সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তাকদীর বা ভাগ্য কি পূর্ব নির্ধারিত না পরিবর্তনশীল?

এক ভাইয়া প্রশ্ন করেছেন – “তাকদীর বা ভাগ্য কি পূর্ব নির্ধারিত না পরিবর্তনশীল?” এ প্রশ্নটিকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় ও দার্শনিক দিক থেকে পৃথিবীতে প্রচুর আলোচনা হয়েছে, এবং এখনো চলছে। কিন্তু ভাইয়া আমাকে বলেছেন খুব সহজ ভাষায় লেখার জন্যে। অবশ্য, আমি সবকিছু সহজ-সরল করেই লেখার চেষ্টা করি। কারণ, আমি ছোট মানুষ, কঠিন ও প্যাঁচালো লেখা যথাসম্ভব কম পড়ি ও লিখি। যাই হোক, তাকদীরের বিষয়টা আমার কাছে খুবই সহজ একটি বিষয় মনে হয়। এ বিষয়ে আমাদের মনে সাধারণত দু’টি প্রশ্ন জাগে। ১। ‘তাকদীর’ বা ভাগ্য যদি আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আগেই নির্ধারিত হয়ে থাকে, তাহলে আমরা আর ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে লাভ কি? অথবা, ২। আমরাই যদি নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে আল্লাহ দ্বারা নির্ধারিত ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে হবে কেন? এ প্রশ্নগুলোর জবাব জানার আগে কিছু উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি আমরা প্রাথমিকভাবে বোঝার চেষ্টা করব।

তিউনিসিয়ার 'আন নাহদা' সামগ্রিক ইসলাম ছেড়ে দিয়ে কেবল রাজনৈতিক দল হয়ে গেল কেন? - রশিদ ঘানুশি

বিবিসি: উস্তাদ রাশেদ, আপনি বলেছেন, "চল্লিশ বছর পর আন নাহদা একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে"। এভাবে কলমের দাগ টনার মতই একটি রাজনৈতিক দল হয়ে গেল। তিউনিসিয়ার জনগণ ও দর্শকদের জন্যে এটা কি একটু ব্যাখ্যা করবেন? এই পদক্ষেপটা কি আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনার কারণে নেয়া হয়েছে? নাকি, ঘরে-বাইরে, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে দলটিকে সমালোচনার চাপে এই পদক্ষেপটা নিতে হয়েছে? [youtube https://www.youtube.com/watch?v=5F3fHkxsXHM&w=854&h=480]

একজন নোমান আলী খান হয়ে ওঠার গল্প

মানুষকে কেবল কোরআন শিক্ষা দিয়েই যিনি বিশ্বকে পরিবর্তন করে দিতে চান, তিনি নোমান আলী খান। কোরআনের চমৎকার শৈল্পিক সৌন্দর্য উপস্থাপনার জন্যে তিনি বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের মুসলিম তরুণ প্রজন্মের কাছে এক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। সারা বিশ্বের মুসলিম তরুণরা আজ তাঁকে নিজেদের মডেল হিসাবে কল্পনা করেন, তাঁর মতো হতে চান। কোরআনের শব্দচয়ন কতটা সৃজনশীল, ভাষা কতটা মনোমুগ্ধকর, অর্থ কতটা যৌক্তিক – এগুলোই নোমান আলী খানের চিন্তাভাবনা ও আলোচনার বিষয়। তাঁর বক্তব্যে কোরআনের অন্তর্গত সৌন্দর্য ও মুজিযা মানুষের চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে ওঠে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সভা-সেমিনার ও অনলাইনে তাঁর বক্তব্য শুনে অসংখ্য মানুষ ইসলামের দিকে ফিরে আসছে এবং ইসলাম গ্রহণ করছে। তিনি প্রায় ২০টিরও অধিক তাফসীর গ্রন্থ পাঠ করেছেন। ফলে কোরআন নাযিলের ইতিহাস, শব্দচয়নের কারণ, ভাষার অলঙ্কার, অর্থের গভীরতা, যুক্তির প্রখরতা এবং ব্যাকরণগত শুদ্ধতার বিষয়গুলো তাঁর আলোচনায় ফুটে উঠে। তাই অনেক ইসলামী স্কলার নোমান আলী খানকে আল কোরআনের ভাষাবিজ্ঞানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এছাড়াও বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী ইসলামী স্কলারের মাঝে তাঁর স্থান অন্যতম। এ মানুষটি জন্মগ্র

