাঙালী নারীদের মত তিনি এতোটা উগ্রবাদী ও অকর্মণ্য ছিলেন না। একজন নারী হয়েও তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তার খুবই উচ্চ ধারণা ছিলো। আমাদের দেশের নারীবাদীদের মতো তিনি কখনোই ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতেন না। বরং তিনি বলতেন, ইসলাম ভারতবর্ষের জন্যে একটি আশীর্বাদ স্বরূপ। তিনি বলেন – “The loveliest thing that Islam brought to India is the saying of Prophet that "Paradise lies under the feet of the mother". “ইসলাম ধর্ম সবচেয়ে প্রিয় যে জিনিসটি ভারতবর্ষে নিয়ে এসেছে, তা হলো রাসূল (স) এর এই কথাটি – “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত”। সরোজিনী নাইডু এর মতো আমাদের দেশের নারীবাদীরা যদি ইসলামকে বোঝার চেষ্টা করতেন, তাহলে নারীদের অধিকার আন্দোলনে তারা আরো অনেক বেশি প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে পারতেন।