সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

পুরুষ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নারীরা কিভাবে কথা বলে?

নারী ও পুরুষের শারীরিক ও মানসিক ভিন্নতা যেমন রয়েছে, তেমনি তাদের উভয়ের কথা বলার ভিন্নতাও রয়েছে। একই কথা বা একটি বাক্য কোনো নারী বললে যে অর্থ হয়, কোনো পুরুষ বললে সে অর্থ হয় না। দু’জনে কথা বলার সময়ে একই শব্দ ব্যবহার করলেও অর্থ হয় ভিন্ন ভিন্ন। উদাহরণ স্বরূপ, কোনো নারী যদি তাঁর জীবনসঙ্গীকে বলেন – “তুমি কখনোই আমার কোনো কথা শুনো না”, তখন এ কথাটিকে পুরুষেরা আক্ষরিক অর্থে বুঝে নেন। কিন্তু নারীটি আক্ষরিক অর্থে বুঝানোর জন্যে এ কথাটা বলেননি। তিনি আসলে বুঝাতে চেয়েছেন যে – “আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই, তোমার কি শুনার আগ্রহ আছে?” নারীরা কোনো কথাকে আক্ষরিক অর্থে বলেন না, বরং সব কথাকে সাধারণ অর্থে বলে থাকেন। কিন্তু পুরুষরা নারীদের সব কথাকে আক্ষরিক অর্থে বুঝে থাকেন, এবং সেভাবেই উত্তর দেন। নিচের কয়েকটি উদাহরণ দেখুন –

কোন ধরণের নারী ও পুরুষকে বিয়ে না করা উচিত?

আরবি একটা প্রবাদ আছে, ছয় প্রকার নারীকে বিয়ে করো না। সেই ছয় প্রকার হোলো- আন্নানা, মান্নানা, হান্নানা, হাদ্দাকা, বাররাকা ও শাদ্দাকা। "আন্নানা" হোলো সেই নারী যে সবসময়য় 'হায় আফসোস' করতে থাকে। এবং অলস, 'রোগিণী' ভান করে বসে থাকে। এমন নারীকে বিয়ে করলে সংসারে বরকত হয় না। "মান্নানা" হোলো সেই নারী যে স্বামীকে প্রায়ই বলে - 'আমি তোমার জন্যে এই করেছি, সেই করেছি।' "হান্নানা" হোলো সেই নারী যে তার পূর্ব স্বামী বা প্রেমিকের প্রতি আসক্ত থাকে। "হাদ্দাকা" হোলো সেই নারী যে কোনো কিছুর উপর থেকেই লোভ সামলাতে পারে না। সব কিছুই পেতে চায়, এবং স্বামীকে তা ক্রয়ের জন্যে নিয়মিত চাপে রাখে। "বাররাকা" হোলো সেই নারী যে সারাদিন কেবল সাজসজ্জা ও প্রসাধনে মেতে থাকে। এই শব্দের অন্য একটি অর্থ হোলো যে নারী খেতে বসে রাগ করে চলে যায়। এবং পরে একা একা খায়। "শাদ্দাকা" হোলো সেই নারী যে সবসময় বকবক করে _________________ অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, "কোন ধরণের পুরুষদের বিয়ে করা যাবে না?"

মনের মত মানুষ পাওয়া সম্ভব?

"আমি আমার মনের মত একজন মানুষ চাই" - এ বাক্যটি প্রায়ই আমরা বলে থাকি, কিংবা শুনে থাকি। সাধারণত বিয়ে করার সময়ে, অথবা, জীবনসঙ্গীকে পছন্দ করার সময়ে মানুষ এ কথাটি বলে থাকে। কিন্তু, এ বাক্যটির মাঝে একটি বড় ধরণের ভ্রান্তি রয়েছে। ভ্রান্তিটি হলো, কেউ যদি তাঁর মনের মত মানুষ চায়, তাহলে সারাজীবনেও তিনি তাঁর 'মনের মত মানুষ' খুঁজে পাবেন না। কেননা, আল্লাহ তায়ালা এ পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষকেই ইউনিক করে তৈরি করেছেন। অর্থাৎ, পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে তিনি একটি স্বতন্ত্র মন এবং স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ ব দান করেছেন। ফলে, পৃথিবীর যে কোনো দু'জন মানুষের দুটি মন কখনোই শতভাগ মিল হওয়া সম্ভব না। ধরুন, একই পরিবারের যমজ দুই বোন বা যমজ দুই ভাই। তাঁরা উভয়ে একই বাবা-মায়ের সন্তান; একই সময়ে এবং একই পরিবেশে বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও দু'জনের মন কখনো হুবহু এক হয় না। তাহলে, দুইটি পরিবারে এবং দুইটি পরিবেশে বড় হওয়া একটি ছেলে ও একটি মেয়ের মন কিভাবে এক হওয়া সম্ভব? যেখানে আমরা নিজেরাই নিজেদের মনকে ঠিকভাবে বুঝতে পারি না, সেখানে নিজের মনের মত অন্য একজন মানুষকে খুঁজে পাওয়া কি আদৌ সম্ভব?

