সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডার্ক এনার্জি লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বক্ষ প্রশস্ত হওয়ার বিজ্ঞান

ছোট বেলায়, টেবিলে পড়তে বসে শুরুতে একটি দোয়া না পড়লে আব্বু-আম্মু বকা দিতেন। দোয়াটা হলো – رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي يَفْقَهُوا قَوْلِي অর্থাৎ, “হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন। আমার কাজ সহজ করে দিন। এবং আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।” [আল কোর’আন, ২০/সূরা তাহা, আয়াত ২৫-২৮] মূলত, এ দোয়াটি হজরত মূসা (আ)-এর একটি দোয়া। মূসা (আ)-কে আল্লাহ তায়ালা যখন ফিরাউনের নিকট যাওয়ার আদেশ দিলেন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে এই দোয়াটি করেছিলেন। তো, ছোট থেকে যখন আমি আরেকটু বড় হলাম, এবং যখন এই দোয়াটির অর্থ বুঝলাম, তখন মনে একটি প্রশ্ন আসলো – ‘আচ্ছা, বক্ষ প্রশস্ত হওয়ার সাথে পড়াশুনার সম্পর্ক কি?”

বিজ্ঞান কি অনেক এগিয়ে গেছে?

কেউ কেউ বলেন – ‘বিজ্ঞান আজ অনেক এগিয়ে গিয়েছে’। আমার মনে হয়, এভাবে না বলে আমাদের বলা উচিত – ‘বিজ্ঞান আজো অনেক পিছনে পড়ে রয়েছে’। কেন এ কথা বলেছি? একটা উদাহরণ দিচ্ছি। কোর’আনের শুরুতেই বলা হয়েছে – যারা ‘অজানা’ বা ‘গায়েব’কে বিশ্বাস করে, তাঁরা সফল। কিন্তু, সেকেলে উগ্র-মূর্খ বিজ্ঞানীরা বলতেন, ‘আরে বেটা, বিশ্বজগতে অজানা-অদৃশ্য বলে কিছুই নেই; সব-ই তো আমাদের জানা, সবই তো আমাদের দেখা। তোরা কি-সব অদৃশ্য বেহেস্ত-দোজখ-জিন-ফেরেশতার কথা বলছিস? এসব এখন রাখ, এখন বিজ্ঞানের যুগ। আমরা তোদের ঐ-সব অদৃশ্য জগত বিশ্বাস করি না’। এরপর, ঐসব মূর্খ বিজ্ঞানীদের পাল্লায় পড়ে আমাদের বাঙালি কবি-সাহিত্যিকরাও তখন লিখতে শুরু করলেন – “উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু সব তোমাদের জানা আমরা শুনেছি সেখানে রয়েছে জিন ,পরী, দেও, দানা।” ---সুফিয়া কামাল, আজিকার শিশু। কিন্তু, কয়দিন আগে ঘটলো ভিন্ন ঘটনা – এসব মূর্খ-বিজ্ঞানীদের হুঁশ ফিরে আসতে শুরু করলো। তারা তাদের আশেপাশের ঘুমন্ত বিজ্ঞানীদের জাগাতে শুরু করলেন। এবং বললেন – ‘আরে... আরে... শুনছ...? তোমরা তো এ বিশ্ব জগত সম্পর্ক কিছুই জানো না’।

পৃথিবীতে বিজ্ঞানের যত বই আছে, সবগুলো-ই ভুল

জানি, আপনি হয়তো আমার কথা বিশ্বাস করবেন না। এ কারণেই, কাকু’র একটা লেকচার কমেন্টে দিয়ে দিলাম। না, না। তিনি আমার কাকা না। ভদ্রলোকের নাম –মিচিও কাকু [Michio Kaku]। তিনি অ্যামেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটি কলেজের একজন প্রফেসর, এবং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন পদার্থ বিজ্ঞানী। বাংলার ‘জাফর ইকবাল’ নিয়মিত এই ভদ্রলোকের লেখা চুরি করেন বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ রায়। তো, কাকু বলছেন যে, ‘পৃথিবীতে পদার্থ বিজ্ঞানের যত বই আছে, প্রতিটি বই-ই ভুল’। কেন বললেন? কাকু’র ব্যাখ্যাটা শুনুন। তিনি বলছেন – পৃথিবীর প্রতিটি বিজ্ঞানের বইয়ে লেখা রয়েছে যে, ‘বিশ্বজগতের সবকিছু পরমাণু দিয়ে গঠিত’। – এই কথাটার চেয়ে বড় কোনো ভুল পৃথিবীতে আর নেই। বিশ্বজগতে প্রধানত দুই ধরণের বস্তু এবং দুই ধরণের শক্তি আছে। আমাদের এই দু’চোখ দিয়ে আমরা যা কিছু দেখতে পারি, তা হলো মোট বিশ্বজগতের ০.০৩% ভাগ। বাকি ৯৯.৯৭% ভাগ বস্তু ও শক্তি কোনো বিজ্ঞানীর দ্বারাও দেখা ও বোঝা সম্ভব না। এগুলোকে বলা হয় – অদৃশ্য বস্তু এবং অদৃশ্য শক্তি। মহাবিশ্বের এই ‘অদৃশ্য বস্তু’ এবং ‘অদৃশ্য শক্তি’কে পৃথিবীর সকল বিজ্ঞানের বইয়ে অস্বীকার করা হয়েছে। তাই, পৃথিবীতে বিজ্ঞানের সকল বইপুস্তক...

মিচিও কাকু ও স্টিফেন হকিং : বিশ্বাস ও অবিশ্বাস

বিজ্ঞানমনস্ক অবিশ্বাসীদের কাউকে যদি আপনি জিজ্ঞেস করেন, ‘ভাই, স্টিফেন হকিং-কে চিনেন?’ প্রশ্ন শুনেই তিনি চেয়ার থেকে লাফ দিয়ে উঠে বলবেন, ‘আরে, মিঞা, চিনি না মানে...। উনারে না চিনলে তো আপনার জীবনের ষোল আনাই মিছে’। এরপর, যদি আবার জিজ্ঞেস করেন, ‘ভাই, মিচিও কাকু-কে চিনেন?’ তিনি একটা শুকনা কাশি দিয়ে বলবেন, ‘কোন গ্রামের ‘মিস্ত্রী চাচা’র কথা বলছেন?’ আসলে, বিজ্ঞানমনস্ক বাঙালিরা স্টিফেন হকিং-কে খুব ভালোভাবে চিনলেও মিচিও কাকু-র নামও জানেন না অনেকেই। অথচ, দুই জনই বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানে অবদানের ক্ষেত্রে মিচিও কাকু-র অবদান স্টিফেন হকিং-এর চেয়ে অনেক বেশি। মিচিও কাকু হলেন ‘স্ট্রিং তত্ত্বের’ কো-ফাউন্ডার, যা অতীতের বিগ ব্যাং তত্ত্বকে পিছনে ফেলে বর্তমান বিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে। অবিশ্বাসী বাঙালিরা ব্যতীত, বিশ্বের অন্য মানুষদের কাছে, স্টিফেন হকিং এর চেয়ে মিচিও কাকু অনেক বেশি জনপ্রিয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার বইয়ের তালিকায় সাধারণত কোনো বিজ্ঞানের বই পাওয়া যায় না। কিন্তু সেখানেও মিচিও কাকু-র বিজ্ঞান বিষয়ক তিনটি বই বেস্টসেলার হয়েছে। অথচ, সেই তালিকায় স্টিফেন হকিং-এর নাম-গন্ধও নেই। মিচিও কা...