সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মৃত্যু লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার সফলতার মূলমন্ত্র মৃত্যুকে স্মরণ

“আজকে যদি আমার জীবনের শেষ দিন হয়, তাহলে আমি এখন যে কাজটি করছি, তা কি করতাম?” – এটি সফলতার একটি মন্ত্র। পৃথিবীর সফল মানুষদের একজন হলেন স্টিভ জবস। তিনি ছিলেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান 'অ্যাপল' এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জীবনে তিনি এত বড় সফলতা অর্জন করার পিছনে যে প্রশ্নটি ছিলো, তা হলো – "আজ যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো, তাহলে আমি এখন যা করছি, তা কি করতেম?" স্টিভ জবস তাঁর জীবনে সফলতার কারণ নির্ণয় করতে গিয়ে বলেন – “যখন আমার বয়স ১৭ বছর ছিলো, তখন আমি একটা প্রবাদ পড়েছিলাম – "তুমি যদি প্রতিদিন এমন ভেবে জীবন-যাপন করতে পারো যে, আজকে তোমার জীবনের শেষ দিন; তাহলে একদিন তুমি নিশ্চয় সফল হবে”। এ প্রবাদটা আমাকে খুবই প্রভাবিত করেছিলো। এটা পড়ার পর থেকে গত ৩৩ বছর প্রতিদিন সকালে আমি আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াতাম, এবং নিজেকে নিজে প্রশ্ন করতাম, “আজকে যদি আমার জীবনের শেষ দিন হয়, তাহলে আজকে আমি যা করতে যাচ্ছি, তা কি করতাম?” টানা কয়েকদিন এ প্রশ্নটির উত্তর যদি “না” হতো, তাহলে আমি ভাবতাম, আমার কিছু একটা পরিবর্তন করতে হবে। জীবনে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে যে কথাটি, তা হলো – “আমি খু...

একদিন তো মরেই যাবো

গল্প _____ সুমন সাহেবের সব ইচ্ছাই পূরণ হলো। ছাত্র জীবনে নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন। অনার্স ও মাস্টার্সে সর্বোচ্চ রেজাল্ট করেছেন। পড়াশুনা শেষ হতে না হতেই, সোনার হরিণ নামক একটি সরকারী চাকরি পেয়েছেন। এরপর বিয়ে করেছেন সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের সুন্দরী আদরের মেয়ে তামান্নাকে। কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের দাম্পত্য জীবনে নতুন ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের আগমন ঘটলো। সুমন সাহেবের নামের সাথে মিলিয়ে সন্তানের নাম রাখা হলো সাফাত। সাফাত এখন আব্বু ডাকতে পারে। এতো বেশি সৌভাগ্যবান হবার কারণে প্রতিবেশীদের কেউ কেউ সুমন সাহেবকে একটু হিংসাও করে। সুমন সাহেবও এটা বুঝেন। নিজের অজান্তেই তার ভিতর একটা অহংকার বোধ কাজ করে। মনের ভিতর যখন অহংকার দানা বাঁধতে শুরু করে, মানুষ তখন তার আশেপাশের লোকদের ছোট মনে করতে থাকে। সুমন সাহেবেরও তাই হলো। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীকে তিনি কিছুটা বিদ্রূপ করেই কথা বলেন। কি নেই তার? ভাবটা এমন যে, তার সবই আছে। শিক্ষা, সম্মান, চাকুরী, টাকা-পয়সা কোনো কিছুর অভাব নেই। বিয়ের দু’বছর পর তামান্নার বাবা মারা যায়। তামান্নার বড় ভাই একটা দোকানে চাকরি করে কোনোভাবে সংসারটা চালিয়ে নিচ্ছেন। শ্বশ...

মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রমাণ

যে কোনো কিছু সর্বপ্রথম ধর্মের আলোচ্য বিষয় হিসাবে থাকে, এরপর সেটি হয় দর্শনের আলোচ্য বিষয়, এবং সর্বশেষ সেটি হয় বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। যেমন, মৃত্যু পরবর্তী জীবন বা আখিরাত। মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে সর্বপ্রথম বিভিন্ন ধর্মে আলোচনা করা হয়। এরপর, বিভিন্ন দার্শনিক মৃত্যু পরবর্তী জীবনের বাস্তবতা নিয়ে যুক্তি দিতে শুরু করেন। আর এখন, বিজ্ঞান মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে প্রমাণ দিতে শুরু করলো। উদাহরণ স্বরূপ বিজ্ঞানী Jeffrey Long এর “Evidence of the afterlife” বইটির কথা উল্লেখ করা যাক। এ বইটি লেখার আগে তিনি একটি গবেষণা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন, যার নাম – “Near death experiences research foundation”। সংগঠনটির ওয়েব সাইট হলো – http://www.nderf.org প্রায় ২৫ বছর থেকে ‘মৃত্যু পরবর্তী জীবন’ নিয়ে তারা গবেষণা করছেন। তাদের গবেষণার পদ্ধতিটা এবার একটু বোঝার চেষ্টা করি। কোনো এক্সিডেন্ট বা হার্ট অ্যাটাকের পর মানুষের হার্ট ও ব্রেইন উভয়টি যখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তখন ডাক্তারগণ তাকে ‘ক্লিনিক্যাল ডেথ’ বা মৃত বলে ঘোষণা করে। কিন্তু, আল্লাহর ইচ্ছায় এরপরও কিছু কিছু মানুষ তাদের জীবন ফিরে পায়। যেসব মানুষ এভাবে মৃত্যুর একেবারে নিকটে গ...