সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

রাসূল (স) লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার সফলতার মূলমন্ত্র মৃত্যুকে স্মরণ

“আজকে যদি আমার জীবনের শেষ দিন হয়, তাহলে আমি এখন যে কাজটি করছি, তা কি করতাম?” – এটি সফলতার একটি মন্ত্র। পৃথিবীর সফল মানুষদের একজন হলেন স্টিভ জবস। তিনি ছিলেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান 'অ্যাপল' এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জীবনে তিনি এত বড় সফলতা অর্জন করার পিছনে যে প্রশ্নটি ছিলো, তা হলো – "আজ যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো, তাহলে আমি এখন যা করছি, তা কি করতেম?" স্টিভ জবস তাঁর জীবনে সফলতার কারণ নির্ণয় করতে গিয়ে বলেন – “যখন আমার বয়স ১৭ বছর ছিলো, তখন আমি একটা প্রবাদ পড়েছিলাম – "তুমি যদি প্রতিদিন এমন ভেবে জীবন-যাপন করতে পারো যে, আজকে তোমার জীবনের শেষ দিন; তাহলে একদিন তুমি নিশ্চয় সফল হবে”। এ প্রবাদটা আমাকে খুবই প্রভাবিত করেছিলো। এটা পড়ার পর থেকে গত ৩৩ বছর প্রতিদিন সকালে আমি আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াতাম, এবং নিজেকে নিজে প্রশ্ন করতাম, “আজকে যদি আমার জীবনের শেষ দিন হয়, তাহলে আজকে আমি যা করতে যাচ্ছি, তা কি করতাম?” টানা কয়েকদিন এ প্রশ্নটির উত্তর যদি “না” হতো, তাহলে আমি ভাবতাম, আমার কিছু একটা পরিবর্তন করতে হবে। জীবনে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে যে কথাটি, তা হলো – “আমি খু...

কোর’আনে নবী-রাসূলদের এতো বেশি কাহিনী কেন?

কেউ যখন প্রথম প্রথম কোর’আন পড়তে শুরু করে, তখন মনে হয়, কোর’আনে কেবল আগেকার যুগের নবী-রাসূলদের কিচ্ছা-কাহিনী দিয়ে ভরা। তাই, অনেকেই কোর’আন পড়ে খুব বেশি মজা পায় না। আসলে কোর’আনের বর্ণিত অতীতের নবী রাসূলদের সকল গল্পের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ (স)-কে বিভিন্ন শিক্ষা দিয়েছিলেন। উদাহরণ স্বরূপ মুসা (আ)-এর কাহিনীগুলো দেখুন, সূরা আরাফ, সূরা শুআরা, সূরা কাসাস, সূরা সাফফাত সহ যেসব সূরা মক্কায় নাযিল হয়েছে, সেগুলো পড়লে আমরা দেখব যে, সেখানে মূসা (আ)-এর সাথে ফিরাউনের দ্বন্দ্বের বিষয়টি বারবার আলোচনা করা হচ্ছে। কারণ, তখন মক্কা জীবনে রাসূল (স)-এর সাথে আবু জাহেলদের ব্যাপক দ্বন্দ্ব হচ্ছিল। তাই, তখন আল্লাহ তায়ালা রাসূল (স) ও সাহাবীদেরকে মক্কার বিভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্যে মূসা (আ) ও ফিরাউনের কাহিনীগুলো বর্ণনা করছিলেন। কিন্তু, রাসূল (স) মদিনায় যাবার পর মূসা (আ) ও ফিরাউনের কাহিনী আর নাযিল হয়নি। তখন শুরু হয়েছে, মূসা (আ)-এর সাথে বনী ইজরাইলের দ্বন্দ্বগুলোর আলোচনা। কেননা, মদিনায় আসার পর মক্কার মতো রাসূল (স)-এর আর কোনো শত্রু ছিলো না। কিন্তু তখন আবার শুরু হলো মুনাফিকদের চক্রান্ত। ফলে, সূরা বাকারা সহ ম...

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, কি এবং কেন?

ভালোবাসা দুই প্রকার। ১। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা। ২। আল্লাহর জন্যে ভালোবাসা। আল্লাহকে ভালোবাসা মানে আল্লাহর ইবাদাত করা এবং আল্লাহর হালাল-হারাম মেনে চলা। আর, আল্লাহর জন্যে ভালোবাসা মানে হলো, স্ত্রী, স্বামী, সন্তান, বাবা, মা, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবকে নিঃস্বার্থে ভালোবাসা। দ্বিতীয় প্রকার ভালোবাসার সম্পর্কে রাসূল (স) বলেন - الحُبُّ فِي اللَّهِ وَالبُغْضُ فِي اللَّهِ مِنَ الإِيمَانِ "আল্লাহর জন্যে ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যে ঘৃণা করাটা ঈমানের অন্তর্ভুক্ত।" [সহীহ বুখারী, মাকতাবায়ে শামেলা] অপর এক বর্ণনায় রাসূল (স) বলেন - أفضل الأعمال الحب في الله، والبغض في الله "সর্বোত্তম কাজ হলো আল্লাহর জন্যে কাউকে ভালোবাসা, এবং আল্লাহর জন্যে কাউকে ঘৃণা করা" [সুনানে আবু দাউদ, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং - ৪৫৯৯] আল্লাহ জন্যে কাউকে ভালোবাসা মানে নিঃস্বার্থভাবে কাউকে ভালোবাসা, এবং আল্লাহর জন্যে কাউকে ঘৃণা করা মানে নিজের স্বার্থের কারণে কাউকে ঘৃণা না করা।

