সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বিজ্ঞান লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সময়ের আপেক্ষিকতা সম্পর্কে কোর'আনের কিছু আয়াত

[সূরা ২৩/মুমিনুন -১১২-১১৪ ] قَالَ كَمْ لَبِثْتُمْ فِي الْأَرْضِ عَدَدَ سِنِينَ আল্লাহ বলবেনঃ তোমরা পৃথিবীতে কতদিন অবস্থান করলে বছরের গণনায়? قَالُوا لَبِثْنَا يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ فَاسْأَلِ الْعَادِّينَ তারা বলবে, আমরা একদিন অথবা দিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি। অতএব আপনি গণনাকারীদেরকে জিজ্ঞেস করুন। قَالَ إِن لَّبِثْتُمْ إِلَّا قَلِيلًا ۖ لَّوْ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَعْلَمُونَ আল্লাহ বলবেনঃ তোমরা তাতে অল্পদিনই অবস্থান করেছ, যদি তোমরা জানতে? [সূরা ৭০/মা’আরিজ – ৪, ৫ ] تَعْرُجُ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ إِلَيْهِ فِى يَوْمٍۢ كَانَ مِقْدَارُهُۥ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍۢ . فَٱصْبِرْ صَبْرًۭا جَمِيلًا “ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তা’আলার দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর। সুতরাং, তুমি ধৈর্য ধারণ কর, পরম ধৈর্য।” [সূরা ২২/হাজ্জ - ৪৭]

ড. সাইয়্যেদ হোসাইন নসের

সত্য ও সুন্দরের ব্রত নিয়ে জ্ঞানের পথে ছুটে চলা এক দুরন্ত পথিকের নাম সাইয়্যেদ হোসাইন নাসের। তিনি একাধারে ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিক, ভাষাবিদ, শিক্ষাবিদ এবং অসংখ্য ইসলামী বইয়ের লেখক। তাঁর গভীর ও মৌলিক চিন্তা-ভাবনা দ্বারা কেবল মুসলিম দুনিয়া নয়, পূর্ব-পশ্চিমব্যাপী প্রচুর অমুসলিম চিন্তাবিদও প্রভাবিত হয়েছেন। ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, সভ্যতা, স্থাপত্য, কবিতা, আধুনিকতা, পরিবেশ, প্রকৃতি ও আধ্যাত্মিকতা নিয়ে তার চিন্তা-ভাবনা বিশ্বব্যাপী জ্ঞান-তাত্ত্বিকদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করে চলেছে। একবিংশ শতাব্দীর তরুণ চিন্তাবিদদের একজন শিক্ষক তিনি, এটাই তাঁর বড় পরিচয়। ১৯৩৩ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি সম্ভ্রান্ত সূফী পরিবারে হোসাইন নাসেরের জন্ম। পিতা সাইয়্যেদ ভ্যালিআল্লাহ ছিলেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং ইরানের আধুনিক শিক্ষার প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় তেহরান শহরের একটি ইসলামী স্কুলে। এখানে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর তিনি চলে যান আমেরিকায়; সেখানে একটি স্কুলে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন। উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র থাক...

হিজামাহ বা 'শিঙ্গা লাগানো' কি রাসূল (স)-এর সুন্নত?

রাসূল (স)-এর অনেক আগেই চীন, মিসর, ইরান ও আরবের কিছু এলাকায় চিকিৎসার জন্যে হিজামাহ বা 'শিঙ্গা লাগানো'র রীতি চালু ছিলো। কিন্তু রাসূল (স) নিজে শিঙ্গা লাগানোর কোনো পদ্ধতি নতুন করে সাহাবীদেরকে শেখাননি, কিংবা, শিঙ্গা লাগানোর জন্যে রাসূল (স)-এর নিকট কোনো ওহী নাযিল হয়নি। বর্তমানে কোনো ব্যক্তির অসুখ হলে যেমন ডাক্তার তাঁকে ঔষধ লিখে দেন, তেমনি আগের যুগের মানুষ অসুস্থ হলে ডাক্তার তাদের কাউকে হয়তো শিঙ্গা লাগাতে বলতেন। কিন্তু অসুখ না হলে শিঙ্গা লাগানোর কোনো প্রয়োজন ছিলো না। অর্থাৎ, শিঙ্গা লাগানোটা ধর্মীয় কোনো বিষয় ছিলো না, বরং এটি একটি ডাক্তারি পদ্ধতি ছিলো। অধিকাংশ আলিম ও ফকিহ মনে করেন, শিঙ্গা লাগানোটা মেডিক্যালের একটি ব্যাপার, এবং এটি একটি মুস্তাহাব বিষয়। কেউ ইচ্ছে করলে ডাক্তারি কারণে শিঙ্গা লাগাবে, অথবা কেউ ইচ্ছে করলে শিঙ্গা লাগাবে না, এখানে বাধ্যবাধকতার কিছু নেই। কারণ, শিঙ্গা লাগানো সুন্নাত নয়। ইমাম আল আদায়ী, আল মাজিরী, ইবনে কায়্যিম, আল বাহুতি, ইবনে হাজার, এবং ইমাম নববী সহ অধিকাংশ ইমান মনে করেন, শিঙ্গা লাগানো সুন্নাত নয়। যে হাদিস দ্বারা শিঙ্গা লাগানোকে সুন্নত সাব্যস্ত করা হয়, তা আসলে দুর্...