গণতন্ত্র কি ইসলামে হারাম? - ড. আহমদ আল রাইসুনী

ড. আহমদ আল রাইসুনী – সমসাময়িক ইসলামী স্কলারদের মাঝে প্রথম সারির একজন। তাঁর জন্ম ১৯৫৩ সালে, মরক্কোতে। বর্তমানে তিনি মুসলিম স্কলারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন International Union of Muslim Scholars-এর সহ-সভাপতি। ‘শূরা: মতামত গ্রহণের কোরআনিক নীতি’ তাঁর লেখা বিখ্যাত ও বহুল আলোচিত বইগুলোর একটি। আল জাজিরাসহ পৃথিবীর বিখ্যাত অনেক মিডিয়ায় তিনি ইসলামী রাষ্ট্র, মাকাসিদে শরীয়াহ, গণতন্ত্র, শূরা ইত্যাদি নিয়ে অসংখ্য বক্তব্য ও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ২০০৭ সালের ১২ আগস্ট আল জাজিরা অ্যারাবিকের ‘শরীয়াহ ও জীবন’ অনুষ্ঠানে শূরা ও গণতন্ত্র নিয়ে তিনি একটি সাক্ষাৎকার দেন । অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক  ছিলেন উসমান উসমান। সেখান থেকে প্রাসঙ্গিক একটি ছোট অংশ অনুবাদ করলাম। ইউটিউব ভিডিওতে সাবটাইটেলও যোগ করে দিয়েছি। আল জাজিরা:  শূরা এবং গণতন্ত্রের মাঝে আসলে পার্থক্য কী?  [youtube https://www.youtube.com/watch?v=jG-v33z7ovc&w=656&h=405] আহমদ রাইসুনী: প্রথমে সংক্ষেপে বলি, এরপর ব্যাখ্যা করব। গণতন্ত্র শূরারই একটি অংশ। এটি এমন এক টুল বা পদ্ধতি, যা দিয়ে রাজনীতিকে সংগঠিত ও সুশৃঙ্খল করা হয়। কিন্তু শূরা হলো আকীদা, বিশ্বাস, চরিত্র, আচ

বাঙালির সরল সমীকরণ

বাঙালি ও মুসলিম-এ দু’টি পরিচয়ের মাঝে কি কোনো দ্বন্দ্ব আছে? প্রশ্নটির একাধিক জবাব থাকতে পারে। হ্যাঁ বা না, অথবা অন্য কিছু। সাধারণত বাংলাদেশের আলেম সমাজ কখনোই একে দ্বন্দ্ব বা বিতর্ক আকারে দেখেন না; বরং কুতর্ক মনে করেন। অন্যদিকে বুদ্ধিজীবী সমাজ এটাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক মনে করেন। তাঁদের কেউ কেউ মনে করেন, এটাই বাংলাদেশের প্রধান বিতর্কের বিষয় হওয়া উচিত। মোটা দাগে, প্রায় সব বুদ্ধিজীবীই মনে করেন, বাঙালি ও মুসলিম পরিচয়ের মাঝে একটি বিশাল দ্বন্দ্ব বিরাজমান। এ ধরণের বিতর্কে আলেম সমাজ সময় অপচয় না করার কারণ হল, তাঁদেরকে ধর্মীয় বিধানাবলী বিশ্লেষণে ব্যস্ত থাকতে হয় এবং মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দিতে হয়। কিন্তু বুদ্ধিজীবী-সমাজ তো আর এসবের ধার ধারে না, তাই তাঁদেরকে বাঙালি-মুসলিম বিতর্কে প্রাণ সঞ্চারণ করেই জীবন চালাতে হয়। ধরা যাক, বাঙালি ও মুসলিম পরিচয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব আছে; তাহলে সে দ্বন্দ্বটা কি? কোত্থেকে তার উৎপত্তি? আর কে-ই বা করেছে এর বিস্তার? – এ সব বুঝতে হলে স্বভাবতই মুসলিম ও বাঙালি শব্দ দু’টির তাৎপর্যসহ বিশ্লেষণে নেমে পড়তে হবে। মুসলিম শব্দটির সংজ্ঞা নিয়ে আলেম সমাজে তেমন কোনো মতপার্থক্য দেখা যায় না।

‘মুত্তাকীন’ [مُتَّقِينَ] ও ‘মুহসিনীন’ [مُحْسِنِينَ] শব্দের মাঝে পার্থক্য কি?

