সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নফস লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইবলিশ না থাকলে কি মানুষ খারাপ কাজ করতো?

ইবলিশের যদি সৃষ্টি না হতো, তাহলে কি মানুষ খারাপ কাজ করতো? উত্তর – হাঁ। মানুষ কেবল শয়তানের কারণেই শয়তানি করে না, বরং নিজের নফসের কারণেও খারাপ কাজ করে। কোর’আন থেকে কয়েকটি উদাহরণ দেখুন। ১। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম মানুষ হত্যার যে ঘটনাটি ঘটেছিলো, অর্থাৎ, কাবিল যে হাবিলকে হত্যা করেছিলো, তা ইবলিশের কারণে করেনি। বরং নিজের নফসের কারণেই সে ভ্রাতৃহত্যায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিলো। কোর’আনে এসেছে – فَطَوَّعَتْ لَهُ نَفْسُهُ قَتْلَ أَخِيهِ فَقَتَلَهُ فَأَصْبَحَ مِنَ الْخَاسِرِينَ “অতঃপর তার নফস তাকে ভ্রাতৃহত্যায় উদ্বুদ্ধ করল। ফলে সে তাকে হত্যা করল। তাই সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।”[সূরা ৫/মায়িদা - ৩০] অর্থাৎ, কাবিল ইবলিশের কারণে নয়, বরং তার নিজের নফসের কারণেই হাবালকে হত্যা করেছিলো।

আত্মা সম্পর্কে আরজ আলি মাতুব্বরের ভ্রান্তি

যারা ইসলামের বিরোধিতা করে, তাদের প্রধান সমস্যা হলো তাঁরা হয়তো জীবনে একবারও কোর’আন পড়েনি, অথবা, পড়লেও কিছুই বুঝতে পারেনি। বাঙালি সেক্যুলারদের গুরু আরজ আলী মাতুব্বরেরও একই সমস্যা হয়েছে। তিনি হয়তো জীবনে কখনো কোর’আন পড়েননি, অথবা, বাংলা অনুবাদ পড়ে মোটেও বোঝেননি। ফলে, তার মনে ইসলাম সম্পর্কে বেশ কিছু অবান্তর প্রশ্ন জেগেছে, যার উত্তর কোর’আন পড়া যে কোনো মানুষ-ই সহজভাবে বলে দিতে পারে। যেমন ধরুন, মাতুব্বর আত্মা বিষয়ক বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন। যার উত্তর কোর’আনে সুন্দরভাবে দেয়া আছে। মাতুব্বর সাহেব বাংলা ভাষায় দক্ষ না হবার কারণে, “আত্মা বিষয়ক” লেখার ভিতরে কখনো ‘আত্মা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, আবার কখনো ব্যবহার করেছেন ‘প্রাণ’ শব্দটি। অর্থাৎ, একটি জগাখিচুড়ী অবস্থা করে ফেলেছেন। অথচ, ভাষাজ্ঞানে দক্ষ যে কেউই জানেন, দুটি শব্দ সমর্থক হলেও প্রত্যেক শব্দের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে। বাংলা ভাষায় আত্মা ও প্রাণ শব্দ দুটি সমর্থক বাচক শব্দ হলেও কোর’আনের ভাষায় আত্মা ও প্রাণ শব্দ দুটির মাঝে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। আত্মা শব্দের জন্যে কোর’আনে ‘নফস’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আর, প্রাণ শব্দটির জন্যে কোর’আনে ‘হাই’ শ...

একনজরে রূহ, প্রজ্ঞা, জ্ঞান, হৃদয়, মন, দেহ, কামনা, নফস, শয়তান

মানব শরীর অনেক জটিল প্রক্রিয়ায় কাজ করে। আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মানুষের জন্যে একজন ফেরেশতা ও একজন শয়তান নিয়োগ করেন। ফেরেশতা মানুষের রুহের সাথে সম্পর্কযুক্ত, এবং শয়তান মানুষের নফসের সাথে সম্পর্কযুক্ত। আল্লাহ ও ফেরেশতাদের বার্তাগুলো 'রূহ' নামক ডাকপিয়ন বিবেকের সাহায্যে মানুষের হৃদয়ের কাছে পাঠায়। এবং শয়তানের বার্তাগুলো 'হাওয়া' নামক ডাকপিয়ন নফসের সাহায্যে মানুষের হৃদয়ের কাছে পাঠায়। হৃদয় হলো মানুষের রাজা। সে কখনো নফসের বার্তা অনুযায়ী কাজ করে, আবার, কখনো রূহ ও বিবেকের বার্তা অনুযায়ী  কাজ করে। হৃদয় যখন নফসের কথা শুনে, তখন সে অন্ধকার ও অজ্ঞতার দিকে ধাবিত হয়। কিন্তু হৃদয় যখন রূহের বার্তা শুনে, তখন সে আলো ও জ্ঞানের দিকে ধাবিত হয়। বিবেক হলো জ্ঞানকে কাজে লাগানোর যন্ত্র। অনেক মানুষের জ্ঞান আছে, কিন্তু বিবেক না থাকায়, সে রূহের নির্দেশনা বুঝতে পারে না। দেহ ও প্রাণ আলাদা জিনিস। মানুষ ছাড়াও অন্য প্রাণীদের দেহ ও প্রাণ রয়েছে। কিন্তু, রূহ ও শয়তান কেবল মানুষের জন্যেই নিযুক্ত করা হয়েছে।

বড় জিহাদ কি? কিভাবে লড়তে হয়?

আমাদের উপর জিহাদ ফরজ করা হয়েছে, তাই আমাদেরকে জিহাদ করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কোন জিহাদ সবচেয়ে বড়? আল্লাহ তায়ালা বলছেন – فَلَا تُطِعِ ٱلْكَـٰفِرِينَ وَجَـٰهِدْهُم بِهِۦ جِهَادًۭا كَبِيرًۭا “তুমি কাফেরদের আনুগত্য করবে না এবং তাদের সাথে কোর’আনের সাহায্যে বড় জিহাদ কর”। [সূরা ২৫/ ফুরকান - ৫২] এ আয়াত দ্বারা স্পষ্ট যে, তরবারির সাহায্যে নয়, বরং কোর’আনের সাহায্যে যে জিহাদ করা হয়, তা হল সবচেয়ে বড় জিহাদ। অর্থাৎ, কোর’আনের মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক জিহাদ-ই হল সবচেয়ে বড় জিহাদ। ... এছাড়া, উত্তম জিহাদ সম্পর্কে রাসূল (স)-কে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন - عن أبي ذر قال: قلت يا رسول الله أي الجهاد أفضل قال: أن يجاهد الرجل نفسه وهواه "হযরত আবু জর রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম, "কোন জিহাদ সর্বোত্তম?" তিনি বললেন, "নফস ও কু-প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদই উত্তম জিহাদ"। [সুয়ুতী, জামিউল আহাদীস, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং - ৪১৬৮৩। কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আক্বওয়াল ওয়াল আফআল, হাদিস নং- ১১৭৮০] নফস ও কু-প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ করার সবচেয়ে ব...