এনলাইটেনমেন্ট বা বুদ্ধির বিকাশে 'হাঈ ইবনে ইয়াকজান'

ইউরোপের এনলাইটেনমেন্ট বা বুদ্ধির বিকাশ ঘটানোর জন্যে মুসলিমদের প্রচুর অবদান রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ আমরা মুসলিম দার্শনিক ইবনে তোফায়েল ও তাঁর ছাত্র ইবনে রুশদের কথা বলতে পারি। বুদ্ধির সাহায্যে কিভাবে স্রষ্টার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়, তা নিয়ে ইবনে তোফায়েল একটি উপন্যাস লিখেছিলেন, যার নাম হলো হাঈ ইবনে ইয়াকজান। এই উপন্যাসে তিনি দেখিয়েছেন যে, কোনো মানুষ যদি বনে-জঙ্গলে বাস করে, এবং তার কাছে যদি কোর’আন-হাদিস বা কোনো ধর্মের বাণী না পৌঁছায়, তবুও সে তার যুক্তি-বুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহকে চিনতে পারবে। ইবনে তোফায়েলের এ দার্শনিক উপন্যাসটি ইউরোপে এতো বেশী জনপ্রিয়তা লাভ করে যে, এ গ্রন্থকে তাঁরা একটি তত্ত্ব আকারে হাজির করেছেন। তত্ত্বটির নাম হলো - ‘ফিলোসফাস অটোডিডাকটাস’। ইউরোপের বিখ্যাত সব দার্শনিক এবং বিজ্ঞানীদের চিন্তা ভাবনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে হাঈ ইবনে ইয়াকজান। যেমন, থমাস হবস (১৫৮৮-১৬৭৯), জন ওয়ালিস (১৬১৬-১৭০৩), জন লক (১৬৩২-১৭০৪), আইজ্যাক নিউটন (১৬৪৩-১৭২৭), গটফ্রিড লাইবনিজ (১৬৪৬-১৭১৬), জর্জ বার্কলি (১৬৮৫-১৭৫৩), ডেভিড হিউম (১৭১১-১৭৭৬), ইমানুয়েল কান্ট (১৭২৪-১৮০৪), শোপেনহাওয়ার (১৭৮৮-১৮৬০) সহ আরো অ...

কোর’আনে কি মস্তিষ্কের বিষয়ে কোনো কথা আছে?

ব্রেইন বা মস্তিষ্ক মানুষের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিন্তু কোর’আনে কি মানুষের মস্তিষ্কের বিষয়ে কোনো কথা আছে? উত্তর – জ্বি, আছে। কোর’আনের অন্তত ১৬ টি স্থানে মানুষের মস্তিষ্কের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু কোর’আনের অধিকাংশ অনুবাদে ‘মস্তিষ্ক’ শব্দটিকে ‘হৃদয়’, ‘অন্তর’ বা ‘মন’ শব্দগুলো দ্বারা অনুবাদ করা হয়েছে। ‘হৃদয়’ শব্দটির জন্যে কোর’আনে ব্যবহার করা হয়েছে ‘কালব’ (قلب) শব্দটি এবং ‘মস্তিষ্ক’ শব্দটির জন্যে কোর’আনে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ফুয়াদ’ (فؤاد ) শব্দটি। কিন্তু অধিকাংশ সময়ে ‘কলব’ ও ‘ফুয়াদ’ শব্দ দুটির অনুবাদ করা হয় ‘হৃদয়’ শব্দটি দ্বারা। অথচ, ফুয়াদ শব্দটির প্রকৃত অর্থ হবে 'মস্তিষ্ক'। হৃদয় দিয়ে আমরা চিন্তা করি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আর, মস্তিষ্ক দিয়ে আমরা আমাদের চিন্তা ও সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করি। কালব ও ফুয়াদের পার্থক্য জানার জন্যে নিম্নের আয়াতটি আমরা দেখতে পারি। আল্লাহ তায়ালা বলছেন – وَأَصْبَحَ فُؤَادُ أُمِّ مُوسَىٰ فَارِغًا ۖ إِن كَادَتْ لَتُبْدِي بِهِ لَوْلَا أَن رَّبَطْنَا عَلَىٰ قَلْبِهَا لِتَكُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ “মূসা জননীর ‘ফুয়াদ’ ( বা মস্তিষ্ক) অস্থির হয়ে পড়ল। যদি আম...

