সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কোন ধরণের নারী ও পুরুষকে বিয়ে না করা উচিত?

আরবি একটা প্রবাদ আছে, ছয় প্রকার নারীকে বিয়ে করো না।

সেই ছয় প্রকার হোলো-

আন্নানা, মান্নানা, হান্নানা, হাদ্দাকা, বাররাকা ও শাদ্দাকা।


"আন্নানা" হোলো সেই নারী যে সবসময়য় 'হায় আফসোস' করতে থাকে। এবং অলস, 'রোগিণী' ভান করে বসে থাকে। এমন নারীকে বিয়ে করলে সংসারে বরকত হয় না।

"মান্নানা" হোলো সেই নারী যে স্বামীকে প্রায়ই বলে - 'আমি তোমার জন্যে এই করেছি, সেই করেছি।'

"হান্নানা" হোলো সেই নারী যে তার পূর্ব স্বামী বা প্রেমিকের প্রতি আসক্ত থাকে।

"হাদ্দাকা" হোলো সেই নারী যে কোনো কিছুর উপর থেকেই লোভ সামলাতে পারে না। সব কিছুই পেতে চায়, এবং স্বামীকে তা ক্রয়ের জন্যে নিয়মিত চাপে রাখে।

"বাররাকা" হোলো সেই নারী যে সারাদিন কেবল সাজসজ্জা ও প্রসাধনে মেতে থাকে। এই শব্দের অন্য একটি অর্থ হোলো যে নারী খেতে বসে রাগ করে চলে যায়। এবং পরে একা একা খায়।

"শাদ্দাকা" হোলো সেই নারী যে সবসময় বকবক করে


_________________
অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, "কোন ধরণের পুরুষদের বিয়ে করা যাবে না?"

অভিজ্ঞতা না থাকায়, এ প্রশ্নের উত্তর আমি জানি না। তবে, আমার মনে হয়, নিম্নে উল্লেখিত পুরুষদের সাথে বিয়ে না করা উচিত।

১। ফেইসবুক সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে যে কোনো ধরণের সেলিব্রেটিকে বিয়ে না করাই ভালো। কারণ, তাঁরা বউকে সময় দেয়ার চেয়ে সেলিব্রেটিগিরি ধরে রাখার জন্যে বেশি ব্যস্ত থাকেন।


২। সৌন্দর্য পূজারী পুরুষদের বিয়ে না করা উচিত। তারা কখনো কেবল একজনের সৌন্দর্যে স্থির না, বরং চতুর্দিকে সৌন্দর্য খোঁজে।

৩। যেসব পুরুষ রান্না করতে জানে না, তাদের বিয়ে না করা উচিত। কারণ তারা রান্নার মর্ম বুঝেন না, এবং অযথা দোষ ধরেন।

৪। রাগি, বদমেজাজি, অস্থির, অধৈর্যশীল এবং অহংকারী পুরুষ।

৫। অলস পুরুষদের বিয়ে না করা উচিত। তাদের কোনো কাজ না থাকায় তারা বউদের দোষ ধরে বেশি।

৬। বিয়ে করার সময় কোনো পুরুষের কেবল দাঁড়ি-টুপি দেখেই তাঁকে দ্বীনদার মনে করা উচিত নয়। কেননা দ্বীনদারিত্ব মানুষের পোষাকে নয়, বরং আচরণে বুঝা যায়।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আল্লামা জালাল উদ্দিন রূমির বাণী ও কবিতা

ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে। ১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন) ২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন) ৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য) ৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা) ৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি) আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো – "অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।" [১৭ ডিসেম্বর রূমির 'শবে আরুস'। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]

মাথায় রুমাল দেয়া কি মাদানী হুজুর হবার লক্ষণ? নাকি ইহুদি হবার লক্ষণ?

এক তথাকথিত সালাফী মাদানী হুজুর নিজেকে ছাড়া আর সবাইকে ভ্রান্ত মনে করেন। অথচ, নিজেই ইহুদিদের মতো মাথায় রুমাল দিয়ে ওয়াজ করেন। মাথায় রুমাল দেয়ার বিরুদ্ধে যেসব সহীহ হাদিস আছে, তা কি তিনি দেখননি? দলীল – ১ يَتْبَعُ الدَّجَّالَ مِنْ يَهُودِ أَصْبَهَانَ، سَبْعُونَ أَلْفًا عَلَيْهِمُ الطَّيَالِسَةُ দাজ্জালের বাহিনীতে ৭০ হাজার ইহুদী থাকবে, যাদের মাথায় চাদর বা রুমাল থাকবে। সহীহ মুসলিম, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ২৯৪৪ দলীল – ২ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الخُزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: نَظَرَ أَنَسٌ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَرَأَى طَيَالِسَةً، فَقَالَ: «كَأَنَّهُمُ السَّاعَةَ يَهُودُ خَيْبَرَ» আনাস ইবনু মালিক (রা) জুমার দিনে মসজিদের মধ্যে সমবেত মানুষের দিকে তাকালেন। তিনি অনেকের মাথায় রুমাল দেখতে পান। তখন তিনি বলেন, এরা এখনো ঠিক খাইবারের ইহুদীদের মত। সহীহ বুখারী, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ৪২০৮ দলীল – ৩ قال رسول الله – صلى الله عليه وسلم – : ” قال لقمان لابنه وهو يعظه : يا بني إياك والتقنع ، فإنها مخوفة بالليل مذلة بالنهار রাসূল (স) ...

গড হেলমেট দিয়ে কি নাস্তিক কে আস্তিক বানানো যায়?

একবার, বিশ্বকুখ্যাত নাস্তিক রিচার্ড ডকিন্স-কে বিজ্ঞানী মাইকেল পের্সিঙের তার অফিসে ডেকে আনলেন। তাকে বললেন, আপনি তো বিজ্ঞানে বিশ্বাস করেন; তাই না? ডকিন্স : হুম। পের্সিঙের : তাহলে আমরা দেখব, বিজ্ঞানের সাহায্যে আপনার মস্তিষ্ককে পরিবর্তন করে আপনাকে নাস্তিক থেকে আস্তিক বানাতে পারি কিনা? ডকিন্স : ওকে। উল্লেখ্য, মাইকেল পের্সিঙের একজন নিউরো বিজ্ঞানী। তিনি এবং বিজ্ঞানী স্ট্যানলি করেন, উভয়ে একটি হেলমেট আবিষ্কার করেন। যার নাম – ‘গড হেলমেট’। এই ‘হেলমেট’টি দিয়ে তারা পরীক্ষা করেন যে - মানুষের মস্তিষ্কের কোন জায়গায় তার ধর্মীয় বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের অনুভূতি জাগ্রত হয়। তারা মানুষের মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরণের ধর্মীয় অনুভূতির সিগন্যাল পাঠিয়ে স্রষ্টায় বিশ্বাস তৈরির চেষ্টা করেন। তো, তারা ডকিন্স-কে একটি বদ্ধ ঘরে প্রবেশ করিয়ে তার মাথায় ‘গড হেলমেট’টি লাগিয়ে দিলেন। ডকিন্সের চোখ বন্ধ করে দিলেন। এবং ডকিন্সের রুম থেকে সবাই বের হয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন।