সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বিয়ে লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একদিন তো মরেই যাবো

গল্প _____ সুমন সাহেবের সব ইচ্ছাই পূরণ হলো। ছাত্র জীবনে নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন। অনার্স ও মাস্টার্সে সর্বোচ্চ রেজাল্ট করেছেন। পড়াশুনা শেষ হতে না হতেই, সোনার হরিণ নামক একটি সরকারী চাকরি পেয়েছেন। এরপর বিয়ে করেছেন সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের সুন্দরী আদরের মেয়ে তামান্নাকে। কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের দাম্পত্য জীবনে নতুন ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের আগমন ঘটলো। সুমন সাহেবের নামের সাথে মিলিয়ে সন্তানের নাম রাখা হলো সাফাত। সাফাত এখন আব্বু ডাকতে পারে। এতো বেশি সৌভাগ্যবান হবার কারণে প্রতিবেশীদের কেউ কেউ সুমন সাহেবকে একটু হিংসাও করে। সুমন সাহেবও এটা বুঝেন। নিজের অজান্তেই তার ভিতর একটা অহংকার বোধ কাজ করে। মনের ভিতর যখন অহংকার দানা বাঁধতে শুরু করে, মানুষ তখন তার আশেপাশের লোকদের ছোট মনে করতে থাকে। সুমন সাহেবেরও তাই হলো। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীকে তিনি কিছুটা বিদ্রূপ করেই কথা বলেন। কি নেই তার? ভাবটা এমন যে, তার সবই আছে। শিক্ষা, সম্মান, চাকুরী, টাকা-পয়সা কোনো কিছুর অভাব নেই। বিয়ের দু’বছর পর তামান্নার বাবা মারা যায়। তামান্নার বড় ভাই একটা দোকানে চাকরি করে কোনোভাবে সংসারটা চালিয়ে নিচ্ছেন। শ্বশ...

কোন ধরণের নারী ও পুরুষকে বিয়ে না করা উচিত?

আরবি একটা প্রবাদ আছে, ছয় প্রকার নারীকে বিয়ে করো না। সেই ছয় প্রকার হোলো- আন্নানা, মান্নানা, হান্নানা, হাদ্দাকা, বাররাকা ও শাদ্দাকা। "আন্নানা" হোলো সেই নারী যে সবসময়য় 'হায় আফসোস' করতে থাকে। এবং অলস, 'রোগিণী' ভান করে বসে থাকে। এমন নারীকে বিয়ে করলে সংসারে বরকত হয় না। "মান্নানা" হোলো সেই নারী যে স্বামীকে প্রায়ই বলে - 'আমি তোমার জন্যে এই করেছি, সেই করেছি।' "হান্নানা" হোলো সেই নারী যে তার পূর্ব স্বামী বা প্রেমিকের প্রতি আসক্ত থাকে। "হাদ্দাকা" হোলো সেই নারী যে কোনো কিছুর উপর থেকেই লোভ সামলাতে পারে না। সব কিছুই পেতে চায়, এবং স্বামীকে তা ক্রয়ের জন্যে নিয়মিত চাপে রাখে। "বাররাকা" হোলো সেই নারী যে সারাদিন কেবল সাজসজ্জা ও প্রসাধনে মেতে থাকে। এই শব্দের অন্য একটি অর্থ হোলো যে নারী খেতে বসে রাগ করে চলে যায়। এবং পরে একা একা খায়। "শাদ্দাকা" হোলো সেই নারী যে সবসময় বকবক করে _________________ অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, "কোন ধরণের পুরুষদের বিয়ে করা যাবে না?"

বউয়ের সাথে মিথ্যা কথা?

একবার এক প্রেমিক বন্ধুকে জিজ্ঞাস করেছিলাম, "প্রেম করতে কি যোগ্যতা লাগে রে?" সে বললোঃ "কিচ্ছু না, অনর্গল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে পারলেই হলো।" আবদুল্লাহ আবু সাইদ একবার আমাদেরকে বলেছিলেন, "প্রেম হচ্ছে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বসে বসে বাদাম খাওয়া, আর অনর্গল মিথ্যা বলে যাওয়া। দু'জনেই জানে যে, দু'জনেই মিথ্যা বলছে। তারপরেও একে অপরকে বলে- আরো বলো, আরো বলো"। বিয়ে ছাড়া যে প্রেম, সে প্রেমকে টিকিয়ে রাখতে হলে মিথ্যার উপরেই ভর করতে হয়। সত্য বললে সে প্রেম টিকে না। কিন্তু, বিয়ের ক্ষেত্রে? অনেকে বিয়ে করতে গেলেও অজস্র মিথ্যা বলে। কিন্তু, পৃথিবীর কোনো সম্পর্কই মিথ্যার উপর বেশিদিন টিকে থাকে না। বিয়ে পড়ানোর সময়ে ইমাম সাহেব যে কয়টি আয়াত পড়েন, তার একটি হলো - يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَقُولُوا۟ قَوْلًۭا سَدِيدًۭا "হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।" [সূরা ৩৩/ আহযাব - ৭০] আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে - "স্বামী বা স্ত্রীর সাথে মিথ্যা বলা জায়েজ"। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ কোর'আন বিরোধী একটি কথা। একজন মানুষ তাঁর জীবনসঙ্...

সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্যে তিনটি জিনিস থাকা চাই

বিয়ে-শাদি নিয়ে কোর'আনে অনেক আয়াত আছে। তম্মধ্যে আমার ভালো লাগা একটি আয়াত হলো - وَمِنْ ءَايَـٰتِهِۦٓ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَ‌ٰجًۭا لِّتَسْكُنُوٓا۟ إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةًۭ وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِى ذَ‌ٰلِكَ لَءَايَـٰتٍۢ لِّقَوْمٍۢ يَتَفَكَّرُونَ "আর তাঁর একটি নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও, এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্ চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।" [সূরা ৩০/ রূম - ২১] এ আয়াতে বলা হচ্ছে, চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। কিন্তু সেগুলো কি? বিবাহিত জীবনে এক জোড়া দাম্পত্যকে সাধারণত তিনটি পর্যায় অতিক্রম করতে হয়। অথবা, অন্যভাবে বললে, একটু সুখী দাম্পত্য জীবনে তিনটি জিনিস থাকতে হয়। ১। পারস্পরিক কাছে থাকার ইচ্ছা। ২। পারস্পরিক ভালোবাসা। ৩। পারস্পরিক দয়া। ধরুন, বিয়ের প্রথম ১০ বছর উভয়ে উভয়ের কাছে থাকতে চাইলো। তারপর, যদি কখনো কাছে থাকার বিষয়টি ধীরে ধীরে হ্রাস হয়ে আসে, তাহলে পরবর্তী ১০ বছর সম্পর্কটি ...

মনের মত মানুষ পাওয়া সম্ভব?

"আমি আমার মনের মত একজন মানুষ চাই" - এ বাক্যটি প্রায়ই আমরা বলে থাকি, কিংবা শুনে থাকি। সাধারণত বিয়ে করার সময়ে, অথবা, জীবনসঙ্গীকে পছন্দ করার সময়ে মানুষ এ কথাটি বলে থাকে। কিন্তু, এ বাক্যটির মাঝে একটি বড় ধরণের ভ্রান্তি রয়েছে। ভ্রান্তিটি হলো, কেউ যদি তাঁর মনের মত মানুষ চায়, তাহলে সারাজীবনেও তিনি তাঁর 'মনের মত মানুষ' খুঁজে পাবেন না। কেননা, আল্লাহ তায়ালা এ পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষকেই ইউনিক করে তৈরি করেছেন। অর্থাৎ, পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে তিনি একটি স্বতন্ত্র মন এবং স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ ব দান করেছেন। ফলে, পৃথিবীর যে কোনো দু'জন মানুষের দুটি মন কখনোই শতভাগ মিল হওয়া সম্ভব না। ধরুন, একই পরিবারের যমজ দুই বোন বা যমজ দুই ভাই। তাঁরা উভয়ে একই বাবা-মায়ের সন্তান; একই সময়ে এবং একই পরিবেশে বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও দু'জনের মন কখনো হুবহু এক হয় না। তাহলে, দুইটি পরিবারে এবং দুইটি পরিবেশে বড় হওয়া একটি ছেলে ও একটি মেয়ের মন কিভাবে এক হওয়া সম্ভব? যেখানে আমরা নিজেরাই নিজেদের মনকে ঠিকভাবে বুঝতে পারি না, সেখানে নিজের মনের মত অন্য একজন মানুষকে খুঁজে পাওয়া কি আদৌ সম্ভব?

বিয়ের আগে মেয়ের সাথে পরিচিত হতে হবে?

বিয়ে করতে গেলে তিনটি পর্ব বা তিনটি সময় অতিক্রম করতে হয়। এক – খিতবাহ বা মেয়ের সাথে পরিচিতি পর্ব। দুই – আকদ বা বিয়ের চুক্তি পর্ব। তিন – নিকাহ বা দাম্পত্য জীবন পর্ব। আমাদের দেশে বিয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বটি সম্পর্কে অনেকের স্বচ্ছ ধারণা থাকলেও প্রথম পর্বটি নিয়ে কেউ কেউ বেশ দ্বিধায় থাকেন। অর্থাৎ, খিতবাহ পর্ব বা মেয়ের সাথে পরিচয় পর্বটা আসলে কেমন হবে? –এটা অনেকের কাছে স্বচ্ছ নয়। খিতবাহ হলো বিয়ের উদ্দেশ্যে ছেলে-মেয়ে পরস্পরকে দেখা ও জানা-বুঝার পর্ব। মেয়ে যদি বিধবা হয়, তাহলে মেয়ের পরিবারের অজ্ঞাতেই ছেলে মেয়েটিকে জানা-বুঝার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু, মেয়ে যদি কুমারী হয়, তাহলে মেয়ের পরিবারের সম্মতিতে মেয়েকে দেখা ও জানা-বুঝা চেষ্টা করাটাকে খিতবাহ পর্ব বলা হয়। খিতবাহ পর্বটি ভালোভাবে না বুঝার কারণে সাধারণ দুটি ভুল হয়।

