সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নারীবাদ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইসলামে নারী ও পুরুষ

অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সূরা বাকারার ২৮২ নং আয়াত এবং সূরা নিসার ১১, ৩৪, ১৭৬ নং আয়াতে নারী ও পুরুষের মাঝে বৈষম্য করা হয়েছে। দেখুন, কোর’আনের যতগুলো আয়াতে নারী ও পুরুষের মাঝে বৈষম্য রয়েছে বলে দাবী করা হয়, সবগুলো আয়াত-ই সম্পদ সম্পর্কিত। সুতরাং, ইসলামে সম্পদের ধারণা কি তা ভালোভাবে না বুঝলে এই আয়াতগুলোর অর্থ বোঝা মুশকিল। পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র প্রাণী যারা পৃথিবীতে নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেছে। পৃথিবীকে যে যতটুকু দখল করতে পারে, সে ততবড় ধনী। আর যে পৃথিবীকে দখল করতে পারে না, সে গরিব। মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীরা পৃথিবীকে কখনো স্থায়ীভাবে ভাগাভাগি করে না। ফলে তাদের মাঝে কেউ ধনী বা কেউ গরিব নেই। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বলেছেন পাখীদের থেকে শিক্ষা নিতে। রাসূল (স) পাখিদের মত রিজিকের সন্ধান করতে বলেছেন। কারণ, পাখিরা পৃথিবীকে দখল করে রাখে না, এবং পৃথিবীতে মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে না। পাখীরা সকালে খালি পেটে বের হয়, এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে। মানুষ যদি পৃথিবীতে নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা না করে, পাখিদের মত কেবল আল্লাহর উপর-ই তাওয়াককুল করতে পারে, তাহলে মানুষেরাও পাখিদের মত স্বাধীন ও সুখী হতে পারে। সুখী হ...

বাংলা সাহিত্যে "স্বামী-স্ত্রী" সমস্যা, এবং কোর'আনের সমাধান

পর্ব এক ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দ জোড়াটি নিয়ে বাংলা সাহিত্যে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক আছে। এ শব্দ দুটি যেমন আপত্তিজনক, তেমনি বিপদজনকও বটে। বেগম রোকেয়া, ফরহাদ মজহার সহ অনেকেই এ শব্দগুলো নিয়ে আপত্তি তুলেছেন, বিতর্ক করেছেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলেও সত্য যে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দের সঙ্কট এখনো প্রকট। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দ জোড়াটি নিয়ে যদিও এখনো কেউ কোনো মীমাংসায় যেতে পারেনি, কিন্তু, আপনি ইচ্ছা করলেই কোর’আন থেকে ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দে র সঙ্কট নিরসন করতে পারবেন। প্রথমে আসুন, দেখা যাক, বাংলা সাহিত্যে ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দ জোড়াটি এবং এর সমর্থক শব্দগুলো কেন আপত্তিজনক? বাংলা একাডেমীর অভিধানে, ‘স্বামী’ শব্দের অর্থ হলো – ১ প্রভু; মনিব; পতি; খসম; ভর্তা। ২ মালিক; অধিপতি। ৩ পণ্ডিত; সন্ন্যাসীর উপাধিবিশেষ। এবং একই অভিধানে, ‘স্ত্রী’ শব্দের অর্থ হলো – ১ জায়া; পত্নী; বেগম; বিবি; বিবি; বধূ। ২ নারী; রমণী; কামিনী। ৩ মাদি। সুতরাং, এখানে দেখতেই পাচ্ছেন যে, ‘স্বামী’ ও ‘স্ত্রী’ শব্দ দুটির মাঝে শব্দগত কোনো সাদৃশ্য নেই, অর্থের কোনো সঙ্গতি নেই, এবং মর্যাদাগত কোন...

নারী, ইসলাম ও খ্রিস্টান

খ্রিস্টান ধর্মে, স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির সম্পর্ক হলো পিতা ও পুত্রের সম্পর্ক। স্রষ্টা হলেন পিতা, আর সৃষ্টির প্রতিনিধি যীশু হলেন পুত্র। কোর’আনে অনেকবার বলা হয়েছে যে, ঈসা (আ) হলেন মরিয়ম নামের একজন নারীর পুত্র, কিন্তু খ্রিস্টানরা বরাবর-ই বলতে থাকেন যে, ঈসা হলেন আকাশে থাকা একজন পুরুষের পুত্র। এখানেই ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মের পার্থক্য। খ্রিস্টান ধর্মে নারীদের কোনো স্থান নেই। নারীরা হলো পাপের উৎস। এ কারণে, খ্রিষ্টান ধর্মের বর্তমান ভার্সন বা আধুনিক ধর্মেও নারীরা হলো পাপী বা শয়তান। আধুনিক ধর্মের ভাষা ইংরেজি। তাই, ইংরেজি ভাষায় – প্রথম নারীর নাম – ইভ [Eve], আর এ কারণে, শয়তানের নাম – ইভিল [Evil] অর্থাৎ, নারী মানে শয়তান, আর শয়তান মানে নারী। ইউরোপ-অ্যামেরিকা বলুন, আর মধ্যপ্রাচ্য বলুন, বিশ্বের যেখানেই আধুনিক ধর্ম প্রবেশ করে, সেখানেই নারীদেরকে ‘শয়তান’ বা মন্দ নামে অভিহিত করা হয়। ফলে সেখানে নারীবাদ নামে নতুন এক শক্তির উদ্ভব হয়। আধুনিক ধর্ম ও নারীবাদ একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। যেখানেই আধুনিক ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটেছে, সেখানেই নারীবাদের জন্ম হয়েছে। আপনি আধুনিক ধর্ম গ্রহণ করে নারীদেরকে শয়তান বলবেন, আর নারীরা ...