নারী কি পুরুষের পাঁজরের হাড়?

“নারীদেরকে পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে” – এ কথাটি আমরা প্রায়ই শুনি। ইসলামকে বিতর্কিত করার জন্যে অনেকেই এ কথাটি বলে থাকেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, ইসলাম ধর্মের কোথাও এ কথাটি নেই। এটি হলো খ্রিস্টান ধর্মের একটি কথা। বাইবেলে বলা হয়েছে – Then the LORD God made a woman from the rib he had taken out of the man, and he brought her to the man. [Bible, New International Version, Genesis,Chapter 2, Verse 22] “স্রষ্টা পুরুষের পাঁজর থেকে একটি হাড় নিয়ে তা দিয়ে একজন নারীকে সৃষ্টি করেছেন। এবং তিনি নারীটিকে পুরুষের সামনে উপস্থিত করলেন।“ বাইবেলের এই লাইনটির ব্যাখ্যায় খ্রিস্টানগণ বলেন, আল্লাহ তায়ালা প্রথম আদম (আ)-কে সৃষ্টি করেছেন। এরপর আদমের পাঁজর থেকে একটি হাড় সংগ্রহ করেন। তারপর তা থেকে হাওয়া (আ)-কে সৃষ্টি করেন। খ্রিস্টানদের এ কথাটি এখন মুসলিম সমাজে খুবই পরিচিত। কিন্তু এর কারণ কি? মূলত, রাসূল (স) –এর একটি হাদিসকে কোর’আনের সাহায্যে ব্যাখ্যা না করে, বাইবেলের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেই এ সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে।

আমাদের দেশের নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র নয়

পুরুষেরা বিয়ের সময় আবশ্যিকভাবে নারীদেরকে মোহর বা সম্পদ দিতে হয়। ধরুন, একজন পুরুষ বিয়ে করার সময় তাঁর সঙ্গিনীকে পাঁচ লাখ টাকা দিলো। এ টাকাটা ঐ নারীটি কি করবে? অনেকে হয়তো ব্যাংকে জমা রেখে দিবে। কিন্তু মুসলিম নারী যেহেতু সুদ খায় না, সুতরাং মোহরের টাকাটা কোনো ব্যাংকে সে রাখবে না। তাহলে কি টাকাটা পুরুষকে ফিরিয়ে দিবে? না। কারণ, পুরুষকে টাকাটা ফিরিয়ে দিলে সেটা আর স্ত্রীর মোহর বা সম্পদ হিসাবে থাকে না। সেটা তখন পুরুষের নিজের সম্পদ হয়ে যায়। তাহলে, সংসারের চাল-ডাল কিনার জন্যে খরচ করবে? না। কারণ, সংসারের চার-ডাল কেনার দায়িত্ব কেবল পুরুষের। তাহলে?

নারী ও পুরুষের আচরণের ভিন্নতা

নারী ও পুরুষ উভয়ের আচরণের পার্থক্য বোঝার জন্যে উভয়ের ব্রেইন কাঠামো বুঝতে হয়। সাধারণত নারীদের ব্রেইনের ওজন ১২০০ গ্রাম, এবং পুরুষদের ব্রেইনের ওজন ১৩৭০ গ্রাম। অনেকে কৌতুক করে বলেন, পুরুষদের ব্রেইনের চেয়ে নারীদের ব্রেইন অনেক বেশি আপডেট। তাই পুরুষদের চেয়ে নারীদের ব্রেইন ছোট, কিন্তু কাজ করে বেশি। মানুষের ব্রেইন নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাঁরা বলেন, পুরুষের ব্রেইনে অনেকগুলো পার্টিশন আছে, কিন্তু নারীদের ব্রেইনে এত পার্টিশন নেই। ফলে পুরুষদের ব্রেইনের চেয়ে নারীদের ব্রেইন কিছুটা ছোট হওয়াই স্বাভাবিক। ধরুন, আপনার কাছে কাপড় রাখার একটি বক্স আছে। বক্সের পার্টিশন যত বেশি হবে, কাপড় তত কম রাখা যাবে। কিন্তু বক্সে যদি কোনো পার্টিশন না থাকে, তাহলে অনেক বেশি কাপড় রাখা যাবে। নারীদের ব্রেইনে পার্টিশন যেহেতু খুবই কম, ফলে নারীদের জন্যে ছোট একটা ব্রেইন হলেও চলে। কিন্তু পুরুষদের ব্রেইনে প্রচুর পার্টিশন থাকায় তাদের জন্যে কিছুটা বড় ব্রেইনের প্রয়োজন হয়। সহজে বললে, ছোট ছোট অসংখ্য কক্ষে বিশিষ্ট একটি ঘরের নমুনা হলো পুরুষদের ব্রেইন। আর, অনেক বড় এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘরের নমুনা হলো নারীদের ব্রেইন। মানুষের ব্রেইনের দুটি অংশ থা...

