সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আমার ফেইসবুক নীতিমালা

ফেইসবুককে কেউ হৃদয় দিয়ে ভালোবাসলে দেখবেন, দুঃখ-রাগ-ক্ষোভ-বিতর্ক এগুলো আপনার নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে যাবে।

কিন্তু, তবুও,

যারা ফেইসবুক’কে হৃদয় দিয়ে ভালোবেসে ফেলেছেন, কিংবা, যারা ফেইসবুক’কে নিজেদের হার্ট মনে করেন, তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা উচিত।


দায়িত্বটি হলো –

হার্ট যেমন শরীরের খারাপ রক্তগুলোকে অক্সিজেনের সাহায্যে ভালো রক্ততে পরিবর্তন করে, ফেইসবুকেও তুলনামূলক খারাপ বন্ধুদেরকে লিস্ট থেকে সরিয়ে দিয়ে ভালো বন্ধুদেরকে গ্রহণ করতে হয়।

সহজ কথায়, যারা ফেইসবুক-হৃদয় ও সমাজকে কলুষিত করে, তাদেরকে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে বাদ দিতে হয়। এবং নতুন ভালো বন্ধুদের যুক্ত হবার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হয়।

প্রশ্ন হলো, কারা হৃদয়কে কলুষিত করে?

উত্তরটা কোর’আনে দেখুন।

كَذَٰلِكَ يَطْبَعُ اللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِ الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ

“যাদের জ্ঞান নেই, এমনিভাবে আল্লাহ তাদের হৃদয়ে মোহরাঙ্কিত করে দেন।” [সূরা ৩০/রূম – ৫৯]

অর্থাৎ, যারা ফেইসবুকে ও সমাজে অযথা, অযৌক্তিক ও মূর্খের মত আচরণ করে, তারাই হৃদয় ও সমাজকে কলুষিত করে। সুতরাং, তাদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়াই হৃদয়ের জন্যে নিরাপদ ও উত্তম।

যোজন-বিয়োজনের এ দায়িত্বটি বছরে একবার পালন করলে হয় না। হার্টের মত প্রতি মুহূর্তে এই কাজটি করতে হয়।

যখনি আপনার ওয়ালে কোনো খারাপ পোষ্ট বা ছবি দেখবেন, যখনি কাউকে অযৌক্তিক ও খারাপ ভাষায় গালাগালি করতে দেখবেন, তখনি তাকে আনফ্রেন্ড করে একজন ভালো বন্ধুকে গ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিবেন।

তাহলে, আপনার হার্ট ও ফেইসবুক – দু’টিই ভালো থাকবে। এবং আপনি সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে পারবেন।

আমরা চাই, গালাগালিমুক্ত ফেইসবুক ও একটি সুস্থ সমাজ।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আল্লামা জালাল উদ্দিন রূমির বাণী ও কবিতা

ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে। ১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন) ২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন) ৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য) ৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা) ৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি) আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো – "অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।" [১৭ ডিসেম্বর রূমির 'শবে আরুস'। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]

ওমরের ওয়াজে নারীর বাধা

মানুষের সামনে ওয়াজ করছেন ওমর (রা)। তিনি তখন অর্ধেক পৃথিবীর খলিফা। বিশাল ক্ষমতাবান। কিন্তু, তাঁর বিরোধিতা করে এক বৃদ্ধ দুর্বল নারী দাঁড়িয়ে গেলেন। দুর্বল নারীটি ওমর (রা)-কে বললেন, "হে ওমর, আল্লাহকে ভয় করুন। যেখানে আল্লাহ তায়ালা সূরা নিসার ২০ নং আয়াতে নারীদের জন্যে দেনমোহর সীমিত করে দেননি, সেখানে আপনি দিচ্ছেন কেন?" ওমর (রা) বললেন, "নারীটি ঠিক বলেছে, ওমর ভুল করেছে।" [ইবনে হযর আল-আসকালানি,ফাতুল-বারী, ৯:১৬৭] ভাগ্য ভালো ঐ দুর্বল নারী সাহাবীটির। তিনি অর্ধেক পৃথিবীর খলিফা ওমর (রা)-কে বাধা দিয়েছিলেন। যদি ঐ নারীটি এমন কোনো হুজুরকে বাধা দিতেন, যার সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর যোগাযোগ আছে, তাহলে অবস্থাটা কি হতো দেখুন...

গণতন্ত্র সময়ের একটি চাহিদা

আজ থেকে ৪০০ বছর আগে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোনো নির্বাচনের কথা কি আমরা কল্পনা করতে পারি? ধরুন, ১৬১৭ সাল। উসমানী খেলাফতের অধীনে তখন বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ ভূমি। সেই এক-তৃতীয়াংশ ভূমির খেলাফতের দায়িত্ব পালন করছেন সুলতান আহমদ। কেউ যদি তখন বলতো, আমরা সুলতান আহমদের পরিবর্তন চাই এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। তাহলে তখন কিভাবে সে নির্বাচনটি হত? তখন তো আর ইন্টারনেট বা টেলিভিশন ছিল না, এমনকি প্লেনও ছিল না। নির্বাচন কমিশনারের নির্বাচনী তফসিলটি বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের প্রত্যেকের কাছে ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করতে করতে কমপক্ষে ৩ বছর সময় লেগে যেতো। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সকল মানুষ যেহেতু খলীফা প্রার্থী হবার অধিকার রাখে, সুতরাং নির্বাচন কমিশনারের কাছে তাঁদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে করতে সময় লাগতো আরো ২ বছর। নির্বাচন কমিশনার লক্ষ লক্ষ মনোনয়ন পত্র বাচাই করতে করতে লাগতো আরো ১ বছর। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের এবং আপিল নিষ্পত্তি করতে সময় লাগতো কমপক্ষে আরো ৫ বছর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার সময় দিতে হতো কমপক্ষে আরো ১ বছর। কারণ প্রার্থীদেরকে বহুদূর থেকে এসে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হতো। তারপর, প্রা...