সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সাহিত্য লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মানুষ, প্রাণী ও বস্তুর সাথে ভাষার সম্পর্ক

আমাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয়, ভাষা মানে কি? তখন আমাদের মনে “অ, আ, ক, খ” এমন বর্ণগুলো ভাসতে থাকে। এ কারণে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি আসলেই চতুর্দিকে বিভিন্ন পোষ্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ডে আমরা বাংলা বর্ণগুলো নিয়মিত দেখতে পাই। এরপর, আমাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয়, মাতৃভাষা কাকে বলে? তখন ছোটবেলায় মায়ের কাছে আমরা যে ভাষাটি শিখেছি, তা মনে পড়ে। আসলে ভাষা মানে চোখে দেখা কয়েকটি অক্ষর, অথবা, কানে শুনা কয়েকটি শব্দ নয়। ভাষা মানে হচ্ছে ভাবের বিনিময়। আমাদের মনে যখন কোনো একটি ভাবের উদয় হয়, তখন সে ভাবটি অন্যের নিকট উপস্থাপন করাকেই ভাষা বলে। মানুষের জন্যে ভাব প্রকাশ করার সবচেয়ে সহজ ও প্রাচীন মাধ্যম হলো মুখ দিয়ে শব্দ উচ্চারণ করা, এবং কান দিয়ে তা শুনা। কিন্তু, প্রাচীন কালে কথা বলার মাধ্যমে যে ভাব প্রকাশ করা হতো, তা খুব অস্থায়ী ও সীমিত রূপ ধারণ করতো। কারণ, মুখে কোনো শব্দ উচ্চারণ করার সাথে সাথে তা বাতাসে মিশে যেতো। তখন মুখের আশেপাশে থাকতো, তারাই কেবল মুখে উচ্চারিত শব্দগুলোর ভাব বুঝতে পারতো।

ভালোবাসার কথামালা

ভালোবাসার তিনটি সূত্র: ১। নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বা মন্দ যাই হোক না কেনো, সমর্থ অনুযায়ী অন্যের জন্যে সময় ও অর্থ ব্যয় করা। ২। নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল জানা। ৩। অন্যকে দোষারোপ না করে ক্ষমা করে দেয়া। [সূত্র: আল কোর'আন, সূরা ৩/ আল ইমরান, আয়াত - ১৩৪] ******************** LOVE is for giving and forgiving. [Source: Al Quran, 3:134] ********************

ডিজিটাল প্রেমের ছড়া

তুমি আমার সকাল বেলার দুইটা সিদ্ধ ডিম, তুমি আমার দৌড়াদৌড়ি পেট কমানোর জিম। তুমি আমার ফেইসবুকের একশ একটা শেয়ার তুমি আমার পড়ার টেবিল ঘুম পাড়ানি চেয়ার। তুমি আমার ইউটিউবের পছন্দের এক লেকচার, তুমি আমার কি-বোর্ডের আঙ্গুলের ঘর F, J, R তুমি আমার মোটা একটা একাডেমিক বই, তুমি আমার জীবন মরণ তুমি আমার সই

নারীবাদীদের ইসলাম বিরোধিতার কারণ

নারীবাদীদের ইসলাম বিরোধিতার কারণ হলো পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞতা ____ এক ____ সরোজিনী নাইডু। তিনি একজন বাঙালী হিন্দু নারী। একজন কবি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আমাদের দেশের বর্তমান সেক্যুলার বাঙালী নারীদের মত তিনি এতোটা উগ্রবাদী ও অকর্মণ্য ছিলেন না। একজন নারী হয়েও তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তার খুবই উচ্চ ধারণা ছিলো। আমাদের দেশের নারীবাদীদের মতো তিনি কখনোই ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতেন না। বরং তিনি বলতেন, ইসলাম ভারতবর্ষের জন্যে একটি আশীর্বাদ স্বরূপ। তিনি বলেন – “The loveliest thing that Islam brought to India is the saying of Prophet that "Paradise lies under the feet of the mother". “ইসলাম ধর্ম সবচেয়ে প্রিয় যে জিনিসটি ভারতবর্ষে নিয়ে এসেছে, তা হলো রাসূল (স) এর এই কথাটি – “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত”। সরোজিনী নাইডু এর মতো আমাদের দেশের নারীবাদীরা যদি ইসলামকে বোঝার চেষ্টা করতেন, তাহলে নারীদের অধিকার আন্দোলনে তারা আরো অনেক বেশি প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে পারতেন।

