সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আল্লাহকে বিশ্বাস করা সহজ, কিন্তু আখিরাতকে বিশ্বাস করা কঠিন

আল্লাহকে বিশ্বাস করা সহজ, কিন্তু আখিরাতকে বিশ্বাস করা কঠিন।

যদিও আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই আখিরাতকে বিশ্বাস করা। তবুও মানুষ আল্লাহকে বিশ্বাস করে, কিন্তু আখিরাতকে বিশ্বাস করে না। মানুষ আল্লাহকে বিশ্বাস করে নামাজ-রোজা করে, কিন্তু একই সাথে আবার দুর্নীতিও করে। যদি কেউ আখিরাতকে বিশ্বাস করতে পারে, তাহলে সে অন্য মানুষের সাথে অন্যায়, জুলুম বা দুর্নীতি করতে পারে না।

একদিন সকল জুলুম ও অন্যায়ের প্রতিশোধ নেয়া হবে, এটা বিশ্বাস করার নামই আখিরাত। কিন্তু এ বিশ্বাস অনেক মুসলিমের নেই। যারা নিজেকে মুসলিম বলেন, এবং দাড়ি-টুপি-হিজাব পরেন, তাদের মধ্যেও অনেকে আখিরাতকে বিশ্বাস করেন না।

মানুষের মূল্যবোধ জরিপ করে বিশ্বের যেসব সংগঠন, তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ একটি সগঠনের নাম হলো World Values Survey । বাংলাদেশকে নিয়ে তারা একটি জরিপ করেছিল অনেক আগে, কমেন্টে জরিপের মূল লিঙ্কটি দিয়ে দিয়েছি। ঐ জরিপটি থেকে এখানে দুটি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছি।

১) আপনি কি আল্লাহ বা স্রষ্টাকে বিশ্বাস করেন?
- এর জবাবে, ৯৯.১% মানুষ বলেছে ‘হ্যাঁ’। ০.৫% মানুষ বলেছে ‘না’, এবং ০.৪% মানুষ বলেছে ‘জানি না’।

২) আপনি কি মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস করেন?
- এর জবাবে, মাত্র ৫৩.৮% মানুষ বলেছে ‘হ্যাঁ’। বাকি ৪২.৩% মানুষ বলেছে ‘না’, এবং ৩.৯% মানুষ বলেছে ‘জানি না’।

অর্থাৎ, ৯৯.১% মানুষ আল্লাহকে বিশ্বাস করে, কিন্তু তাদের মধ্যে ৪২.৩% মানুষ আখিরাতকে বিশ্বাস করেন না।

হতে পারে জরিপে ভুল এসেছে। কিন্তু, আসলেই এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে নামাজ পড়েন, আবার আখিরাতের কথা ভুলে গিয়ে জেনে-শুনে দুর্নীতি ও অন্যায় করেন।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আল্লামা জালাল উদ্দিন রূমির বাণী ও কবিতা

ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে। ১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন) ২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন) ৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য) ৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা) ৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি) আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো – "অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।" [১৭ ডিসেম্বর রূমির 'শবে আরুস'। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]

মাথায় রুমাল দেয়া কি মাদানী হুজুর হবার লক্ষণ? নাকি ইহুদি হবার লক্ষণ?

এক তথাকথিত সালাফী মাদানী হুজুর নিজেকে ছাড়া আর সবাইকে ভ্রান্ত মনে করেন। অথচ, নিজেই ইহুদিদের মতো মাথায় রুমাল দিয়ে ওয়াজ করেন। মাথায় রুমাল দেয়ার বিরুদ্ধে যেসব সহীহ হাদিস আছে, তা কি তিনি দেখননি? দলীল – ১ يَتْبَعُ الدَّجَّالَ مِنْ يَهُودِ أَصْبَهَانَ، سَبْعُونَ أَلْفًا عَلَيْهِمُ الطَّيَالِسَةُ দাজ্জালের বাহিনীতে ৭০ হাজার ইহুদী থাকবে, যাদের মাথায় চাদর বা রুমাল থাকবে। সহীহ মুসলিম, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ২৯৪৪ দলীল – ২ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الخُزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: نَظَرَ أَنَسٌ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَرَأَى طَيَالِسَةً، فَقَالَ: «كَأَنَّهُمُ السَّاعَةَ يَهُودُ خَيْبَرَ» আনাস ইবনু মালিক (রা) জুমার দিনে মসজিদের মধ্যে সমবেত মানুষের দিকে তাকালেন। তিনি অনেকের মাথায় রুমাল দেখতে পান। তখন তিনি বলেন, এরা এখনো ঠিক খাইবারের ইহুদীদের মত। সহীহ বুখারী, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ৪২০৮ দলীল – ৩ قال رسول الله – صلى الله عليه وسلم – : ” قال لقمان لابنه وهو يعظه : يا بني إياك والتقنع ، فإنها مخوفة بالليل مذلة بالنهار রাসূল (স) ...

আহলে কোর'আনের কিছু প্রশ্ন ও তার জবাব - ২

মোহাম্মদ Junaid ভাইয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর। ১) ইমামদেরকে standard মানতে হবে কেন? - ইমামদেরকে আমরা প্লেটো বা এরিস্টটলের মতো জ্ঞানী, স্কলার ও আলেম মনে করি, standard নয়। ২) ওনাদের status কী? - পৃথিবীর হাজার হাজার স্কলারের মাঝে ইমামরাও অন্তর্ভুক্ত। ৩) ওনাদের কি সুসংবদ্ধ চিন্তা ছিল? - জ্বী, উনাদের কাজ-ই ছিলো চিন্তাকে ফ্রেম দেওয়া। ৪) ওনাদের রচনাসমগ্ৰ কি সুলভ? - দুর্ভাগ্য আমাদের। বাংলা ভাষায় উনাদের বই পুস্তক অনুবাদ হয়নি। কিন্তু, উনাদের প্রচুর বই আছে, যা আমরা জানি না। ৫) প্রামাণিকতা প্রশ্নাতীত? - জী। ৬) বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা তো প্রবহমান নদীর মতো। পুরা যুগের কারো পায়রবিতে আটকে থাকতে হবে কেন? - নদী যেমন তার উৎসের সাথে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করতে চায় না, তেমনি আমরাও আমাদের অতীতের সকল জ্ঞানের উৎসের সাথে বাঁধ নির্মাণ করতে চায় না। বরং আমাদের জ্ঞানের উৎসে যাবার রাস্তা খোলা রাখতে চাই। ৭) জ্ঞানের পরিমাপক কী? - একজন মানুষ তার সময়ের কতগুলো সমস্যার সমাধান দিতে পেরেছেন, সেটাই তার জ্ঞানের পরিমাপক। ৮) ওনারা কি কিয়ামত দিবসে আমাদের কাজের দায়দায়িত্ব গ্ৰহণ করবেন? - অবশ্যই না। তবে, পৃথিবীকে জানা...