মাতৃগর্ভে কি আছে তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ জানা সম্ভব?

সূরা লোকমানের শেষ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন – “মাতৃগর্ভে কি আছে তা আল্লাহ জানেন”। কিন্তু আধুনিক যুগে আলট্রাসাউন্ড করেই আমরা জেনে নিতে পারি যে, মায়ের গর্ভের শিশুটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। আল্লাহ যা জানেন, তা তো আমরা নিজেরাই জেনে যেতে পারি। এখানে আল্লাহর বিশেষত্ব আর কি রইলো? একজন ভাইয়া ইনবক্সে এমন একটি প্রশ্ন করেছেন। প্রশ্নের উত্তরে যাবার আগেই সূরা লোকমানের শেষ আয়াতটা দেখে নেই। আল্লাহ তায়ালা বলছেন – إِنَّ اللَّهَ عِندَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ ۖ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا ۖ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ “কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ নিকট রয়েছে। তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন। তিনি জানেন মাতৃগর্ভে কি আছে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে। কেউ জানে না কোন স্থানে তার মৃত্যু হবে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত।” [সূরা ৩১ / লোকমান - ৩৪] ------------- ব্যাখ্যা – ১ ------------- এ আয়াতে পাঁচটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে। সবগুলো বিষয়ে আল্লাহর জানা আছে, কিন্তু সবগুলো জানা একই ধরণের নয়। ...

বিজ্ঞানের ভিত্তি কল্পনা

বিজ্ঞান যে শাস্ত্রের মাধ্যমে গড়ে উঠে তার নাম গণিত। গণিত ছাড়া বিজ্ঞান অকল্পনীয়। কিন্তু, গণিতের কোনো অস্তিত্ব বাস্তব জগতে নেই, গণিত গড়ে উঠে কিছু কাল্পনিক ধারনার উপর ভিত্তি করে। যেমন ধরুন, আমি যদি বলি "কলা", তাহলে বাস্তব জগতে আপনি একটি কলাকে ধরতে পারবেন, এবং ইচ্ছে করলে খেতেও পারবেন। কিন্তু, আমি যদি বলি "৫', তাহলে "পাঁচ" নামের কোনো কিছুকে আপনি বাস্তব জগতে খুঁজে পাবেন না, এবং হাত দিয়ে ধরতেও পারবেন না। "৫" নামের একটি সংখ্যাকে আমরা উচ্চারণ করতে পারি, এবং কলম দিয়ে কাগজে লিখতে পারি, কিন্তু  বাস্তব জগতে "৫" নামের কোনো কিছুকে আমরা খুঁজে পাই না। অথচ, "৫" ছাড়া গণিত অচল, এবং গণিত ছাড়া বিজ্ঞান অচল। অর্থাৎ, বিজ্ঞান গড়ে উঠে কিছু কাল্পনিক ধারনার উপর ভিত্তি করে, যা বাস্তব জগতে পাওয়া যায় না। যারা বলেন, আমরা আল্লাহকে না দেখে বিশ্বাস করি না, তারা কিন্তু ঠিকই গণিতের সংখ্যাগুলোকে বাস্তব জগতে না দেখেই বিশ্বাস করে। তাদেরকে আপনি যদি বলেন, "দেখি আমাকে বাস্তব জগতে গণিতের সংখ্যাগুলো দেখাও তো", তখন সে আপনাকে কিছুই দেখাতে পারবে না।

