সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ঈসা আ. লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মরিয়ম (আ) কি নবী বা রাসূল ছিলেন?

এক মরিয়ম (আ)-এর নিকট আল্লাহর ওহী, তাঁর বাণী ও তাঁর কিতাব এসেছিল। তিনি ঈসা নামক এক সন্তান জন্ম দেয়ার মাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন। [সূত্র – আল কোর’আন, ৬৬: ১২] ঈসা (আ)-এর নিকটও আল্লাহর ওহী, তাঁর বাণী ও তাঁর কিতাব এসেছিল। তিনি মানুষকে উপদেশ দেয়ার মাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন। মরিয়ম (আ) প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে আল্লাহর আদেশ পালন করার কারণে সাধারণ মানুষের আক্রমণের স্বীকার হন। ঈসা (আ)-ও প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে আল্লাহর আদেশ পালন করার কারণে সাধারণ মানুষের আক্রমণের স্বীকার হন। যেমন মা, তেমন সন্তান। দুই ইয়াহিয়া (আ)-এর মত মরিয়ম (আ)-এর নাম আল্লাহ তায়ালা নিজেই রেখেছেন [সূত্র ৩: ৩৬; ১৯: ৭],

স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছে?

অবিশ্বাসীগন বলেন, “স্রষ্টা মানুষকে সৃষ্টি করেনি, বরং মানুষ-ই স্রষ্টাকে সৃষ্টি করেছে।” হুম। তাদের কথা ঠিক। মানুষ অসংখ্য ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছে। যেমন, কেউ কৃষ্ণকে ঈশ্বর বানিয়ে পূজা করে। কেউ গৌতম বুদ্ধকে মহাজাগতিক স্রষ্টা ভেবে পূজা করে। কেউ ঈসা (আ)-কে আল্লাহর পুত্র বলে পূজা করে। কেউ আধুনিক বিজ্ঞানের পূজা করে। কেউ সম্পদের পূজা করে। কেউ জ্ঞানের পূজা করে। কেউ ভাস্কর্যের পূজা করে। কেউ শহীদদের স্তম্বকে পূজা করে। মানুষ এভাবে ইতিহাসে অসংখ্য স্রষ্টাকে সৃষ্টি করেছে এবং তার পূজা করছে। তাই, অবিশ্বাসীদের কথা কিছুটা ঠিক। তবে, মানুষ যে-সকল স্রষ্টাকে সৃষ্টি করতে পারে, আমরা তাদের ইবাদাত করি না। আবার, আমরা যে স্রষ্টার ইবাদত করি, মানুষ তাঁকে সৃষ্টি করতে পারে না। পার্থক্যটি এখানে সুস্পষ্ট।

ধর্ম ও নিউটনের ১২টি সূত্র

বিজ্ঞানের ‘অ, আ’ শুরু হয় স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্রগুলো মুখস্থ করার মাধ্যমে। প্রথম প্রথম নিউটনের সূত্রগুলো যখন পড়তাম, তখন গতির তৃতীয় সূত্রটি আমার খুব কাজে লাগতো। ক্লাসে বন্ধুরা কেউ আমাকে মারলে, আমি যদি কিছু করতে না পারতাম, তখন তাকে নিউটনের তৃতীয় সূত্রটি শুনিয়ে দিতাম - “প্রত্যেক ক্রিয়ার-ই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে”। সর্বজনীন মহাকর্ষ ও গতির তিনটি সূত্র আবিষ্কার করার কারণে নিউটনকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী মনে করা হয়। তাই, আমি একসময় ভাবতাম, ‘আহ! আমি যদি নিউটনের মত একজন বড় বিজ্ঞানী হতে পারতাম’। কিন্তু, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে চিন্তাগুলো সব পরিবর্তন হয়ে যায়। এখন ভাবি, ‘আহ! আমি যদি নিউটনের মত এত বড় একজন সূফী, দরবেশ ও ধর্মীয় স্কলার হতে পারতাম’। আপনি হয়তো আমাকে প্রশ্ন করবেন, নিউটন আবার ধর্মীয় স্কলার হলেন কবে? খুবই ভালো প্রশ্ন। আসলে, নিউটন সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। কারণ, আমাদের পাঠ্য বইয়ে নিউটন সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা-ই দেয়া হয় না। পাঠ্য বইয়ের কথা বাদ দিন, বাংলা ভাষায় আজ পর্যন্ত নিউটনের সামগ্রিক জীবন নিয়ে কোনো কিছু লেখা হয়নি। বাঙালিদের মাঝে এত এ...