সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আস্তিক লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

"আল্লাহ কি এমন একটি পাথর বানাতে পারবেন, যা তিনি নিজেই তুলতে পারবেন না?"

নাস্তিকরা প্রায়ই এই প্রশ্নটি করেন - "আল্লাহ তায়ালা কি এমন একটি পাথর বানাতে পারবেন, যা তিনি নিজেই তুলতে পারবেন না?" এ প্রশ্নের উত্তরে আপনি যদি "হাঁ" বলেন, তাহলেও বিপদ; আপনি যদি "না" বলেন, তাহলেও বিপদ। তো, একবার এক বাঙালি আস্তিককে এ প্রশ্নটি করার পর, তিনি উত্তরে বললেন: "জ্বি... না..."। তিনি "হাঁ" বা "না" কোনো একটি না বলে বরং দুটাই একসাথে বলে দিলেন। এবং প্রশ্নকারী নাস্তিককে বললেন যে, তোমার প্রশ্নের একটি অংশের উত্তর "হাঁ" এবং অন্য একটি অংশের উত্তর "না"। তাই আমি "জ্বি... না..." বলেছি। তখন আস্তিকটির "যেমন কুকুর, তেমন মুগুর" দেখে নাস্তিকটি আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেলেন। আসলে এখানে উত্তরে সমস্যা না, সমস্যা হলো প্রশ্নে। যেমন, কেউ যদি আপনাকে বলে: "তুমি কি আগের মতো তোমার স্ত্রীকে এখনো মারো?" এখানে এ প্রশ্নের উত্তরে আপনি যদি "হাঁ" বলেন, তার মানে আপনি আপনার স্ত্রীকে মারেন। আর, প্রশ্নটির উত্তরে আপনি যদি "না" বলেন, তার মানে, আপনি বর্তমানে আপনার স্ত্রীকে মারেন না, কিন্তু আগে আ...

যার কাছে ধর্ম পৌঁছায়নি, তিনি কি জাহান্নামে যাবেন?

কেউ যদি অ্যামাজন জঙ্গলে বাস করে, অথবা, কোনো মানুষের নিকট যদি পৃথিবীর কোনো ধর্ম বা শিক্ষা না পৌঁছে, তাহলে সে কি জাহান্নামে যাবে? একজন ভাইয়া ইনবক্সে আমাকে এ প্রশ্নটি করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলার আগে আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে একটু নজর দেই। বাংলাদেশে যখন S.S.C. পরীক্ষা শুরু হয়, তখন সারা দেশের সকল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা একই দিনে এবং একই সময়ে শুরু হয়। ঢাকা, কুমিল্লা, বা যে কোনো বোর্ডের প্রশ্নপত্রগুলো সব একই রকম হয়। অর্থাৎ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করার জন্যে একটিমাত্র প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। কিন্তু, আল্লাহ তায়ালা মানুষদের থেকে এভাবে পরীক্ষা নেন না। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের যোগ্যতা ও সমর্থ অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মানুষের জন্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন প্রস্তুত করেন। অর্থাৎ, বাংলাদেশী একজন মানুষকে আল্লাহ তায়ালা যেভাবে প্রশ্ন করবেন, অ্যামাজন জঙ্গলে বসবাসকারী একজন মানুষকে আল্লাহ তায়ালা ঠিক সেভাবে প্রশ্ন করবেন না। কোর’আনে আল্লাহ তায়ালা বলেন – لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا “আল্লাহ কোনো মানুষকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কাজের ভার দেন না”। [সূরা ২/ বাকারা ...