বিজ্ঞানে মুসলিমদের ঐতিহ্য ও ‘নিল ডিগ্রেস টাইসন’-এর মিথ্যাচার

বিজ্ঞানের জগতে এমন কেউ নেই, যিনি ‘নিল ডিগ্রেস টাইসন’কে চিনেন না। টাইসন একজন মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী, বিশ্বতাত্ত্বিক, অনেকগুলো বেস্টসেলার বইয়ের লেখক এবং জনপ্রিয় বক্তা। তিনি প্রায়ই ইসলাম নিয়ে কথা বলেন। খুব দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন যে, মুসলিমরা এক সময়ে বিজ্ঞানে অনেক উন্নত ছিলো, কিন্তু আজ মুসলিমদের কেন এই দুর্দশা? বিজ্ঞানী টাইসনের একটি ভিডিও এখানে যুক্ত করে দিয়েছি, যেখানে তিনি দেখানোর চেষ্টা করেছেন, কেন মুসলিমদের আজ এই দুর্দশা। প্রথমে আসুন, তাঁর সেই ভিডিওতে তিনি কি বলেছিলেন, তা একটু সংক্ষেপে তুলে ধরি। https://www.youtube.com/watch?v=08sBrXM0u4Q বিজ্ঞানী টাইসন বলেন – “আমরা আকাশে যে নক্ষত্র ও তারাগুলো দেখছি, সেগুলোর মধ্যে অসংখ্য তারকার নাম আরবিতে, এবং মুসলিমরাই এগুলো আবিষ্কার করেছিলেন, এবং তাঁরাই এগুলোর নাম দিয়েছিলেন। গণিতে শাস্ত্রে আমরা এখন যে আল-জেবরা (Algebra - বীজগণিত) শব্দটি ব্যবহার করি, এটি একটি আরবি শব্দ। অথবা, কম্পিউটারের জন্যে আমরা যে অ্যালগরিদম (Algorithm) পরিভাষাটি ব্যবহার করি, এটিও একটি আরবি শব্দ এবং এগুলো মুসলিমদের-ই আবিষ্কার।

রেনে গেনোন - মসলিম দার্শনিক ও গণিতবিদ

বিংশ শতাব্দীর অন্যতম একজন মুসলিম গণিতবিদ, দার্শনিক ও সূফী হলেন রেনে গেনোন (René Guénon)। কেউ যদি আধুনিক বিজ্ঞান ও বস্তুবাদী নাস্তিক বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক জিহাদ করতে চায়, তাহলে রেনে গেনোন তাঁকে একটি ভালো পথ দেখিয়ে দিবে। রেনে গেনোন ১৮৮৬ সালে ফ্রান্সের একটি খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। সত্য অনুসন্ধানের ইচ্ছায় জীবনে বিভিন্ন ধর্ম গ্রহণ করার পর সর্বশেষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এবং ১৯৫১ সালে একজন মুসলিম হিসাবে মিশরে মৃত্যু বরণ করেন। মুসলিম হবার পর তাঁর নাম হয়েছিলো শেখ আবদুল ওহিদ ইয়াহিয়া। তাঁর লিখা বই পড়ে ইউরোপের প্রচুর মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। যে বইটি লিখে তিনি বিখ্যাত হয়েছিলেন, তা হলো – “The Crisis of the Modern World” বা, “আধুনিক বিশ্বের বিপদসমূহ।” বইটির সারমর্ম _________

ইসলামে জ্ঞান ও কর্মের সমন্বয়

গুগলের মতো যিনি অনেক তথ্য জানেন, তিনি জ্ঞানী নন। কিংবা যিনি অনেক কোর’আন হাদিস মুখস্থ পারেন, তিনি আলিম নন। জ্ঞানী হলেন তিনি, যিনি বিভিন্ন তথ্যকে নিজের জীবনে কাজে লাগান। অথবা, আলিম হলেন তিনি, যিনি কোর’আন ও হাদিসকে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করেন। উদাহরণ স্বরূপ, একজন লোক জানে, সিগারেট খাওয়া অনেক ক্ষতি, কিন্তু তিনি সিগারেট ছাড়তে পারেন না। তাহলে এই জানার কারণেই তার শরীর সুস্থ হয়ে যাবে না। তেমনি কেউ কোনো তথ্য জানলেও তা যদি নিজের জীবনে কাজে লাগাতে না পারে, তাহলে তিনি জ্ঞানী হতে পারেন না।  তেমনি কেউ যতই কোর'আন হাদিস মুখস্থ করুক, নিজের জীবনে কাজে না লাগাতে পারলে তিনিও আলিম হতে পারেন না। অথবা ধরুন, একজন মানুষ জানে, নামাজ কিভাবে পড়তে হয়। কিন্তু তিনি যদি নামাজ না পড়েন, তাহলে এই জানাটা তার কোনো কাজে আসে না। অর্থাৎ, আমরা কত বড় জ্ঞানী, তা আল্লাহ আমাদেরকে জিজ্ঞাস করবেন না, আমরা কতটা ভালো কাজ করতে পেরেছি, তা আল্লাহ আমাদের জিজ্ঞেস করবেন। __________ ইসলাম একটি আন্দোলন ও কর্মমুখী ধর্ম। অলসভাবে বসে বা শুয়ে থাকার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই। কোর’আনের প্রথম আদেশ হলো – “পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেন।...