একদিন তো মরেই যাবো

গল্প _____ সুমন সাহেবের সব ইচ্ছাই পূরণ হলো। ছাত্র জীবনে নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন। অনার্স ও মাস্টার্সে সর্বোচ্চ রেজাল্ট করেছেন। পড়াশুনা শেষ হতে না হতেই, সোনার হরিণ নামক একটি সরকারী চাকরি পেয়েছেন। এরপর বিয়ে করেছেন সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের সুন্দরী আদরের মেয়ে তামান্নাকে। কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের দাম্পত্য জীবনে নতুন ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের আগমন ঘটলো। সুমন সাহেবের নামের সাথে মিলিয়ে সন্তানের নাম রাখা হলো সাফাত। সাফাত এখন আব্বু ডাকতে পারে। এতো বেশি সৌভাগ্যবান হবার কারণে প্রতিবেশীদের কেউ কেউ সুমন সাহেবকে একটু হিংসাও করে। সুমন সাহেবও এটা বুঝেন। নিজের অজান্তেই তার ভিতর একটা অহংকার বোধ কাজ করে। মনের ভিতর যখন অহংকার দানা বাঁধতে শুরু করে, মানুষ তখন তার আশেপাশের লোকদের ছোট মনে করতে থাকে। সুমন সাহেবেরও তাই হলো। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীকে তিনি কিছুটা বিদ্রূপ করেই কথা বলেন। কি নেই তার? ভাবটা এমন যে, তার সবই আছে। শিক্ষা, সম্মান, চাকুরী, টাকা-পয়সা কোনো কিছুর অভাব নেই। বিয়ের দু’বছর পর তামান্নার বাবা মারা যায়। তামান্নার বড় ভাই একটা দোকানে চাকরি করে কোনোভাবে সংসারটা চালিয়ে নিচ্ছেন। শ্বশ...

বাংলা সাহিত্যে "স্বামী-স্ত্রী" সমস্যা, এবং কোর'আনের সমাধান

পর্ব এক ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দ জোড়াটি নিয়ে বাংলা সাহিত্যে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক আছে। এ শব্দ দুটি যেমন আপত্তিজনক, তেমনি বিপদজনকও বটে। বেগম রোকেয়া, ফরহাদ মজহার সহ অনেকেই এ শব্দগুলো নিয়ে আপত্তি তুলেছেন, বিতর্ক করেছেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলেও সত্য যে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দের সঙ্কট এখনো প্রকট। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দ জোড়াটি নিয়ে যদিও এখনো কেউ কোনো মীমাংসায় যেতে পারেনি, কিন্তু, আপনি ইচ্ছা করলেই কোর’আন থেকে ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দে র সঙ্কট নিরসন করতে পারবেন। প্রথমে আসুন, দেখা যাক, বাংলা সাহিত্যে ‘স্বামী-স্ত্রী’ শব্দ জোড়াটি এবং এর সমর্থক শব্দগুলো কেন আপত্তিজনক? বাংলা একাডেমীর অভিধানে, ‘স্বামী’ শব্দের অর্থ হলো – ১ প্রভু; মনিব; পতি; খসম; ভর্তা। ২ মালিক; অধিপতি। ৩ পণ্ডিত; সন্ন্যাসীর উপাধিবিশেষ। এবং একই অভিধানে, ‘স্ত্রী’ শব্দের অর্থ হলো – ১ জায়া; পত্নী; বেগম; বিবি; বিবি; বধূ। ২ নারী; রমণী; কামিনী। ৩ মাদি। সুতরাং, এখানে দেখতেই পাচ্ছেন যে, ‘স্বামী’ ও ‘স্ত্রী’ শব্দ দুটির মাঝে শব্দগত কোনো সাদৃশ্য নেই, অর্থের কোনো সঙ্গতি নেই, এবং মর্যাদাগত কোন...