সূরা বাকারায় আল্লাহ তায়ালা বলেছেন – ذَ‌ٰلِكَ ٱلْكِتَـٰبُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًۭى لِّلْمُتَّقِينَ এ সেই কিতাব, যাতে কোনো সন্দেহ নেই। মুত্তাকীন বা পরহেজগারদের জন্য এটি হেদায়েত। [সূরা ২/বাকারা – ২] কিন্তু, সূরা লোকমানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন – تِلْكَ ءَايَـٰتُ ٱلْكِتَـٰبِ ٱلْحَكِيمِ هُدًۭى وَرَحْمَةًۭ لِّلْمُحْسِنِينَ এগুলো প্রজ্ঞাময় কিতাবের আয়াত। সৎকর্মপরায়ণদের জন্য এটি হেদায়েত ও রহমত। [সূরা ৩১/লোকমান – ২,৩] প্রশ্ন – ১, সূরা বাকারার শুরুতে আল্লাহ তায়ালা কেবল ‘হুদা’[هُدًى] শব্দটি ব্যবহার করেছেন, কিন্তু সূরা লোকমানের শুরুতে ‘হুদা’ শব্দের সাথে অতিরিক্ত ‘রাহমাহ’ [رَحْمَةً] শব্দটিও ব্যবহার করেছেন। কেন? প্রশ্ন – ২, ‘মুত্তাকীন’ [مُتَّقِينَ] ও ‘মুহসিনিন’ [مُحْسِنِينَ] শব্দের মাঝে পার্থক্য কি?

রাসূলের (সা) যুগে নারীরা কোথায় নামাজ আদায় করতেন?

[ইসলামের সোনালী যুগে মসজিদে নারীদের অবাধ যাতায়াতের সুযোগ ছিল। মহানবীর (সা) ইমামতিত্বে মসজিদে নববীতে নারী-পুরুষ মিলে একই ফ্লোরে নামাজ আদায় করতেন। অথচ, বাংলাদেশের মতো রক্ষণশীল সমাজে হাতেগোনা ব্যতিক্রম বাদে মসজিদগুলোতে নারীদের প্রবেশাধিকারই নেই। যদিও ইসলামের দৃষ্টিতে সামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হলো মসজিদ। মসজিদে নারীদের প্রবেশাধিকার, অবস্থান ও কার্যক্রম ইত্যাদি নিয়ে শায়খ ড. জাসের আওদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করেছেন। আরবীতে লেখা ড. আওদার এই বইটির বাংলা শিরোনাম আমরা দিয়েছি ‘মাকাসিদে শরীয়াহর আলোকে মসজিদ ও নারী প্রসঙ্গ’। অনুবাদ করছেন জোবায়ের আল মাহমুদ। আজ প্রকাশিত হলো দ্বিতীয় অধ্যায়ের অনুবাদ।] - cscsbd বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোর যেসব মসজিদে নারীদের জন্যে নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে, সেসব মসজিদের একই কক্ষে পুরুষদের পেছনে নারীদেরকে কদাচিৎই দাঁড়ানোর অনুমতি দেয়া হয়। অথচ রাসূলের (সা) যুগে মসজিদের একই কক্ষে নারীরা পুরুষদের ঠিক পেছনে নামাজ আদায়ের জন্যে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতেন। আরব দেশগুলোতে সাধারণত নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা মসজিদ থাকে। বিশেষত ছোট মসজিদগুলোর ক্ষেত্রে এটা  সত্য।

