সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নারীদের মসজিদে নামাজ পড়া সম্পর্কে এরদোয়ান

নারীদের মসজিদে নামাজ পড়া সম্পর্কে এরদোয়ান বলেন –

জার্মানে একটি বক্তব্যে আমি বলেছি, নারীদের মসজিদে আসা উচিত। আজকে তুরস্কের এক নারী কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, “আপনার বক্তব্য শুনে আমরা খুব খুশি হয়েছি। তাই আমরা একটি জানাজার নামাজে অংশ গ্রহণ করতে গিয়েছি, কিন্তু মসজিদে থেকে আমাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এরপর আমি আমার বান্ধবীদেরকে মসজিদের বাইরে এক জায়গায় একসাথে নামাজ পড়তে বললাম।”

খুব আশ্চর্যের বিষয়!

এখনো এসব ফালতু নিয়মকে ইসলামের নামে চালিয়ে দেয়ার মতো চিন্তাভাবনা রয়েছে। আমাদেরকে এমন চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি পেতে হবে।

মসজিদে নারীরা প্রবেশ করতে পারবে না বলে কোর’আনের কোনো আয়াত আছে নাকি? কোনো হাদিস আছে নাকি? আমি এমন কিছু না পড়েছি কখনো, না দেখেছি কখনো, না শুনেছি কখনো, না জেনেছি। আমাকে আমার শিক্ষকরা এমন কিছু কখনো শেখাননি।

আচ্ছা, আমাদের মা আয়েশা (রা) মসজিদে হাদিসের ক্লাস নিতেন না?

তাহলে কারা, কি চিন্তা করে এসব বলছে যে, নারীদের মসজিদে প্রবেশ নিষেধ?

এবার এসব ট্যাবু বা ভুয়া নিয়মগুলোকে ভেঙ্গে ফেলতে হবে। এ কাজটা প্রথমত ইসলামী ফাউন্ডেশন বা ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে করতে হবে। এসব ভুয়া নিয়মগুলো দূর না করলে খুবই ঝামেলাপূর্ণ কিছু বিষয়ের মুখোমুখি হতে হবে আমাদেরকে।

হয় ইসলামী ফাউন্ডেশন এসব ট্যাবু ভেঙ্গে ফেলবে, না হয় আমরা ভেঙ্গে ফেলবো। আমরা যদি এসব বিষয়ে কথা না বলি, তাহলে অন্যরা এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করবে, এবং তারাই তখন মাঠে থাকবে।

অবশ্য আজকে একজন নারী আলেমা ইসলামী ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি হয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত থাকাটা ঐসব ট্যাবু ভেঙ্গে ফেলার একটি নিদর্শন।

আমি সকল আলেমদের বলছি, যদি আমার কোনো ভুল থাকে, তাহলে আমাকেও সাবধান করুন।

শিশুদের চরণগুলোকে আমরা মসজিদের সাথে অভ্যস্ত করাতে চাই, নারীদের চরণগুলোকেও আমরা একইভাবে মসজিদের সাথে অভ্যস্ত করাতে চাই। এইভাবে আমরা ঘোষণা করতে চাই যে, মসজিদ হোক সব মুসলমানের মিলনকেন্দ্র।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আল্লামা জালাল উদ্দিন রূমির বাণী ও কবিতা

ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে। ১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন) ২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন) ৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য) ৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা) ৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি) আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো – "অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।" [১৭ ডিসেম্বর রূমির 'শবে আরুস'। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]

ওমরের ওয়াজে নারীর বাধা

মানুষের সামনে ওয়াজ করছেন ওমর (রা)। তিনি তখন অর্ধেক পৃথিবীর খলিফা। বিশাল ক্ষমতাবান। কিন্তু, তাঁর বিরোধিতা করে এক বৃদ্ধ দুর্বল নারী দাঁড়িয়ে গেলেন। দুর্বল নারীটি ওমর (রা)-কে বললেন, "হে ওমর, আল্লাহকে ভয় করুন। যেখানে আল্লাহ তায়ালা সূরা নিসার ২০ নং আয়াতে নারীদের জন্যে দেনমোহর সীমিত করে দেননি, সেখানে আপনি দিচ্ছেন কেন?" ওমর (রা) বললেন, "নারীটি ঠিক বলেছে, ওমর ভুল করেছে।" [ইবনে হযর আল-আসকালানি,ফাতুল-বারী, ৯:১৬৭] ভাগ্য ভালো ঐ দুর্বল নারী সাহাবীটির। তিনি অর্ধেক পৃথিবীর খলিফা ওমর (রা)-কে বাধা দিয়েছিলেন। যদি ঐ নারীটি এমন কোনো হুজুরকে বাধা দিতেন, যার সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর যোগাযোগ আছে, তাহলে অবস্থাটা কি হতো দেখুন...

গণতন্ত্র সময়ের একটি চাহিদা

আজ থেকে ৪০০ বছর আগে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোনো নির্বাচনের কথা কি আমরা কল্পনা করতে পারি? ধরুন, ১৬১৭ সাল। উসমানী খেলাফতের অধীনে তখন বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ ভূমি। সেই এক-তৃতীয়াংশ ভূমির খেলাফতের দায়িত্ব পালন করছেন সুলতান আহমদ। কেউ যদি তখন বলতো, আমরা সুলতান আহমদের পরিবর্তন চাই এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। তাহলে তখন কিভাবে সে নির্বাচনটি হত? তখন তো আর ইন্টারনেট বা টেলিভিশন ছিল না, এমনকি প্লেনও ছিল না। নির্বাচন কমিশনারের নির্বাচনী তফসিলটি বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের প্রত্যেকের কাছে ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করতে করতে কমপক্ষে ৩ বছর সময় লেগে যেতো। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সকল মানুষ যেহেতু খলীফা প্রার্থী হবার অধিকার রাখে, সুতরাং নির্বাচন কমিশনারের কাছে তাঁদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে করতে সময় লাগতো আরো ২ বছর। নির্বাচন কমিশনার লক্ষ লক্ষ মনোনয়ন পত্র বাচাই করতে করতে লাগতো আরো ১ বছর। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের এবং আপিল নিষ্পত্তি করতে সময় লাগতো কমপক্ষে আরো ৫ বছর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার সময় দিতে হতো কমপক্ষে আরো ১ বছর। কারণ প্রার্থীদেরকে বহুদূর থেকে এসে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হতো। তারপর, প্রা...