সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

খ্রিস্টান লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইহুদী ও খ্রিস্টান শরিয়তের মধ্যবর্তী শরীয়ত ইসলাম

ইহুদি শরিয়তের নিয়ম হলো - কেউ আপনাকে একটি ঘুষি দিলে, আপনিও তাঁকে আরেকটি ঘুষি দিতে হবে। এখানে ক্ষমা করার কোনো সুযোগ নেই। আর, খ্রিষ্টান শরিয়তের নিয়ম হলো - কেউ আপনাকে একটি ঘুষি দিলে, আপনি তাকে আরেকটি ঘুষি দিতে পারবেন না, তাকে ক্ষমা করে দিতে হবে। ইসলাম হলো এ দুটি শরিয়তের মধ্যপন্থী একটি শরিয়ত। যে কোনো অন্যায়ের শাস্তি প্রদান করার ক্ষেত্রে ইসলাম মানুষকে একটি স্বাধীনতা দেয়। কেউ আপনাকে একটি ঘুষি দিলে, হয় আপনি তাকে হুবহু আরেকটি ঘুষি দিতে পারেন, অথবা, অপরাধীকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন - وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوا بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُم بِهِ ۖ وَلَئِن صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِّلصَّابِرِينَ "যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়েছে। আর, যদি সবর কর, তাহলে তা সবরকারীদের জন্যে উত্তম।" [সূরা ১৬/ নাহাল - ১২৬] ইসলামি শরিয়াহ পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো আইন হবার পিছনে কারণ হলো, ইসলাম মানুষকে দুটি অপসন দেয়। হয় প্রতিশোধ, না হয় ক্ষমা। এ ক্ষেত্রে ক্ষমা করে দেয়ার জন্যে ইসলাম সুপারিশ করে।

নারী, ইসলাম ও খ্রিস্টান

খ্রিস্টান ধর্মে, স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির সম্পর্ক হলো পিতা ও পুত্রের সম্পর্ক। স্রষ্টা হলেন পিতা, আর সৃষ্টির প্রতিনিধি যীশু হলেন পুত্র। কোর’আনে অনেকবার বলা হয়েছে যে, ঈসা (আ) হলেন মরিয়ম নামের একজন নারীর পুত্র, কিন্তু খ্রিস্টানরা বরাবর-ই বলতে থাকেন যে, ঈসা হলেন আকাশে থাকা একজন পুরুষের পুত্র। এখানেই ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মের পার্থক্য। খ্রিস্টান ধর্মে নারীদের কোনো স্থান নেই। নারীরা হলো পাপের উৎস। এ কারণে, খ্রিষ্টান ধর্মের বর্তমান ভার্সন বা আধুনিক ধর্মেও নারীরা হলো পাপী বা শয়তান। আধুনিক ধর্মের ভাষা ইংরেজি। তাই, ইংরেজি ভাষায় – প্রথম নারীর নাম – ইভ [Eve], আর এ কারণে, শয়তানের নাম – ইভিল [Evil] অর্থাৎ, নারী মানে শয়তান, আর শয়তান মানে নারী। ইউরোপ-অ্যামেরিকা বলুন, আর মধ্যপ্রাচ্য বলুন, বিশ্বের যেখানেই আধুনিক ধর্ম প্রবেশ করে, সেখানেই নারীদেরকে ‘শয়তান’ বা মন্দ নামে অভিহিত করা হয়। ফলে সেখানে নারীবাদ নামে নতুন এক শক্তির উদ্ভব হয়। আধুনিক ধর্ম ও নারীবাদ একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। যেখানেই আধুনিক ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটেছে, সেখানেই নারীবাদের জন্ম হয়েছে। আপনি আধুনিক ধর্ম গ্রহণ করে নারীদেরকে শয়তান বলবেন, আর নারীরা ...

ধর্ম ও নিউটনের ১২টি সূত্র

বিজ্ঞানের ‘অ, আ’ শুরু হয় স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্রগুলো মুখস্থ করার মাধ্যমে। প্রথম প্রথম নিউটনের সূত্রগুলো যখন পড়তাম, তখন গতির তৃতীয় সূত্রটি আমার খুব কাজে লাগতো। ক্লাসে বন্ধুরা কেউ আমাকে মারলে, আমি যদি কিছু করতে না পারতাম, তখন তাকে নিউটনের তৃতীয় সূত্রটি শুনিয়ে দিতাম - “প্রত্যেক ক্রিয়ার-ই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে”। সর্বজনীন মহাকর্ষ ও গতির তিনটি সূত্র আবিষ্কার করার কারণে নিউটনকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী মনে করা হয়। তাই, আমি একসময় ভাবতাম, ‘আহ! আমি যদি নিউটনের মত একজন বড় বিজ্ঞানী হতে পারতাম’। কিন্তু, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে চিন্তাগুলো সব পরিবর্তন হয়ে যায়। এখন ভাবি, ‘আহ! আমি যদি নিউটনের মত এত বড় একজন সূফী, দরবেশ ও ধর্মীয় স্কলার হতে পারতাম’। আপনি হয়তো আমাকে প্রশ্ন করবেন, নিউটন আবার ধর্মীয় স্কলার হলেন কবে? খুবই ভালো প্রশ্ন। আসলে, নিউটন সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। কারণ, আমাদের পাঠ্য বইয়ে নিউটন সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা-ই দেয়া হয় না। পাঠ্য বইয়ের কথা বাদ দিন, বাংলা ভাষায় আজ পর্যন্ত নিউটনের সামগ্রিক জীবন নিয়ে কোনো কিছু লেখা হয়নি। বাঙালিদের মাঝে এত এ...