ধর্ম ও নিউটনের ১২টি সূত্র

বিজ্ঞানের ‘অ, আ’ শুরু হয় স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্রগুলো মুখস্থ করার মাধ্যমে। প্রথম প্রথম নিউটনের সূত্রগুলো যখন পড়তাম, তখন গতির তৃতীয় সূত্রটি আমার খুব কাজে লাগতো। ক্লাসে বন্ধুরা কেউ আমাকে মারলে, আমি যদি কিছু করতে না পারতাম, তখন তাকে নিউটনের তৃতীয় সূত্রটি শুনিয়ে দিতাম - “প্রত্যেক ক্রিয়ার-ই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে”। সর্বজনীন মহাকর্ষ ও গতির তিনটি সূত্র আবিষ্কার করার কারণে নিউটনকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী মনে করা হয়। তাই, আমি একসময় ভাবতাম, ‘আহ! আমি যদি নিউটনের মত একজন বড় বিজ্ঞানী হতে পারতাম’। কিন্তু, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে চিন্তাগুলো সব পরিবর্তন হয়ে যায়। এখন ভাবি, ‘আহ! আমি যদি নিউটনের মত এত বড় একজন সূফী, দরবেশ ও ধর্মীয় স্কলার হতে পারতাম’। আপনি হয়তো আমাকে প্রশ্ন করবেন, নিউটন আবার ধর্মীয় স্কলার হলেন কবে? খুবই ভালো প্রশ্ন। আসলে, নিউটন সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। কারণ, আমাদের পাঠ্য বইয়ে নিউটন সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা-ই দেয়া হয় না। পাঠ্য বইয়ের কথা বাদ দিন, বাংলা ভাষায় আজ পর্যন্ত নিউটনের সামগ্রিক জীবন নিয়ে কোনো কিছু লেখা হয়নি। বাঙালিদের মাঝে এত এ

রক্তের সম্পর্ক

সে অনেক আগের কথা, দেন-মোহর নিয়ে যাকে বিয়ে করেছিলাম, ঐ-স্বামী মারা গেছে, এরপর, কত একাত্তর গেল! নিজ পিতা হারিয়ে বুঝি – সন্তানের পিতার অভাব। সোনা-দানা চাই না আমি, তোমার নিমন্ত্রণ-ই আমার সর্বসুখ।। দিন বদলে গেছে, অনেক অনেক উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গেছে সংস্কৃতি, দেন-মোহর চাই না আর, পণ দিয়ে সম্পর্ক গড়ব এবার! 'উভয়' দেশে, 'উভয়' পক্ষের কাবিননামায় পণ-চুক্তি হবে, সব পাবে, তুমি যা চাইবে। তুমি চাইলে, গোটা বাংলাদেশ তোমায় যৌতুক দিতে পারি। বল, ভবিষ্যৎ সন্তানের জন্যে গড়বে রক্তের সম্পর্ক? তাজমহল চাই না আমি, বাংলাদেশের বিনিময়ে, খুব ছোট্ট একটা স্থান কি হবে? নয়াদিল্লীর রাজ-প্রাসাদে?

সভ্যতা সম্পর্কে আল-ফারাবির চিন্তা

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ দার্শনিকদের অন্যতম আবু নাসের মুহাম্মাদ ইবন মুহাম্মাদ আল-ফারাবি। অধিবিদ্যা (Metaphysics), জ্ঞানতত্ত্ব ও রাজনৈতিক চিন্তার ক্ষেত্রে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা কখনো হারিয়ে যায় না। ইবনে ফারাবির ‘নৈতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত নগর’ (আল-মাদীনাহ আল ফাদিলাহ) ধারণাটি ইসলামী এবং গ্রীক নীতিশাস্ত্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি নগর জীবন, সভ্যতা এবং অধিবিদ্যার মাঝে একটি সংযোগ সৃষ্টি করেছেন। যদিও এই ধারণাগুলোর সঠিক অর্থ আজ আমাদের পৃথিবী থেকে হারিয়ে গিয়েছে, কিন্তু মানুষের উপযুক্ত আবাস হাজির থাকার জন্য এই ধারণাগুলোর পারস্পরিক সংযোগ একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাই আল-ফারাবির এই সংযোগ প্রচেষ্টাকে আবার পুনরুদ্ধার করার প্রয়োজন রয়েছে। সর্বপ্রথম ১৭৫৭ সালে, ‘ভিক্টর রিকেতি মিরাবু’ তার ‘মানুষের বন্ধু বা জনগণের চুক্তিনামা’ শীর্ষক গ্রন্থে ‘সভ্যতা’ শব্দটি ব্যবহার করেন। প্রায় দুই শতাব্দী পর একবিংশ শতাব্দীতে ‘স্যামুয়েল হান্টিংটন’ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর তাঁর বিখ্যাত একটি তত্ত্ব প্রকাশ করেন, সেখানে সভ্যতার পরিবর্তে সরাসরি ‘সংঘাত’কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাঁর সংঘাত তত্ত্বটি বাজারীকরণের ফলে যে প্রভাব সৃষ্টি

পরিবার

নারী, পুরুষের বাগান, সন্তানের জান্নাত। পুরুষ, নারীর বৃক্ষ, সন্তানের ছায়া। সন্তান, মায়ের রক্ত, বাবার বংশ।