মাদ্রাসা ও আমাদের ঐতিহ্য

‘মাদ্রাসা’ শব্দটি শুনলেই অনেকের মনে হয়, যেখানে দরিদ্র ছেলে-মেয়েরা প্রাইমারী স্কুলের মত কেবল ‘আলিফ-বা-তা’ শিখে, সেটাই মাদ্রাসা। কিন্তু, আমাদের ‘মাদ্রাসা’র ইতিহাস কখনোই এমন ছিল না। [caption id="attachment_1163" align="alignnone" width="3648"] SAMSUNG CAMERA PICTURES[/caption] উদাহরণ স্বরূপ ছবির মাদ্রাসাটি দেখুন। আজকের ‘সভ্য’ অ্যামেরিকা আবিষ্কার হবার ৭৫ বছর আগে এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অর্থাৎ, ১৪১৭ খ্রিস্টাব্দে, বর্তমানের উজবেকিস্তানে সমরকন্দে।

আত্মা সম্পর্কে আরজ আলি মাতুব্বরের ভ্রান্তি

যারা ইসলামের বিরোধিতা করে, তাদের প্রধান সমস্যা হলো তাঁরা হয়তো জীবনে একবারও কোর’আন পড়েনি, অথবা, পড়লেও কিছুই বুঝতে পারেনি। বাঙালি সেক্যুলারদের গুরু আরজ আলী মাতুব্বরেরও একই সমস্যা হয়েছে। তিনি হয়তো জীবনে কখনো কোর’আন পড়েননি, অথবা, বাংলা অনুবাদ পড়ে মোটেও বোঝেননি। ফলে, তার মনে ইসলাম সম্পর্কে বেশ কিছু অবান্তর প্রশ্ন জেগেছে, যার উত্তর কোর’আন পড়া যে কোনো মানুষ-ই সহজভাবে বলে দিতে পারে। যেমন ধরুন, মাতুব্বর আত্মা বিষয়ক বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন। যার উত্তর কোর’আনে সুন্দরভাবে দেয়া আছে। মাতুব্বর সাহেব বাংলা ভাষায় দক্ষ না হবার কারণে, “আত্মা বিষয়ক” লেখার ভিতরে কখনো ‘আত্মা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, আবার কখনো ব্যবহার করেছেন ‘প্রাণ’ শব্দটি। অর্থাৎ, একটি জগাখিচুড়ী অবস্থা করে ফেলেছেন। অথচ, ভাষাজ্ঞানে দক্ষ যে কেউই জানেন, দুটি শব্দ সমর্থক হলেও প্রত্যেক শব্দের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে। বাংলা ভাষায় আত্মা ও প্রাণ শব্দ দুটি সমর্থক বাচক শব্দ হলেও কোর’আনের ভাষায় আত্মা ও প্রাণ শব্দ দুটির মাঝে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। আত্মা শব্দের জন্যে কোর’আনে ‘নফস’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আর, প্রাণ শব্দটির জন্যে কোর’আনে ‘হাই’ শ...

স্রষ্টা ও ধর্ম নিয়ে বিশ্ববিখ্যাত দুই বিজ্ঞানীর দ্বন্দ্ব

স্টিফেন হকিং এবং মিচিও কাকু দু’জনই সমসাময়িক বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী। বাংলাদেশে স্টিফেন হকিং-এর নামটি অনেক পরিচিত হলেও বিজ্ঞানের জগতে স্টিফেন হকিং-এর চেয়ে মিচিও কাকু-র অবদান অনেক বেশি। মিচিও কাকু হলেন ‘স্ট্রিং তত্ত্বের’ কো-ফাউন্ডার। এ তত্ত্বটি অতীতের বিগ ব্যাং তত্ত্বকে পিছনে ফেলে বর্তমানে বিজ্ঞানে বিপ্লব নিয়ে এসেছে। তাই বিশ্বের কাছে স্টিফেন হকিং এর চেয়ে মিচিও কাকু’র জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার বইয়ের তালিকায় সাধারণত বিজ্ঞানের কোনো বই পাওয়া না গেলেও সেখানে মিচিও কাকু-র বিজ্ঞান বিষয়ক তিনটি বই বেস্টসেলার হয়েছে। অবশ্য, সেই তালিকায় স্টিফেন হকিং-এর একটি বইও নেই। দু’জনেই সমসাময়িক বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী হলেও স্রষ্টা ও ধর্ম নিয়ে দু’জনের অবস্থান দুই প্রান্তে।   ১ - ধর্ম, দর্শন ও বিজ্ঞানের সম্পর্ক নিয়ে তাঁদের বিতর্ক।   স্টিফেন হকিং তাঁর ‘The Grand Design’ বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে বলেছেন, ‘দর্শন মরে গেছে এবং ধর্ম অকার্যকর হয়ে গেছে, এখন কেবল বিজ্ঞানের যুগ’। তাঁর মতে, সত্য মানেই বিজ্ঞান। ধর্ম ও দর্শনের যাবতীয় সমস্যা বিজ্ঞান দিয়ে সমাধান করা সম্ভব। তাই, ধর্ম ও দর্শন এ...

