সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আবু হানিফা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কোনো মুমিনকে কাফির বলা যায়?

তবলীগের দুটি গ্রুপ একে অপরের চিন্তাকে গ্রহণ করতে পারছেন না বলে একে অন্যকে ভ্রান্ত বলছেন। এর মধ্যে কয়েকজনকে দেখলাম, অন্যকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দিচ্ছেন। অথচ, আলী (রা)-এর মত একজন সাহাবী ও খলিফার বিরুদ্ধের যারা যুদ্ধ করেছেন, তাঁদেরকেও আলী (রা) মুমিন হিসাবে গ্রহণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে ইমাম আবু হানিফা (রা) বলেন – وقد بلغَني عن علي بنِ طالبٍ رضي اللهُ تعالى عنهُ حينَ كتبَ القضيَّةَ أنهُ يُسمِّي الطائفتَيْنِ مؤمنينَ جميعاً “আমি আলী (রা) থেকে একটি সিদ্ধান্তে পৌছেছি। আলী (রা) যখন ‘কাদীয়্যাহ’ বইটি লিখেন, তখন যুদ্ধরত দুই গ্রুপকেই তিনি মুমিন হিসাবে নামকরণ করেছিলেন।” [সূত্র: রিসালাতু আবি হানিফা ইলাল বাতি] রাসূল (স)-এর প্রিয় সাহাবীদেরকে হত্যা করার মতো জঘন্য অন্যায় যারা করেছেন, তাদেরকেও আলী (রা) ইসলাম থেকে খারিজ করে দেননি, বরং মুমিন হিসাবে তাঁদের পরিচয় দান করেছেন।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষকদের কথা একটু কল্পনা করুন। আপনার চোখে কি ভেসে উঠবে? ভয়ঙ্কর সব চিত্র। ছোট বেলার আরবি শিক্ষক মানেই বেত্রাঘাত। পড়া না পারলেই ঠাস... ঠাস...। এরপর, প্রাইমারি স্কুলের অংক শিক্ষক। ভুল করলেই ডাস্টার নিক্ষেপ, এবং মাথা পেটে রক্ত। তারপর, হাই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক। প্রাইভেট না পড়লে নিশ্চিত ফেল। অতঃপর, মাদ্রাসার হুজুর। প্রশ্ন করলেই বলেন – “বেয়াদব কোথাকার”। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তো নিজদেরকে ‘প্রভু’ মনে করেন। সামান্য একটা প্রশ্নের কারণে ১৫/১৬ বছরের ছাত্রজীবনকে একেবারে ধ্বংস করে দেন। কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সর্বস্তরের শিক্ষকদের কোচিং ও প্রাইভেট ব্যবসা জমজমাট। অর্থের বিনিময় ছাড়া শিক্ষা প্রদান করতে তাঁরা মোটেও আগ্রহী নন। এই হলো আমাদের শিক্ষক সম্প্রদায় এবং এই হলো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষাব্যবস্থার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম, এটা পরিবর্তন করা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু একজন শিক্ষক তো নিজেকে ভালো ব্যবহারের অধিকারী করতে পারেন। এতে তো কোনো বাধা নেই। তবু আমাদের শিক্ষক সমাজের আজ এই অবস্থা কেন? ইতিহাসে দেখি। আহ! কত সুন্দর ছিল আমাদের ইসলামী শিক...