স্রষ্টা ও ধর্ম নিয়ে বিশ্ববিখ্যাত দুই বিজ্ঞানীর দ্বন্দ্ব

স্টিফেন হকিং এবং মিচিও কাকু দু’জনই সমসাময়িক বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী। বাংলাদেশে স্টিফেন হকিং-এর নামটি অনেক পরিচিত হলেও বিজ্ঞানের জগতে স্টিফেন হকিং-এর চেয়ে মিচিও কাকু-র অবদান অনেক বেশি। মিচিও কাকু হলেন ‘স্ট্রিং তত্ত্বের’ কো-ফাউন্ডার। এ তত্ত্বটি অতীতের বিগ ব্যাং তত্ত্বকে পিছনে ফেলে বর্তমানে বিজ্ঞানে বিপ্লব নিয়ে এসেছে। তাই বিশ্বের কাছে স্টিফেন হকিং এর চেয়ে মিচিও কাকু’র জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার বইয়ের তালিকায় সাধারণত বিজ্ঞানের কোনো বই পাওয়া না গেলেও সেখানে মিচিও কাকু-র বিজ্ঞান বিষয়ক তিনটি বই বেস্টসেলার হয়েছে। অবশ্য, সেই তালিকায় স্টিফেন হকিং-এর একটি বইও নেই। দু’জনেই সমসাময়িক বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী হলেও স্রষ্টা ও ধর্ম নিয়ে দু’জনের অবস্থান দুই প্রান্তে।   ১ - ধর্ম, দর্শন ও বিজ্ঞানের সম্পর্ক নিয়ে তাঁদের বিতর্ক।   স্টিফেন হকিং তাঁর ‘The Grand Design’ বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে বলেছেন, ‘দর্শন মরে গেছে এবং ধর্ম অকার্যকর হয়ে গেছে, এখন কেবল বিজ্ঞানের যুগ’। তাঁর মতে, সত্য মানেই বিজ্ঞান। ধর্ম ও দর্শনের যাবতীয় সমস্যা বিজ্ঞান দিয়ে সমাধান করা সম্ভব। তাই, ধর্ম ও দর্শন এ...

নাস্তিক একটি প্রতিক্রিয়াশীল শব্দ

নাস্তিক শব্দটির মাঝেই প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তার বীজ রয়েছে। কারণ, পৃথিবীতে সবকিছু শুরু হয় একটি প্রস্তাবনা বা thesis এর মাধ্যমে। এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে পরবর্তীতে 'প্রতি-প্রস্তাবনা' বা antithesis এর জন্ম হয়। ‘আস্তিক’ বা theist শব্দটি একটি স্বভাবগত প্রস্তাবনা। এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে তৈরি হয় ‘না-আস্তিক’ বা atheist শব্দটি। 'না-আস্তিক' শব্দটি সম্পূর্ণভাবে 'আস্তিক' শব্দটির উপর নির্ভরশীল, কিন্তু 'আস্তিক' শব্দটি 'নাস্তিক' শব্দটির উপর নির্ভরশীল নয়। নাস্তিকের অবর্তমানে আস্তিক তার নিজের অস্তিত্ব হাজির করতে পারে, কিন্তু আস্তিকের অবর্তমানে নাস্তিক তার নিজের অস্তিত্ব হাজির করতে পারে না। অর্থাৎ, স্বভাবগত আস্তিক প্রস্তাবনার বিপরীতে তৈরি হওয়া একটি প্রতিক্রিয়াশীল প্রস্তাবনার নাম হলো নাস্তিক। ____ ইসলামের মূল বাণী “লা ইলাহা, ইল্লাল্লাহ” হলো আস্তিক ও নাস্তিক উভয়ের মাঝে একটি মেলবন্ধন বা সিন-থিসিস।

বিশ্বাস করা ও অস্তিত্বের স্বীকার করা এক নয়

“আমি আহমদকে বিশ্বাস করি” –এ বাক্যের দ্বারা আহমদের অস্তিত্ব রয়েছে, তা বুঝানো হয় না। বুঝানো হয়, আহমদের সততার উপর আমার ভরসা রয়েছে। একইভাবে, “আমি আহমদকে বিশ্বাস করি না” –এ বাক্যের দ্বারা আহমদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয় না। বরং আহমদের সততাকে অস্বীকার করা হয়। কেউ যদি বলে, “সে আল্লাহকে বিশ্বাস করে না” –এর মানে এই নয় যে, “আল্লাহ নেই”। এর মানে হলো – “সে আল্লাহর আদেশগুলো মানতে রাজি নয়”। জিন জাতির মত পৃথিবীতে অনেক কিছুর-ই অস্তিত্ব আছে। কিন্তু সেগুলোকে আল্লাহ তায়ালা বিশ্বাস করতে বলেননি। কারণ, বিশ্বাস করা মানে কেবল অস্তিত্বের স্বীকৃতি দেয়া নয়। কাউকে বিশ্বাস করা মানে তার সব কথা মেনে চলা। আমাদের মুসলিমদের মাঝে অনেকেই আল্লাহর অস্তিত্বকে স্বীকার করেন, কিন্তু আল্লাহকে বিশ্বাস করেন না।