সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জান্নাত লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইসলাম কি ভালোবাসার বিরুদ্ধে?

ইসলাম ভালোবাসার বিরুদ্ধে নয়, বরং ভালোবাসার নামে যারা প্রতারণা করে, ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে। ইসলাম মানুষকে ভালোবাসার জন্যে আদেশ করে। যেমন রাসূল (স) বলেছেন - لا تدخلون الجنة حتى تؤمنوا ، ولا تؤمنوا حتى تحابوا أولا أدلكم على شيء إذا فعلتموه تحاببتم : أفشوا السلام بينكم “একজন মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না ঈমান আনয়ন করবে। একজন মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না একে অপরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি জিনিস বলব, যা  পালন করলে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসার সৃষ্টি হবে? তা হলো – তোমাদের মধ্যে সালামের বিস্তার ঘটাও।” [সহীহ মুসলিম, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ৯৩] তাহলে ইসলাম কিসের বিরুদ্ধে? ইসলাম ভালোবাসার নামে প্রতারণার বিরুদ্ধে। একটি উদাহরণ দিচ্ছি।

জান্নাতের হুর গেলমান

অনেকে ওয়াজের মধ্যে জান্নাতের এমন বর্ণনা দেন, শুনে মনে হয়, তিনি এইমাত্র জান্নাত থেকে ঘুরে এসেছেন। অথচ, ইবনে আব্বাস (রা) বলেন - ليس في الدنيا من الجنة شيء إلا الأسماء "জান্নাতে যা আছে, কেবল নাম ছাড়া এমন কিছু পৃথিবীতে নেই।" [সূত্র: তাফসীরে তাবারী, খ – ১, পৃ - ৩৯২ ] ________ আমরা হুর-গেলমান এগুলোকে নিয়ে যেসব আলোচনা করি, অথবা, এগুলোকে যেভাবে পৃথিবীর সাথে মিলিয়ে ব্যাখ্যা করি, তা আসলে সঠিক নয়। কেননা, আমরা আসলে কেউই জানি না, জান্নাতের হুর বা গেলমান কেমন হবে? আমরা কেবল নামটা জানতে পারি।

আদম (আ) কি জান্নাতে ছিলেন?

- আদম (আ)-কে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর জন্যে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে জান্নাতে রেখে দিলেন কেন? - শয়তান কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না, কিন্তু আদম (আ)-এর জান্নাতে শয়তান কিভাবে প্রবেশ করল? - জান্নাত থেকে আদম (আ) কিভাবে পৃথিবীতে চলে আসল? - শয়তান যদি প্রতারণা না করত, তাহলে আদম (আ) কি কখনোই পৃথিবীতে আসতো না? এ জাতীয় হাজারো প্রশ্নের সমাধান মিলবে, যদি আমরা নিচের একটি সহজ প্রশ্নের উত্তর জানতে পারি। আদম (আ) কি দুনিয়ার জান্নাতে ছিলেন না আখিরাতের জান্নাতে ছিলেন? কোর’আনে দুই ধরণের জান্নাতের বর্ণনা করা রয়েছে। একটি দুনিয়ার জান্নাত, অন্যটি আখিরাতের জান্নাত। দুনিয়ার জান্নাতের সাথে আখিরাতের জান্নাতের পার্থক্য বুঝার জন্যে প্রথমে দুনিয়া ও আখিরাতের পার্থক্য জানা প্রয়োজন। দুনিয়া শব্দের অর্থ নিকটবর্তী, এবং আখিরাত শব্দের অর্থ পরবর্তী। পৃথিবীতে যেসব গাছ-গাছালি, সুন্দর বন বা বাগান আমরা দেখতে পাই, তা হলো পৃথিবীর জান্নাত। আর, মৃত্যুর পরে ভালোমন্দ বিচার করার পর আমাদেরকে যে জান্নাত দেয়া হবে, তা হলো আখিরাতের জান্নাত। এবার, কোর’আনের আলোকে দুনিয়ার জান্নাত ও আখিরাতের জান্নাতের কিছু পার্থক্য দেখুন।

পরিবার

নারী, পুরুষের বাগান, সন্তানের জান্নাত। পুরুষ, নারীর বৃক্ষ, সন্তানের ছায়া। সন্তান, মায়ের রক্ত, বাবার বংশ।