সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ইবনে খালদুন লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইবনে খালদুন সম্পর্কে রোনাল্ড রেগান

কার্ল মার্ক্সকে পড়ার আগে আমাদেরকে ইবনে খালদুন পড়া উচিত। অনেকে মনে করেন, “ইবনে খালদুনের চিন্তাকে আরো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন কার্ল মার্ক্স। সুতরাং, কার্ল মার্ক্সকে পড়লে এখন আর ইবনে খালদুনকে পড়ার প্রয়োজন হয় না।” কথাটি একেবারেই সত্য নয়। পশ্চিমা বিশ্বে যত বড় বড় অর্থনীতিবিদের জন্মই হোক না কেনো, এখনো সারাবিশ্বে ইবনে খালদুনের প্রয়োজনীয়তা, জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, অ্যামেরিকার ৪০তম প্রেসিডেন্ট Ronald Reagan এর একটি বক্তব্য আমি এখানে বাংলা সাব-টাইটেল করে দিয়েছি। রোনাল্ড রেগান এর সময়ে অ্যামেরিকা সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক সচ্ছলতা লাভ করে। এর কারণ হিসাবে রেগান বলেন, তিনি ইবনে খালদুনের একটি তত্ত্ব মেনে চলতেন। ইবনে খালদুন বলেন –

পশ্চিমা রাজনীতি ও পশ্চিমা শিক্ষা কি একই?

পশ্চিমা রাজনীতি ও পশ্চিমা শিক্ষা, এ দুটির মাঝে পার্থক্য জানা প্রয়োজন। অনেকেই পশ্চিমা রাজনীতিকে খুব ভালোবাসেন, কিন্তু পশ্চিমা শিক্ষাকে সারাক্ষণ গালাগালি করতে থাকেন। অথচ, বিষয়টি উল্টো হবার প্রয়োজন ছিল। যারা পশ্চিমা শিক্ষাকে দিনরাত গালাগালি করেন, তাঁরা আসলে পশ্চিমাদের শিখানো শব্দ দিয়েই পশ্চিমাদের গালাগালি করেন। আমরা নিজেদের ভাষায় পশ্চিমাদের বিরোধিতা করতে পারি না; এডওয়ার্ড সাঈদ বা নোয়াম চমস্কিদের থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হয়। পশ্চিমা রাজনীতি মুসলিমদের অনেক ক্ষতি করেছে, সুতরাং, পশ্চিমা রাজনীতির বিরোধিতা করা উচিত। কিন্তু পশ্চিমা জ্ঞান ও ভাষার বিরোধিতা করা মুশকিল। কেননা, পৃথিবীর সকল জ্ঞান ও ভাষা-ই আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। পৃথিবীর যে প্রান্তে যে জ্ঞান-ই থাকুক না কেনো, তা মুসলিমদের হারানো সম্পদ। জ্ঞান কখনো পশ্চিমা বা পূর্বের হতে পারে না। জ্ঞান হলো ভিন্ন সভ্যতা বা অপরকে জানার একটি উপকরণ বা উপায়। ইবনে সিনা, ইবনে খালদুন, আল বিরুনী সহ মুসলিম বিশ্বের যেসব বুদ্ধিজীবীকে নিয়ে আমরা আজ গর্ব করি, তাঁদেরকে আমরা পশ্চিমা শিক্ষা ও ভাষার কারণেই চিনতে পেরেছি। সেলজুক বা উসমানী খেলাফতের সময়কার হাজার হাজার বিজ্ঞ...