পাল্টে যাবার ইতিহাস

ইউরোপের বড় ভুলগুলোর মধ্যে একটি ছিল, তারা ‘জর্দানো ব্রুনো'র মতো দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করতো। কিন্তু এরপর, ইতিহাস ও রাজনীতি অনেক পাল্টে গেল। এখন ‘জার্দানো ব্রুনো’রাই হলেন ইউরোপের মুক্ত চিন্তার আদর্শ। ঠিক একইভাবে, জর্দানো ব্রুনো বিজ্ঞান ও দর্শনের নামে অনেক ভুল কথা প্রচার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বিশ্বজগত অসীম নয়, সসীম। কিন্তু এরপর, বিজ্ঞান ও দর্শন অনেক পাল্টে গেল। আস্তিক-নাস্তিক সবাই এখন বলছেন, আমাদের এই বিশ্বজগত অসীম রহস্যে ঘেরা। ঠিক একইভাবে, আমাদের ইতিহাসে যাদের কোনো অবদান ছিল না, তারা এখন বাংলাদেশের রাজা। কবিতা-গল্প-উপন্যাস সব এখন তাদের হাতে। আবার, এমন একদিন আসবে, যখন বর্তমানের নির্যাতিতরা হবেন ভবিষ্যতের রাজা। তখন কবিতা-গল্প-উপন্যাস ও ফেব্রুয়ারি থাকবে তাদেরই হাতে। প্রয়োজন ধৈর্যের। জগতে আল্লাহ কাউকে অতিরিক্ত বেড়ে যেতে দেন না। তিনি বলেন - ثُمَّ بَدَّلْنَا مَكَانَ ٱلسَّيِّئَةِ ٱلْحَسَنَةَ حَتَّىٰ عَفَوا۟ وَّقَالُوا۟ قَدْ مَسَّ ءَابَآءَنَا ٱلضَّرَّآءُ وَٱلسَّرَّآءُ فَأَخَذْنَـٰهُم بَغْتَةًۭ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ "এরপর, আমি অকল্যাণকে পরিবর্তন করি কল্যাণের দ্বারা। ...

৭১ দেখিনি, তো!

আমি, ৭১ দেখিনি তো কি হয়েছে? ১৭ দেখেছি তো। আমি, দেখিনি পাকিস্তান, কিন্তু, ভারত দেখেছি তো। দেখিনি হানাদার, কিন্তু, বিএসএফ দেখেছি তো। আমি, গেরিলা বাহিনী দেখিনি তো কি হয়েছে, ‘জঙ্গি’ শিশুর লাশ দেখেছি তো। মুক্তিযোদ্ধা বোনদের দেখিনি তো কি হয়েছে, ফেলানীদের দেখেছি তো। আমি, দেখিনি ইয়াহিয়া খান, কিন্তু, শে. রাক্ষসীকে দেখেছি তো। দেখিনি অপারেশন সার্চলাইট, কিন্তু, ক্রসফায়ার দেখেছি তো। তরুণ আমি, শেখ মুজিবকে দেখিনি তো কি হয়েছে, হাজারো নিরাপরাধ কারাবন্ধী দেখেছি তো। রেসকোর্স ময়দান দেখিনি তো কি হয়েছে, শাপলা চত্বর দেখেছি তো। নেতা ভাসানীকে দেখিনি তো কি হয়েছে, লাখো মজলুমের অসহ্য কষ্ট দেখেছি তো। জাহানারা ইমামকে দেখিনি তো কি হয়েছে, অগণিত মায়ের আকাশ বিদীর্ণ কান্না দেখেছি তো। আমি, দেখিনি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড, কিন্তু, বিজ্ঞ আলেমের ফাঁসি দেখেছি তো। দেখিনি ৭১-এর নারী ধর্ষণ, কিন্তু, ১৭-এর হোলি উৎসব দেখেছি তো। গুরু বলেন – তুমি, ৭১-এর বৃদ্ধ নও, ১৭-এর তরুণ। ৭১ পিছনের নয়, দেখ সামনের ৭১ পুরানো ইতিহাস তোমার লিখতে হবে না আর, তুমি-ই তো হবে একবিংশে স্বাধীনতার রূপকার।