ইসলামে নারী ও পুরুষ

অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সূরা বাকারার ২৮২ নং আয়াত এবং সূরা নিসার ১১, ৩৪, ১৭৬ নং আয়াতে নারী ও পুরুষের মাঝে বৈষম্য করা হয়েছে। দেখুন, কোর’আনের যতগুলো আয়াতে নারী ও পুরুষের মাঝে বৈষম্য রয়েছে বলে দাবী করা হয়, সবগুলো আয়াত-ই সম্পদ সম্পর্কিত। সুতরাং, ইসলামে সম্পদের ধারণা কি তা ভালোভাবে না বুঝলে এই আয়াতগুলোর অর্থ বোঝা মুশকিল। পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র প্রাণী যারা পৃথিবীতে নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেছে। পৃথিবীকে যে যতটুকু দখল করতে পারে, সে ততবড় ধনী। আর যে পৃথিবীকে দখল করতে পারে না, সে গরিব। মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীরা পৃথিবীকে কখনো স্থায়ীভাবে ভাগাভাগি করে না। ফলে তাদের মাঝে কেউ ধনী বা কেউ গরিব নেই। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বলেছেন পাখীদের থেকে শিক্ষা নিতে। রাসূল (স) পাখিদের মত রিজিকের সন্ধান করতে বলেছেন। কারণ, পাখিরা পৃথিবীকে দখল করে রাখে না, এবং পৃথিবীতে মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে না। পাখীরা সকালে খালি পেটে বের হয়, এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে। মানুষ যদি পৃথিবীতে নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা না করে, পাখিদের মত কেবল আল্লাহর উপর-ই তাওয়াককুল করতে পারে, তাহলে মানুষেরাও পাখিদের মত স্বাধীন ও সুখী হতে পারে। সুখী হ...

বাংলা সাহিত্যে "স্বামী-স্ত্রী" সমস্যা, এবং কোর'আনের সমাধান

পর্ব এক ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দ জোড়াটি নিয়ে বাংলা সাহিত্যে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক আছে। এ শব্দ দুটি যেমন আপত্তিজনক, তেমনি বিপদজনকও বটে। বেগম রোকেয়া, ফরহাদ মজহার সহ অনেকেই এ শব্দগুলো নিয়ে আপত্তি তুলেছেন, বিতর্ক করেছেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলেও সত্য যে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দের সঙ্কট এখনো প্রকট। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দ জোড়াটি নিয়ে যদিও এখনো কেউ কোনো মীমাংসায় যেতে পারেনি, কিন্তু, আপনি ইচ্ছা করলেই কোর’আন থেকে ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দে র সঙ্কট নিরসন করতে পারবেন। প্রথমে আসুন, দেখা যাক, বাংলা সাহিত্যে ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দ জোড়াটি এবং এর সমর্থক শব্দগুলো কেন আপত্তিজনক? বাংলা একাডেমীর অভিধানে, ‘স্বামী’ শব্দের অর্থ হলো – ১ প্রভু; মনিব; পতি; খসম; ভর্তা। ২ মালিক; অধিপতি। ৩ পণ্ডিত; সন্ন্যাসীর উপাধিবিশেষ। এবং একই অভিধানে, ‘স্ত্রী’ শব্দের অর্থ হলো – ১ জায়া; পত্নী; বেগম; বিবি; বিবি; বধূ। ২ নারী; রমণী; কামিনী। ৩ মাদি। সুতরাং, এখানে দেখতেই পাচ্ছেন যে, ‘স্বামী’ ও ‘স্ত্রী’ শব্দ দুটির মাঝে শব্দগত কোনো সাদৃশ্য নেই, অর্থের কোনো সঙ্গতি নেই, এবং মর্যাদাগত কোন...

পরিবার

নারী, পুরুষের বাগান, সন্তানের জান্নাত। পুরুষ, নারীর বৃক্ষ, সন্তানের ছায়া। সন্তান, মায়ের রক্ত, বাবার বংশ।