হুদাইবিয়া সন্ধির ঘটনা বর্ণিত হাদিস

মিস্ওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) ও মারওয়ান (রহ.) হতে বর্ণিত। তাদের উভয়ের একজনের বর্ণনা অপরজনের বর্ণনার সমর্থন করে তাঁরা বলেন, আল্লাহর রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) হুদাইবিয়ার সময় বের হলেন। যখন সহাবীগণ রাস্তার এক জায়গায় এসে পৌঁছলেন, তখন নাবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বললেন, ‘খালিদ ইবনু ওয়ালিদ কুরাইশদের অশ্বারোহী অগ্রবর্তী বাহিনী নিয়ে গোমায়ম নামক স্থানে অবস্থান করছে। তোমরা ডান দিকের রাস্তা ধর।’ আল্লাহর কসম! খালিদ মুসলিমদের উপস্থিতি টেরও পেলো না, এমনকি যখন তারা মুসলিম সেনাবাহিনীর পশ্চাতে ধূলিরাশি দেখতে পেল, তখন সে কুরাইশদের সাবধান করার জন্য ঘোড়া দৌঁড়িয়ে চলে গেল। এদিকে আল্লাহর রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) অগ্রসর হয়ে যখন সেই গিরিপথে উপস্থিত হলেন, যেখান থেকে মক্কার সোজা পথ চলে গিয়েছে, তখন নাবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )-এর উটনী বসে পড়ল। লোকজন (তাকে উঠাবার জন্য) ‘হাল-হাল’ বলল, কাস্ওয়া ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, কাসওয়া ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। আল্লাহর রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বলেন, ‘কাসওয়া ক্লান্ত হয়নি এবং তা তার স্বভাবও নয় বরং তাকে তিনিই আটকিয়েছেন যিনি হস...

মরিয়ম (আ) কি নবী বা রাসূল ছিলেন?

এক মরিয়ম (আ)-এর নিকট আল্লাহর ওহী, তাঁর বাণী ও তাঁর কিতাব এসেছিল। তিনি ঈসা নামক এক সন্তান জন্ম দেয়ার মাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন। [সূত্র – আল কোর’আন, ৬৬: ১২] ঈসা (আ)-এর নিকটও আল্লাহর ওহী, তাঁর বাণী ও তাঁর কিতাব এসেছিল। তিনি মানুষকে উপদেশ দেয়ার মাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন। মরিয়ম (আ) প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে আল্লাহর আদেশ পালন করার কারণে সাধারণ মানুষের আক্রমণের স্বীকার হন। ঈসা (আ)-ও প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে আল্লাহর আদেশ পালন করার কারণে সাধারণ মানুষের আক্রমণের স্বীকার হন। যেমন মা, তেমন সন্তান। দুই ইয়াহিয়া (আ)-এর মত মরিয়ম (আ)-এর নাম আল্লাহ তায়ালা নিজেই রেখেছেন [সূত্র ৩: ৩৬; ১৯: ৭],

স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছে?

অবিশ্বাসীগন বলেন, “স্রষ্টা মানুষকে সৃষ্টি করেনি, বরং মানুষ-ই স্রষ্টাকে সৃষ্টি করেছে।” হুম। তাদের কথা ঠিক। মানুষ অসংখ্য ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছে। যেমন, কেউ কৃষ্ণকে ঈশ্বর বানিয়ে পূজা করে। কেউ গৌতম বুদ্ধকে মহাজাগতিক স্রষ্টা ভেবে পূজা করে। কেউ ঈসা (আ)-কে আল্লাহর পুত্র বলে পূজা করে। কেউ আধুনিক বিজ্ঞানের পূজা করে। কেউ সম্পদের পূজা করে। কেউ জ্ঞানের পূজা করে। কেউ ভাস্কর্যের পূজা করে। কেউ শহীদদের স্তম্বকে পূজা করে। মানুষ এভাবে ইতিহাসে অসংখ্য স্রষ্টাকে সৃষ্টি করেছে এবং তার পূজা করছে। তাই, অবিশ্বাসীদের কথা কিছুটা ঠিক। তবে, মানুষ যে-সকল স্রষ্টাকে সৃষ্টি করতে পারে, আমরা তাদের ইবাদাত করি না। আবার, আমরা যে স্রষ্টার ইবাদত করি, মানুষ তাঁকে সৃষ্টি করতে পারে না। পার্থক্যটি এখানে সুস্পষ্ট।