সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বিশ্ববিদ্যালয় লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ছেলে কি করে? বউ খাওয়াতে পারব তো?

ছেলে কি করে? টাকা পয়সা কেমন আছে? বউ খাওয়াতে পারব তো? – এসব প্রশ্ন দিয়ে মেয়েপক্ষ নিয়মিতই বিবাহ প্রার্থী ছেলেদেরকে পীড়িত ও বিব্রত করে। এ কারণে ছেলেরাও সবসময় ভাবে, একটা ভালো চাকরি না পেলে যেহেতু ভালো কোনো মেয়ে বিয়ে করা যাবে না, সুতরাং, জীবনে সকল পড়াশুনার উদ্দেশ্য হলো একটি ভালো চাকরি পাওয়া। ফলে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্য কাঠামোকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে গ্রাজুয়েশন শেষ করে সবাই ভালো একটি চাকরি পেতে পারে। শিক্ষার্থীকে একজন জ্ঞানী মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার পরিবর্তে একজন যোগ্য  শ্রমিক হিসাবে গড়ে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রধান উদ্দেশ্য। জ্ঞান অর্জন বা জ্ঞান বিতরণ করা তাদের কাজ নয়, বরং সম্পদ অর্জন করার কৌশল শেখানোই তাদের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যাটির মূল কারণ কি? কারণ একটাই। আমরা জ্ঞানের চেয়ে সম্পদকে বেশি গুরুত্ব দেই। ফলে বিয়ের বাজারে গেলে দেখা যায়, মেয়েপক্ষ একজন জ্ঞানী ছেলের চেয়েও একটি ধনী পরিবারে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে দিতেই বেশি আগ্রহী হয়। অথচ, আল্লাহ তায়ালা দারিদ্রের ভয়কে বলেছেন শয়তানের কাজ। আর, জ্ঞানকে বলছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম নিয়ামত। আল্লাহ তায়ালা বলেন – الشَّيْطَانُ يَعِ...

কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি

কওমি মাদ্রাসায় পড়ার সৌভাগ্য হয়নি, তাই অনেক কিছুই বুঝি না। তবে, মনে হয়, কওমি মাদ্রাসাকে সরকারীকরণ করলে অনেক ভালো হবে। কারণ, এক। সরকারি পদ্ধতি মানেই ধর্মহীন পদ্ধতি নয়। আজ হয়তো সেক্যুলার মানুষেরা সরকার পরিচালনা করছে, কিন্তু কাল তো হয়তো ধার্মিক মানুষেরা সরকার পরিচালনা করবে। গত ৭০ বছরে এ দেশের কত উত্থান-পতন হল, আগামী ৭১ বছরে আরো কত উত্থান-পতন হবে, তা এখনি বলে দেয়া সম্ভব নয়। দুই। অন্য গ্রহের মানুষ দ্বারা পরিচালিত কোনো পদ্ধতি নাম সরকার নয়। হোক কওমি, আলিয়া বা বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের বাবা-মায়ের টাকা দিয়েই সরকার চলে। দেশকে উন্নত করি আমরাই। আমরা সরকারের কর্মচারী নই, বরং সরকার নিজেই কর্মচারী হিসাবে আমাদের জন্যে কাজ করে। সরকারি কাজ করা মানে সরকারের কর্মচারী হওয়া নয়, বরং মানুষের সেবা করা। কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা এমনিতেই দেশের অনেক সেবা করে, সরকারীকরণের ফলে এই সেবা আরো অনেক বিস্তৃত হবে। তিন। কওমি, আলিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয় – এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে সমন্বয় ও মেলবন্ধন প্রয়োজন। কারণ, আমাদের প্রত্যেকের-ই কিছু না কিছু ক্রুটি আছে। সবাই একসাথে কাজ করলে দেশের সামষ্টিক জ্ঞান ও কাজের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এবং ...