রাসূলের (সা) যুগে নারীরা কোথায় নামাজ আদায় করতেন?

[ইসলামের সোনালী যুগে মসজিদে নারীদের অবাধ যাতায়াতের সুযোগ ছিল। মহানবীর (সা) ইমামতিত্বে মসজিদে নববীতে নারী-পুরুষ মিলে একই ফ্লোরে নামাজ আদায় করতেন। অথচ, বাংলাদেশের মতো রক্ষণশীল সমাজে হাতেগোনা ব্যতিক্রম বাদে মসজিদগুলোতে নারীদের প্রবেশাধিকারই নেই। যদিও ইসলামের দৃষ্টিতে সামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হলো মসজিদ। মসজিদে নারীদের প্রবেশাধিকার, অবস্থান ও কার্যক্রম ইত্যাদি নিয়ে শায়খ ড. জাসের আওদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করেছেন। আরবীতে লেখা ড. আওদার এই বইটির বাংলা শিরোনাম আমরা দিয়েছি ‘মাকাসিদে শরীয়াহর আলোকে মসজিদ ও নারী প্রসঙ্গ’। অনুবাদ করছেন জোবায়ের আল মাহমুদ। আজ প্রকাশিত হলো দ্বিতীয় অধ্যায়ের অনুবাদ।] - cscsbd বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোর যেসব মসজিদে নারীদের জন্যে নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে, সেসব মসজিদের একই কক্ষে পুরুষদের পেছনে নারীদেরকে কদাচিৎই দাঁড়ানোর অনুমতি দেয়া হয়। অথচ রাসূলের (সা) যুগে মসজিদের একই কক্ষে নারীরা পুরুষদের ঠিক পেছনে নামাজ আদায়ের জন্যে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতেন। আরব দেশগুলোতে সাধারণত নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা মসজিদ থাকে। বিশেষত ছোট মসজিদগুলোর ক্ষেত্রে এটা  সত্য।...

পরিবার

নারী, পুরুষের বাগান, সন্তানের জান্নাত। পুরুষ, নারীর বৃক্ষ, সন্তানের ছায়া। সন্তান, মায়ের রক্ত, বাবার বংশ।

কন্যা

কন্যা! থেমিস কেন? আদালত মন্দিরে চাই তোমার মূর্তি। ধর্ষক, না, সোনার ছেলেরা উৎসাহ পাবে, তোমায় দেখে; তুমি অপকর্মের শুরু। সাক্ষী, না, মিথ্যুকেরা লজ্জা পাবে, তোমায় দেখে; তুমি চেতনার গুরু।। থেমিস নয়, দেবী নয়, প্রতিমা নয়, কোনো ভাস্কর্য নয়, – চাই তোমার মূর্তি, জ্বলে উঠুক চেতনার মন্দিরে। পুলিশ, না, খুনির রাইফেল উঁচু হবে, তোমায় দেখে; তুমি নেতা ওদের দলে। হাকিম, না, জল্লাদের মাথা নত হবে, তোমায় দেখে; পরাজিত সবে, তোমার বলে।। কন্যা, থেমিস নয়, শুধু তোমাকে চাই; যেন দেখে ভয় পাই।