সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সভ্যতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অন্য সভ্যতার সাথে ইসলামের পার্থক্য

পৃথিবীতে চারটি বড় সভ্যতা রয়েছে। ইসলামী সভ্যতা, পশ্চিমা সভ্যতা, ভারতীয় সভ্যতা এবং চিনা সভ্যতা। ইসলামের সাথে বাকি তিনটি সভ্যতার পার্থক্য হলো, ইসলাম একটি বৈশ্বিক সভ্যতা, কিন্তু বাকি তিনটি হলো ভৌগোলিক সভ্যতা। ভারতীয় সভ্যতা তার ভৌগোলিক কারণেই চিনা সভ্যতার অংশ হতে পারে না। এবং চিনা সভ্যতা তার ভৌগোলিক কারণেই পশ্চিমা সভ্যতার অংশ হতে পারে না। কিন্তু ইসলামী সভ্যতা ভৌগোলিক কোনো সভ্যতা না হবার কারণে ভারতীয়, চিনা ও পশ্চিমা সভ্যতা সহ বিশ্বের সকল সভ্যতার অংশ হতে পারে। [Dr. Bruce Lawrence থেকে অনূদিত]  

সভ্যতা সম্পর্কে আল-ফারাবির চিন্তা

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ দার্শনিকদের অন্যতম আবু নাসের মুহাম্মাদ ইবন মুহাম্মাদ আল-ফারাবি। অধিবিদ্যা (Metaphysics), জ্ঞানতত্ত্ব ও রাজনৈতিক চিন্তার ক্ষেত্রে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা কখনো হারিয়ে যায় না। ইবনে ফারাবির ‘নৈতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত নগর’ (আল-মাদীনাহ আল ফাদিলাহ) ধারণাটি ইসলামী এবং গ্রীক নীতিশাস্ত্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি নগর জীবন, সভ্যতা এবং অধিবিদ্যার মাঝে একটি সংযোগ সৃষ্টি করেছেন। যদিও এই ধারণাগুলোর সঠিক অর্থ আজ আমাদের পৃথিবী থেকে হারিয়ে গিয়েছে, কিন্তু মানুষের উপযুক্ত আবাস হাজির থাকার জন্য এই ধারণাগুলোর পারস্পরিক সংযোগ একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাই আল-ফারাবির এই সংযোগ প্রচেষ্টাকে আবার পুনরুদ্ধার করার প্রয়োজন রয়েছে। সর্বপ্রথম ১৭৫৭ সালে, ‘ভিক্টর রিকেতি মিরাবু’ তার ‘মানুষের বন্ধু বা জনগণের চুক্তিনামা’ শীর্ষক গ্রন্থে ‘সভ্যতা’ শব্দটি ব্যবহার করেন। প্রায় দুই শতাব্দী পর একবিংশ শতাব্দীতে ‘স্যামুয়েল হান্টিংটন’ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর তাঁর বিখ্যাত একটি তত্ত্ব প্রকাশ করেন, সেখানে সভ্যতার পরিবর্তে সরাসরি ‘সংঘাত’কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাঁর সংঘাত তত্ত্বটি বাজারীকরণের ফলে যে প্রভাব সৃষ্টি ...