সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

হাতমোজা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আকীদা পন্থী ও শবে বরাত পন্থী

১ শবে বরাত পন্থীদেরকে আপনি যদি বলেন, ‘ভাই, শবে বরাত তো কোর’আন ও হাদিসে নেই’; তাৎক্ষনিক সে আপনাকে ১০০০১ টি যুক্তি দিয়ে বলবে, ‘দেখুন, শবে বরাত কোর’আন ও হাদিসে না থাকলেও এটা ইসলামের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়’। তেমনি, আকীদা পন্থীদেরকে আপনি যদি বলেন, ‘ভাই, আকীদা তো কোর’আন ও হাদিসের কোথাও নেই’’ তাৎক্ষনিক সে আপনাকে ১০০০১ টি যুক্তি দিয়ে বলবে, ‘দেখুন, কোর’আন ও হাদীসে আকীদা না থাকলেও এটা কিন্তু ইসলামের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ২ শবে বরাত পন্থীদের যুক্তি হলো, কোর’আনে ‘লাইলাতুল মোবারক’ শব্দটি আছে, হাদিসে ‘নিসফে শাবাব’ শব্দটি আছে, সুতরাং শবে বরাত ইসলামের-ই একটি অংশ। আপনি যদি তাকে বলেন, ‘আচ্ছা, ঠিক আছে। আপনি ‘শবে বরাত’ শব্দটি ব্যবহার না করে, 'লাইলাতুল মোবারক' অথবা ‘নিসফে শাবান’ শব্দটি ব্যবহার করুন’। সে আপনার যুক্তি মানবে না। তেমনি,

হাতমোজা সমাচার

আমার আপু ইনবক্সে আমাকে একটা লেখা পাঠিয়েছেন। হাতমোজা নিয়ে অন্য একজনের লেখা । লেখার নিচে মন্তব্যগুলো পড়ে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে। ১। মুসলিমদের মহাসম্মেলনে অর্থাৎ হজ্জের সময়ে লাখো লাখো পুরুষের সামনে নারীরা হাতমোজা ও নিকাব পরেন না কেন? ২। নারীরা হাতমোজা ও নিকাব পরে যদি একেবারে ১০০% ঢেকে ফেলেন, তাহলে সূরা নূরের ৩০ নং আয়াতে পুরুষদেরকে দৃষ্টি নত করতে বলা হয়েছে কেন? ৩। সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “নারীদের যা প্রকাশ্য থাকার তা ব্যতীত” তাদের বক্ষদেশ আভরণ করার জন্যে। কিন্তু হাতমোজা দিয়ে ১০০% ঢেকে ফেললে নারীদের আর প্রকাশ্য থাকে কি? ৪। রাসূল (স) সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বলেছেন, “সহজ কর, কঠিন করো না”। কোনো নারী যদি হাতমোজা না পরতে চান, তাহলে তার জন্যে কঠিন কঠিন নিময় করার জন্যে কি রাসূল (স) বলেছেন? ৫। ঈমান ও তাকওয়া কি মানুষের হৃদয়ে থাকে না হাতে-পায়ে থাকে?