সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আরব পুরুষদের মাথায় ওড়না কেন?

সৌদি আরবের পুরুষরা মাথায় ওড়না দেয়। কেন দেয়? এটা কি ইসলামী পোশাক?

না। এটা তাদের কালচারাল পোশাক।

বাঙালিরা সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে মনে করে, সৌদি পুরুষদের মত মাথায় ওড়না দেয়াটা ভালো। তাই বাংলাদেশে আসার সময় তাঁরা এমন কিছু ওড়না নিয়ে আসেন। এরপর পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে এবং সৌদি ওড়না মাথায় দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় হাঁটেন।


এতে দোষের কিছু নেই। যার যা ইচ্ছা, তিনি তা পরতে পারেন। সমস্যা নেই।

কিন্তু সমস্যা তখন, যখন পুরুষদের মাথায় ওড়না দেয়াটাকে কেউ ইসলামী পোশাক মনে করে।

তদ্রূপ নারীদের ক্ষেত্রেও ঘটে।

সৌদি নারীরা তাদের কালচার অনুযায়ী পোশাক পরবে, এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা হয় তখন, যখন সৌদি নারীদের কালচারাল পোশাককে কেউ ইসলামী পোশাক বলে অন্যদের উপর চাপিয়ে দিতে চায়।

_________

স্ট্যাটাস দেয়ার সাথে সাথে কিছু 'ভদ্রলোক' গালাগালি শুরু করেছেন। তাঁদের জন্যে কয়েকটি সহীহ হাদিস উল্লেখ করলাম।

দলীল - ১

يَتْبَعُ الدَّجَّالَ مِنْ يَهُودِ أَصْبَهَانَ، سَبْعُونَ أَلْفًا عَلَيْهِمُ الطَّيَالِسَةُ

দাজ্জালের বাহিনীতে ৭০ হাজার ইহুদী থাকবে, যাদের মাথায় চাদর বা রুমাল থাকবে।

সহীহ মুসলিম, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ২৯৪৪

দলীল - ২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الخُزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: نَظَرَ أَنَسٌ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَرَأَى طَيَالِسَةً، فَقَالَ: «كَأَنَّهُمُ السَّاعَةَ يَهُودُ خَيْبَرَ»

আনাস ইবনু মালিক (রা) জুমার দিনে মসজিদের মধ্যে সমবেত মানুষের দিকে তাকালেন। তিনি অনেকের মাথায় রুমাল দেখতে পান। তখন তিনি বলেন, এরা এখনো ঠিক খাইবারের ইহুদীদের মত।

সহীহ বুখারী, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ৪২০৮

দলীল - ৩

قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم - : " قال لقمان لابنه وهو يعظه : يا بني إياك والتقنع ، فإنها مخوفة بالليل مذلة بالنهار

রাসূল (স) বলেন, লোকমান তাঁর পুত্রকে উপদেশ দিয়ে বলেন, “বাবা, খবরদার! মাথায় রুমাল বা চাদর ব্যবহার করবে না। কারণ, এটি রাতে ভীতি উদ্রেক করে, এবং দিনে লাঞ্ছনা ও নিন্দার কারণ হয়।

সহীহ হাদিস, জালাল উদ্দিন সুয়ুতি, জামিউল আহাদিস, খণ্ড -১৫, পৃষ্ঠা - ৯৪

দলীল - ৪

أن أنس بن مالك ، رضي الله عنه حدثه قال : " ما أشبهت الناس اليوم في المسجد وكثرة الطيالسة إلا بيهود خيبر " .

আনাস ইবনুল মালিক (রা) বলেন, আজকাল মসজিদে মানুষদেরকে বেশি বেশি মাথায় রুমাল পরিহিত অবস্থায় দেখে অবিকল খাইবারের ইহুদিদের মত মনে হয়।

সহীহ হাদিস, আল মুসতাদরাক আলা সাহীহাইন, খণ্ড -৪, পৃষ্ঠা – ২১১


 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আল্লামা জালাল উদ্দিন রূমির বাণী ও কবিতা

ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে। ১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন) ২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন) ৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য) ৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা) ৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি) আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো – "অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।" [১৭ ডিসেম্বর রূমির 'শবে আরুস'। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]

ওমরের ওয়াজে নারীর বাধা

মানুষের সামনে ওয়াজ করছেন ওমর (রা)। তিনি তখন অর্ধেক পৃথিবীর খলিফা। বিশাল ক্ষমতাবান। কিন্তু, তাঁর বিরোধিতা করে এক বৃদ্ধ দুর্বল নারী দাঁড়িয়ে গেলেন। দুর্বল নারীটি ওমর (রা)-কে বললেন, "হে ওমর, আল্লাহকে ভয় করুন। যেখানে আল্লাহ তায়ালা সূরা নিসার ২০ নং আয়াতে নারীদের জন্যে দেনমোহর সীমিত করে দেননি, সেখানে আপনি দিচ্ছেন কেন?" ওমর (রা) বললেন, "নারীটি ঠিক বলেছে, ওমর ভুল করেছে।" [ইবনে হযর আল-আসকালানি,ফাতুল-বারী, ৯:১৬৭] ভাগ্য ভালো ঐ দুর্বল নারী সাহাবীটির। তিনি অর্ধেক পৃথিবীর খলিফা ওমর (রা)-কে বাধা দিয়েছিলেন। যদি ঐ নারীটি এমন কোনো হুজুরকে বাধা দিতেন, যার সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর যোগাযোগ আছে, তাহলে অবস্থাটা কি হতো দেখুন...

What is The Ruling Regarding a Women Going to Hajj Without a Mahram?

Answered by Dr. Yusuf al-Qaradawi | Translated by Sister Marwa The original rule stipulated in shari’a that a woman is not to travel alone.  Rather, she has to be accompanied by her husband or any other mahram of hers.  This rule is supported by narrations of Bukhari and others that Ibn-Abbas (ra) said, that the Prophet (pbuh) said, “A woman should not travel except with a mahram, and no man should visit her except in the presence of a mahram.” Abu-Hurairah related the following on behalf of the Prophet (pbuh), “It is not permissible for a woman who believes in Allah and the Last Day to travel for one day and night except with a mahram.” Abu-Sa’id reported that the Prophet (pbuh) said, “A woman should not travel for two days except she is accompanied by her husband or a mahram.”