সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মূর্তি লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভাস্কর্য এবং মূর্তির পার্থক্য

এক ভাস্কর্য এবং মূর্তির মাঝে অনেক বড় পার্থক্য আছে। ভাস্কর্য হলো সুন্দরের প্রতীক, কিন্তু মূর্তি হলো চেতনার প্রতীক। থেমিসের জন্যে যারা কান্নাকাটি করছে, তারা থেমিসকে সুন্দরের প্রতীক মনে না করে বরং চেতনার প্রতীক মনে করে। প্রশ্ন হলো, ইসলাম ভাস্কর্যকে সমর্থন করলেও মূর্তিকে সমর্থন করে না কেন? কারণ হলো, কোনো অচেতন বস্তু কখনো কোনো চেতনার প্রতীক হতে পারে না। পৃথিবীতে মানুষ উন্নত চেতনার অধিকারী, এবং পাথর নিম্ন চেতনার অধিকারী। উন্নত চেতনার মানুষ যখন নিম্ন চেতনার পাথরকে তার চেতনার প্রতীক মনে করে, তখন মানুষের চেতনা নিম্নগামী হতে শুরু করে। মানুষ যখন তার চেতনার স্তর থেকে নিম্ন বস্তুর স্তরে নামতে শুরু করে, তখন মানুষ পশু হয়ে যায়। এভাবে কেউ যদি পশুর স্তর থেকে আরো নিচে নামতে শুরু করে, তাহলে সে একসময় অচেতন বস্তুর মত হয়ে যায়। পৃথিবীতে মানুষের কাজ হলো বিশ্বের সর্বোচ্চ চেতনার সাথে নিজেকে সম্পর্কিত করা। ধার্মিক মানুষেরা এ কাজটি তাদের সালাত ও সাওমের মাধ্যমে পালন করার চেষ্টা করে। কিন্তু যারা অচেতন বস্তুকে তাদের চেতনার প্রতীক মনে করে, তারা প্রকৃতির বিপরীতে চলতে চায়। এর ফলে তারা মানুষের চেতনার স্তর থেকে বস্তুর স্ত...

বিজ্ঞান ও মূর্তি পূজা

স্যার আইজ্যাক নিউটন যদি আজ বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি নিশ্চিত হেফাজতে ইসলামের এই আন্দোলনে যোগদান করতেন। কারণ, হেফাজতে ইসলাম যেমন মূর্তি ও মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে, নিউটনও তাঁর সারাজীবন মূর্তি ও মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "Idolatry is a more dangerous crime because it is apt by the authority of Kings & under very specious pretenses to insinuate itself into mankind." Source: Isaac Newton, Keynes Ms. 7, King's College, Cambridge, UK অর্থাৎ, “মূর্তিপূজা হলো সবচেয়ে বিপদজনক একটি অপরাধ। এটি রাজা-বাদশাহ বা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকে পুঁজি করে, মানবজাতির সাথে কটাক্ষ করার জন্যে খুবই সুন্দর একটি ভণ্ডামি”। - স্যার আইজ্যাক নিউটন। এমন দু’এক লাইন কেবল নয়, মূর্তি ও মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে শত-শত পৃষ্ঠা লিখেছিলেন তিনি। প্রশ্ন হলো, নিউটন কেন মূর্তি ও মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে এত সোচ্চার ছিলেন?

সুদ ব্যবস্থা কি মূর্তি পূজার চেয়েও ভয়ঙ্কর?

মূর্তি পূজার মত সুদ ব্যবস্থারও বিরোধিতা করা উচিত। কারণ, মূর্তি পূজার চেয়েও বড় শিরক হলো সুদ ব্যবস্থা। কোর’আনে বলা হয়েছে, যারা সুদের ব্যবসা করে, আল্লাহ তায়ালা তাদের সাথে যুদ্ধ করেন। فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا۟ فَأْذَنُوا۟ بِحَرْبٍۢ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ۖ وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَ‌ٰلِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ অর্থাৎ, “তোমরা যদি সুদের ব্যবসা পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করবে না এবং তোমাদের সাথেও কেউ অত্যাচার করবে না ।” [সূরা ২/বাকারা - ১৭৯] এ আয়াতটিকে আমি যেভাবে বুঝেছি – পৃথিবীর যাবতীয় অপরাধের মূল হলো অর্থের লোভ। অর্থের প্রতি লোভ থাকার কারণে মানুষ সুদের পন্থা আবিষ্কার করে। সুদ ব্যবস্থা তখনি শুরু হয়, যখন মানুষ দান-সদকা করতে চায় না। আর দান-সদকা তখনি মানুষ করতে চায় না, যখন তার অন্তরে দয়া ও ভালোবাসা থাকে না। মানুষের হৃদয়ে তখনি দয়া ও ভালোবাসার পরিধি বৃদ্ধি হয় না, যখন তার কাছে সত্যের জ্ঞান না থাকে। আর, সত্যের জ্ঞান মানে হলো আল্লাহ তায়...

আজব দেশ

আজব দেশের নাম শুনেছি দাদা-দাদীর মুখে, সেই দেশটি দেখার খুবই ইচ্ছা ছিল বুকে। হঠাৎ একটি দৈত্য এসে বদলে দিল সব, মোদের দেশটা হয়ে গেল একেবারে আজব। দাদা-দাদীর আজব দেশে সুখ ছিল না শেষ, কিন্তু মোদের আজব দেশে দুঃখের তো নেই শেষ। বলব তোমায়? আজব দেশের দুঃখের কাহিনী? আছে কিনা? আশেপাশে পুলিশ বাহিনী? আজব দেশের মানুষেরা প্যাঁচার পূজা করে, মঙ্গল শোভা না করলে পুলিশ তারে ধরে। মুখের দাঁড়ি বড় হলে জঙ্গি তারে বলে, ক্রসফায়ার করে তারে ফেলে নদীর জ্বলে। আজব দেশের দুঃখ বলে, হবে না তো শেষ। বলতে পার? নাম কি ওটার? প্রিয় বাংলাদেশ!!

কন্যা

কন্যা! থেমিস কেন? আদালত মন্দিরে চাই তোমার মূর্তি। ধর্ষক, না, সোনার ছেলেরা উৎসাহ পাবে, তোমায় দেখে; তুমি অপকর্মের শুরু। সাক্ষী, না, মিথ্যুকেরা লজ্জা পাবে, তোমায় দেখে; তুমি চেতনার গুরু।। থেমিস নয়, দেবী নয়, প্রতিমা নয়, কোনো ভাস্কর্য নয়, – চাই তোমার মূর্তি, জ্বলে উঠুক চেতনার মন্দিরে। পুলিশ, না, খুনির রাইফেল উঁচু হবে, তোমায় দেখে; তুমি নেতা ওদের দলে। হাকিম, না, জল্লাদের মাথা নত হবে, তোমায় দেখে; পরাজিত সবে, তোমার বলে।। কন্যা, থেমিস নয়, শুধু তোমাকে চাই; যেন দেখে ভয় পাই।