সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দারুল ইসলাম ও দারুল হরব - শায়েখ আবদুল্লাহ বিন বাইয়াহ

"সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ইসলামী রাষ্ট্রের ধারণা ও আইনের পরিবর্তন হয়। যেমন, রাসূল (স) এর হাদিসে এসেছে যে, ঘোড়ার উপর যাকাত নেই। কিন্তু যখন মানুষ ঘোড়া ক্রয়-বিক্রয় করতে শুরু করলো, তখন উমর (রা) ঘোড়ার উপর যাকাত নির্ধারণ করে দিলেন। একইভাবে জমির ফসলের উপর নির্ধারিত ভূমিকর বা খারাজের নিয়মেও উমর (রা) পরিবর্তন এনেছেন। চোরের হাত কাটার নিয়মও তিনি পরিবর্তন করেছেন। তিনি বলেছেন, দুর্ভিক্ষের সময়ে চোরের উপর কোনো শাস্তি প্রদান করা যাবে না। ইসলামের ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যা থেকে আমরা জানতে পারি, সময়ের পরিবর্তনের সাথে ইসলামী আইনের পরিবর্তন হয়েছিলো।


আগের যুগে ইসলামি ফিকহে 'দারুল ইসলাম' ও 'দারুল হরব' নামে দুটি ভাগ ছিলো, কিন্তু এখন আর তা নেই। এখন সমগ্র বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো একে অপরের সাথে এতটাই জড়িত যে, নতুন একটি রাষ্ট্রের ধারণা জন্ম নিয়েছে। তাই, 'দারুল ইসলাম' ও 'দারুল হরব' নামে এমন কোনো রাষ্ট্রের ধারনা এখন আর অবশিষ্ট নেই।"

- শায়েখ আবদুল্লাহ বিন বাইয়াহ।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=rgBwGmfXi5E
[৫৪ মিনিট থেকে। আরবি বক্তব্যের ইংরেজি অনুবাদ করেছেন শায়েখ হামজা ইউসুফ]

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আল্লামা জালাল উদ্দিন রূমির বাণী ও কবিতা

ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে। ১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন) ২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন) ৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য) ৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা) ৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি) আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো – "অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।" [১৭ ডিসেম্বর রূমির 'শবে আরুস'। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]

মাথায় রুমাল দেয়া কি মাদানী হুজুর হবার লক্ষণ? নাকি ইহুদি হবার লক্ষণ?

এক তথাকথিত সালাফী মাদানী হুজুর নিজেকে ছাড়া আর সবাইকে ভ্রান্ত মনে করেন। অথচ, নিজেই ইহুদিদের মতো মাথায় রুমাল দিয়ে ওয়াজ করেন। মাথায় রুমাল দেয়ার বিরুদ্ধে যেসব সহীহ হাদিস আছে, তা কি তিনি দেখননি? দলীল – ১ يَتْبَعُ الدَّجَّالَ مِنْ يَهُودِ أَصْبَهَانَ، سَبْعُونَ أَلْفًا عَلَيْهِمُ الطَّيَالِسَةُ দাজ্জালের বাহিনীতে ৭০ হাজার ইহুদী থাকবে, যাদের মাথায় চাদর বা রুমাল থাকবে। সহীহ মুসলিম, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ২৯৪৪ দলীল – ২ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الخُزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: نَظَرَ أَنَسٌ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَرَأَى طَيَالِسَةً، فَقَالَ: «كَأَنَّهُمُ السَّاعَةَ يَهُودُ خَيْبَرَ» আনাস ইবনু মালিক (রা) জুমার দিনে মসজিদের মধ্যে সমবেত মানুষের দিকে তাকালেন। তিনি অনেকের মাথায় রুমাল দেখতে পান। তখন তিনি বলেন, এরা এখনো ঠিক খাইবারের ইহুদীদের মত। সহীহ বুখারী, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ৪২০৮ দলীল – ৩ قال رسول الله – صلى الله عليه وسلم – : ” قال لقمان لابنه وهو يعظه : يا بني إياك والتقنع ، فإنها مخوفة بالليل مذلة بالنهار রাসূল (স) ...

২৮ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে কি ঘটেছিলো?

তুরস্কের ইতিহাসে ২৮ ফেব্রুয়ারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ১৯৯৭ সালের এই দিনে তুরস্কের ইসলামপন্থী রেফা পার্টিকে ৬ মাসের মাথায় ক্যুয়ের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ২০১৩ সালে মিশরের নির্বাচিত প্রতিনিধি মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতা গ্রহণের ১ বছরের মাথায় যেভাবে ক্যুয়ের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিলো, ঠিক একইভাবে ১৯৯৭ সালে তুরস্কের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নাজমউদ্দিন এরবাকানকে ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাসের মাথায় জোর করে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। মিশরে মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে সেক্যুলারগণ যেই যেই অভিযোগ এনেছিলো, তুরস্কে নাজমউদ্দিন এরবাকানের বিরুদ্ধেও সেক্যুলারগণ ঠিক একই অভিযোগ এনেছিলো। অর্থাৎ, নাজিমুদ্দিন এরবাকান ক্ষমতায় এসেই ইসলামী শরীয়াহ বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছেন। মিশরে এখন ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মীদের যেভাবে জেল-জুলুম ও ফাঁসি দেয়া হচ্ছে, তার চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তুরস্কে। সেক্যুলারদের ভয়ে নারীরা ওড়না পরে রাস্তায় বের হতে পর্যন্ত পারতেন না। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৩ সালে এরদোয়ান ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত মুসলিমদের ওপর এই অত্যাচার চলতে থাকে। এর কিছুদিন পর জনসমাবেশে একটি ইসলামী কবিতা বলার অপরাধে এরদোয়ানকে গ্রেফতার ...