ছেলে কি করে? বউ খাওয়াতে পারব তো?

ছেলে কি করে? টাকা পয়সা কেমন আছে? বউ খাওয়াতে পারব তো? – এসব প্রশ্ন দিয়ে মেয়েপক্ষ নিয়মিতই বিবাহ প্রার্থী ছেলেদেরকে পীড়িত ও বিব্রত করে। এ কারণে ছেলেরাও সবসময় ভাবে, একটা ভালো চাকরি না পেলে যেহেতু ভালো কোনো মেয়ে বিয়ে করা যাবে না, সুতরাং, জীবনে সকল পড়াশুনার উদ্দেশ্য হলো একটি ভালো চাকরি পাওয়া। ফলে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্য কাঠামোকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে গ্রাজুয়েশন শেষ করে সবাই ভালো একটি চাকরি পেতে পারে। শিক্ষার্থীকে একজন জ্ঞানী মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার পরিবর্তে একজন যোগ্য  শ্রমিক হিসাবে গড়ে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রধান উদ্দেশ্য। জ্ঞান অর্জন বা জ্ঞান বিতরণ করা তাদের কাজ নয়, বরং সম্পদ অর্জন করার কৌশল শেখানোই তাদের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যাটির মূল কারণ কি? কারণ একটাই। আমরা জ্ঞানের চেয়ে সম্পদকে বেশি গুরুত্ব দেই। ফলে বিয়ের বাজারে গেলে দেখা যায়, মেয়েপক্ষ একজন জ্ঞানী ছেলের চেয়েও একটি ধনী পরিবারে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে দিতেই বেশি আগ্রহী হয়। অথচ, আল্লাহ তায়ালা দারিদ্রের ভয়কে বলেছেন শয়তানের কাজ। আর, জ্ঞানকে বলছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম নিয়ামত। আল্লাহ তায়ালা বলেন – الشَّيْطَانُ يَعِ...

প্রেম ও বিয়ে : সমস্যা ও সমাধান

বড় ভাই ও বন্ধুদের মাঝে যাদের ‘প্রেম-বিয়ে’র গল্প আমাকে শুনতে হয়েছে, সবগুলো মোটামুটি একই। ছেলে-মেয়ে দু’জন দুজনকে দেখে পছন্দ হয়েছে। কিছুদিন প্রেম করেছে। এরপর, মেয়ের পরিবার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিতে চাইলো। কিন্তু ছেলে তখনো বেকার, পড়াশুনা করে। বেকার ছেলের কাছে মেয়ের পরিবার কোনোভাবেই মেয়ে বিয়ে দিবে না। কারণ, ছেলে বিয়ে করে মেয়েকে রাখবে কোথায়? খাওয়াবে কোত্থেকে, এবং পরাবে কি? সুতরাং, ছেলে-মেয়ের এ সম্পর্ক কোনো ভাবেই মেনে নেয়া হবে না – এটাই মেয়ের পরিবারের শেষ সিদ্ধান্ত হয়। তারপর, তারা দু’জন পালিয়ে বিয়ে করে ফেলেন। এখন দুই পরিবারের কেউই এ বিয়ে মেনে নিচ্ছে না। - এ সমস্যাটি আমাদের সমাজে প্রচুর। বন্ধু হিসাবে আপনি যদি বন্ধুর পক্ষে কথা বলেন, তাহলে বন্ধুর পরিবার আপনাকে খারাপ বলবে। অন্যদিকে, আপনি যদি বন্ধুর পরিবারের পক্ষে কথা বলেন, তাহলে আপনার প্রিয় বন্ধুকে আপনি চিরতরে হারাতে হবে। সুতরাং, এ ক্ষেত্রে সমাধান কি? কেউ কেউ হয়তো বলবেন, যেহেতু তারা প্রেম করে বিয়ে করেছে, সুতরাং তাদের পক্ষে না যাওয়া-ই ভালো। আবার, কেউ কেউ হয়তো বলবেন, তারা যেহেতু বিয়ে করেই ফেলেছে, সুতরাং পরিবারের উচিত এই বিয়ে মেনে নেয়া। আসলে, এ ক্ষেত্রে...