'ইসলামী চিন্তার মানচিত্র' পরিচিতি

১৬ নভেম্বর ২০১৭। ইসলামী জ্ঞানের জগতে একটি বিশাল বিপ্লব প্রকাশিত হয়েছে। বিপ্লবটি পরিচালনা করেছেন তুরস্কের প্রায় ২০০ জন বুদ্ধিজীবী। আর, বিপ্লবটির নাম – “মুসলিম চিন্তাবিদদের মানচিত্র”। রাসূল (স)-এর পর থেকে আজ পর্যন্ত মুসলিমদের যত দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ছিলেন, সবাইকে এক কাতারে এবং এক নজরে নিয়ে এসেছে এই মানচিত্রটি। তিন খণ্ডের বই ও একটি চমৎকার ওয়েব সাইটের মাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়েছে। https://www.islamdusunceatlasi.org/timemaps/1 উপরের লিংকটিতে সকল মুসলিম দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদদের সিরিয়াল করা হয়েছে সময় অনুযায়ী। এখানে আপনি দেখতে পাবেন, কোন যুগে কোন দার্শনিক-বিজ্ঞানী-চিন্তাবিদ কি কি অবদান রেখেছেন। এ ছাড়া, তাঁরা কোথায় জন্ম গ্রহণ করেছেন, কোথায় মৃত্যু বরণ করেছে, এবং কোথায় কোথায় ভ্রমণ করেছেন, সব কিছু মানচিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে।

মুসলিম চিন্তাবিদ ও মনীষীদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা

বিংশ শতাব্দীর মুসলিম চিন্তাবিদদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা ১. আয়াতুল্লাহ খমিনী – (ইরান, ১৯০২ - ১৯৮৯) ২. আল্লামা তাবাতাবাঈ – (ইরান, ১৯০৩ - ১৯৮১) ৩. আবুল আ’লা মওদুদী – (পাকিস্তান, ১৯০৩ - ১৯৭৯) ৪. মালিক বিন নাবী – (আলজেরিয়া, ১৯০৫ - ১৯৭৩) ৫. হাসান আল বান্না – (মিশর, ১৯০৬ - ১৯৪৯) ৬. সাইয়েদ কুতুব – (মিশর, ১৯০৬ - ১৯৬৬) ৭. নুর উদ্দিন তোপচু – (তুরস্ক, ১৯০৯ – ১৯৭৫ ৮. ফজলুর রহমান – (পাকিস্তান, ১৯১৯- ১৯৮৮) ৯. মুর্তাজা মোতাহারী – (ইরান, ১৯২০ - ১৯৭৯) ১০. ইসমাইল রাজি আল ফারুকি - (ফিলিস্তিন, ১৯২১ - ১৯৮৬ ) ১১. আলী আইজাত বেগোভিচ – (বসনিয়া, ১৯২৫ - ২০০৩) ১২. নাজিমুদ্দিন এরবাকান – (তুরস্ক, ১৯২৬ - ২০১১) ১৩. শহীদ মোহাম্মদ বেহেশতী – (ইরান, ১৯২৮ - ১৯৮১) ১৪. নাকিব আল-আত্তাস – (ইন্দোনেশিয়া, ১৯৩১ - ) ১৫. হাসান আত-তুরাবী, (সুদান, ১৯৩২ - ২০১৬) ১৬. আলী শরিয়তি – (ইরান, ১৯৩৩ - ১৯৭৭) ১৭. সেজাই কারাকোচ - (তুরস্ক, ১৯৩৩ - ) ১৮. সাইয়্যেদ হোসাইন নাসর – (ইরান, ১৯৩৩ - ) ১৯. হাসান হানাফি – (মিশর, ১৯৩৫ - ) ২০. আবেদ আল জাবেরি – (মরক্কো, ১৯৩৬ - ২০১০) ২১. রশিদ ঘানুশী – (তিউনিসিয়া, ১৯৪১ - ) ২২. নাসের আবু জায়েদ – (মিশর, ১৯৪৩ - ২০...

