সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

শবে বরাত লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আকীদা পন্থী ও শবে বরাত পন্থী

১ শবে বরাত পন্থীদেরকে আপনি যদি বলেন, ‘ভাই, শবে বরাত তো কোর’আন ও হাদিসে নেই’; তাৎক্ষনিক সে আপনাকে ১০০০১ টি যুক্তি দিয়ে বলবে, ‘দেখুন, শবে বরাত কোর’আন ও হাদিসে না থাকলেও এটা ইসলামের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়’। তেমনি, আকীদা পন্থীদেরকে আপনি যদি বলেন, ‘ভাই, আকীদা তো কোর’আন ও হাদিসের কোথাও নেই’’ তাৎক্ষনিক সে আপনাকে ১০০০১ টি যুক্তি দিয়ে বলবে, ‘দেখুন, কোর’আন ও হাদীসে আকীদা না থাকলেও এটা কিন্তু ইসলামের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ২ শবে বরাত পন্থীদের যুক্তি হলো, কোর’আনে ‘লাইলাতুল মোবারক’ শব্দটি আছে, হাদিসে ‘নিসফে শাবাব’ শব্দটি আছে, সুতরাং শবে বরাত ইসলামের-ই একটি অংশ। আপনি যদি তাকে বলেন, ‘আচ্ছা, ঠিক আছে। আপনি ‘শবে বরাত’ শব্দটি ব্যবহার না করে, 'লাইলাতুল মোবারক' অথবা ‘নিসফে শাবান’ শব্দটি ব্যবহার করুন’। সে আপনার যুক্তি মানবে না। তেমনি,

শবে বরাত

আমরা ইসলামকে এমন একটি ধর্মে পরিণত করেছি, যার ফলে, কোর’আনের আদেশগুলো যেমন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না, আবার কোর’আনের নিষেধগুলোও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। যারা শবে বরাত পালন করেন, তাঁরা এমন একটি বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যা কোর’আনে আদেশ করা হয়নি। আবার, যারা শবে বরাত পালন করতে নিষেধ করেন, তাঁরাও এমন একটি নিষেধ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যা কোর’আনে নিষেধ করা হয়নি। শবে বরাত বাঙালিদের হাজার বছরের সার্বজনীন একটি সংস্কৃতি। ইসলামে এটাকে হালাল বা হারাম কিছুই বলা হয়নি। সুতরাং, কেউ যদি বলে, শবে বরাত সবাইকে পালন করতে হবে, তাহলে সেটাও যেমন বিদায়াত; আবার কেউ যদি বলে শবে বরাত হারাম, তাহলে সেটাও বিদায়াত। কারণ, রাসূল (স) শবে বরাতকে হারাম করে যাননি। কোর’আনের কোনো নির্দেশনা ছাড়াই বিভিন্ন শায়েখের রেফারেন্সে “এটা হালাল, ঐটা হারাম” এসব বলা মানে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করা। وَلَا تَقُولُوا۟ لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ ٱلْكَذِبَ هَـٰذَا حَلَـٰلٌۭ وَهَـٰذَا حَرَامٌۭ لِّتَفْتَرُوا۟ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ ۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ لَا يُفْلِحُونَ “তোমরা আল্লাহর বিরুদ...