সকল জ্ঞান-ই ইসলামের সম্পদ

কোর'আন একটি জ্ঞান, হাদিস একটি জ্ঞান, ফিকাহ একটি জ্ঞান, দর্শন একটি জ্ঞান, এবং বিজ্ঞান একটি জ্ঞান। এদের মাঝে স্তরবিন্যাসে পার্থক্য থাকলেও একটি জ্ঞান কখনো অন্য জ্ঞানের বিরোধী হয় না। আদম (আ)-কে আল্লাহ তায়ালা প্রথম যে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন, তা পৃথিবীর সকল মানুষের মধ্যেই রয়েছে। যে কেউ যে নামেই জ্ঞান চর্চা করুক না কেন, তা আল্লাহর সত্য জ্ঞানের সাথে কখনো বিরোধী হওয়া সম্ভব না। অজ্ঞতার কারণে অনেকেই মনে করেন, কোর'আনের এক আয়াতের সাথে অন্য আয়াতের বৈপরীত্য রয়েছে। কোর'আনের সাথে হাদিসের বৈপরীত্য রয়েছে। হাদিসের সাথে ফিকহের বৈপরীত্য রয়েছে। ধর্মের সাথে দর্শনের বৈপরীত্য রয়েছে। এবং দর্শনের সাথে বিজ্ঞানের বৈপরীত্য রয়েছে। নাস্তিকরা মনে করেন, কোর'আনের এক আয়াতের সাথে অন্য আয়াতের বৈপরীত্য রয়েছে। আহলুল কোর'আন মনে করেন, কোর'আনের সাথে হাদিসের বৈপরীত্য রয়েছে। আহলে হাদিস মনে করেন, হাদিসের সাথে ফিকহের বৈপরীত্য রয়েছে। কিছু কিছু ধার্মিক মনে করেন, ধর্মের সাথে দর্শনের বৈপরীত্য রয়েছে। আধুনিক বস্তুবাদী বিজ্ঞানী মনে করেন, বিজ্ঞানের সাথে ধর্ম ও দর্শনের বৈপরীত্য রয়েছে। কিন্তু, আসলে সব জ্ঞান-ই আল্লাহর পক্...

ভিন্ন গ্রহে প্রাণী

"বিজ্ঞান কোনো কিছু আবিষ্কার করলেই তোমরা বল, 'এটি তো কোর'আনে আছে'। কিন্তু তার আগে তো তোমরা কিছু বলতে পার না।" - এ অভিযোগটি অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু, এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল অভিযোগ। যেমন, দেখুন। ভিন্ন গ্রহে কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব বিজ্ঞান এখনো আবিষ্কার করতে পারে নি। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবী ছাড়া ভিন্ন গ্রহেও হাঁটতে পারে এমন প্রাণী রয়েছে। আল্লাহ বলছেন - وَمِنْ ءَايَـٰتِهِۦ خَلْقُ ٱلسَّمَـٰوَ‌ٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَثَّ فِيهِمَا مِن دَآبَّةٍۢ ۚ وَهُوَ عَلَىٰ جَمْعِهِمْ إِذَا يَشَآءُ قَدِيرٌۭ "তাঁর অন্যতম একটি নিদর্শন তিনি আসমানসমূহ ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। এবং উভয়ের মধ্যে তিনি জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা এ সবগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম।" [সূরা ৪২/শূরা - ২৯] এ আয়াতে স্পষ্ট যে, আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর বাইরে ভিন্ন গ্রহে জীব-জন্তু সৃষ্টি করেছেন। বিজ্ঞান এখনো তা আবিষ্কার করতে না পারলেও আমরা তা বিশ্বাস করি। ভবিষ্যতে যে দিন বিজ্ঞান তা আবিষ্কার করতে পারবে, সে দিন কেউ যদি বলে, এটা কোর'আনে অনেক আগেই ছিল, তাহলে তাতে সমস্যা কি? এমন অনেক কিছুই আছে, যা বিজ...

সুলতান সেলিম ও জেনবিলি আলি এফেন্দি-র রাজনীতি

একজন মুসলিমকে সকল কাজ 'বিসমিল্লাহ' বলে শুরু করতে হয়। একজন মুসলিম দার্শনিককে 'বিসমিল্লাহ' বলেই তাঁর চিন্তা শুরু করতে হয়। একজন মুসলিম বিজ্ঞানীকে 'বিসমিল্লাহ' বলেই তাঁর গবেষণা শুরু করতে হয়। একজন মুসলিম ডাক্তারকে 'বিসমিল্লাহ' বলেই তাঁর ডাক্তারি শুরু করতে হয়। তেমনি, একজন মুসলিম রাজনৈতিক ব্যক্তিকে 'বিসমিল্লাহ' বলেই রাজনীতির মাঠে নামতে হয়। অর্থাৎ, একজন মানুষ যে কোনো কিছুই করুক না কেন, 'বিসমিল্লাহ' বলেই কাজটি শুরু করতে হয়। সুতরাং, বিজ্ঞান, দর্শন ও রাজনীতি সহ জীবনের সব কাজেই ধর্মের ভূমিকা রয়েছে। _____ এ প্রসঙ্গে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বলি। _____

বিজ্ঞানের মিথ

বিজ্ঞানের মোড়কে যেসব বস্তুবাদী চিন্তা সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তাকে বলা হয় বস্তুবাদী বিজ্ঞান। গত শতাব্দীতে বস্তুবাদী বিজ্ঞান যেসব অন্ধ বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে ছিল, তা এখন একে একে সব ভেঙ্গে পড়ছে। উদাহরণ স্বরূপ বস্তুবাদী বিজ্ঞানের কিছু মিথ উল্লেখ করছি এখানে। ________ মিথ – ১ । “মহাবিশ্বের সবকিছু বস্তু দ্বারা সৃষ্টি। যা কিছু বস্তু দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব, তা হলো বিজ্ঞান; আর যা কিছু বস্তু দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়, তা বিজ্ঞান নয়।” … বস্তুবাদী বিজ্ঞানের উপরোক্ত তত্ত্বটি এখন ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। ডার্ক এনার্জি ও ডার্ক মেটার আবিষ্কার হওয়ার পর বস্তুবাদী বিজ্ঞানের এই অন্ধ বিশ্বাসকে অস্বীকার করা ছাড়া কোয়ান্টাম বিজ্ঞানের আর কোনো ভিন্ন উপায় নেই। ________ মিথ – ২ । “আবেগ, অনুভূতি, দয়া ও ভালোবাসা এগুলো মানুষের মস্তিষ্কে উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ, মানুষ হলো একটি বায়োলজিক্যাল রোবট।” ... কিন্তু সম্প্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘out of body experience’ বা ‘near death experience’ আবিষ্কার হওয়ার পর বিজ্ঞানকে আজ বিশ্বাস করতে হচ্ছে যে, মানুষের মস্তিষ্ক-ই সব না। মানুষ আসলে তার শরীর ও মস্তিষ্কের বাইরেও অবস্থান করতে পারে।

জুপিটার কেন সৃষ্টি হল?

বড়দের কাজ হলো ছোটদেরকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করা। এ দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালা মানুষদেরকে যেমন দিয়েছেন, তেমনি সৌরজগতের গ্রহগুলোকেও দিয়েছেন। আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহের নাম জুপিটার। পৃথিবীর চেয়ে ১১ গুন বড়। অর্থাৎ, কম করে হলেও ১৩০০টি পৃথিবীকে সে একাই গিলে খেতে পারবে। বড় ভাই হিসাবে জুপিটারকে আল্লাহ তায়ালা অনেক দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে তার প্রধান দায়িত্ব হলো ছোট ভাই পৃথিবীকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করা। বিপদ-আপদগুলো কি? এবার সে সম্পর্কে একটু বলি। বিভিন্ন সৌরজগতের কিছু কিছু নক্ষত্র মাঝেমধ্যে আমাদের সৌরজগতে বেড়াতে আসে। এদের নাম - Hot Jupiters । এরা বেড়াতে আসার পর আমাদের সৌরজগতের নক্ষত্রদের কেউ বলে, এটা আমার জায়গা, তুই এখানে আসলি কেন? বেড়াতে আসা নক্ষত্র বলে, এটা আমার জায়গা, তুই এখানে আসলি কেন? এক পর্যায়ে তাদের উভয়ের মাঝে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এবং উভয় নক্ষত্র ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে যায়। কিছু কিছু টুকরা আকারে আমাদের পৃথিবীর মত বড় হয়, আবার কিছু কিছু টুকরা একটু ছোট হয়। এই টুকরোগুলোকেই আমরা ধূমকেতু বলি। নক্ষত্রগুলো ধ্বংস হবার পর টুকরাগুলো এদিক-সেদিক ছুটতে থাকে। কিছু কিছু টুকরা সূর্যের গায়ের উপর গিয়ে পড়ে। আর...