সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পৃথিবীতে বিজ্ঞানের যত বই আছে, সবগুলো-ই ভুল

জানি, আপনি হয়তো আমার কথা বিশ্বাস করবেন না। এ কারণেই, কাকু’র একটা লেকচার কমেন্টে দিয়ে দিলাম।

না, না। তিনি আমার কাকা না।


ভদ্রলোকের নাম –মিচিও কাকু [Michio Kaku]। তিনি অ্যামেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটি কলেজের একজন প্রফেসর, এবং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন পদার্থ বিজ্ঞানী। বাংলার ‘জাফর ইকবাল’ নিয়মিত এই ভদ্রলোকের লেখা চুরি করেন বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ রায়।

তো, কাকু বলছেন যে, ‘পৃথিবীতে পদার্থ বিজ্ঞানের যত বই আছে, প্রতিটি বই-ই ভুল’।

কেন বললেন?

কাকু’র ব্যাখ্যাটা শুনুন। তিনি বলছেন –

পৃথিবীর প্রতিটি বিজ্ঞানের বইয়ে লেখা রয়েছে যে, ‘বিশ্বজগতের সবকিছু পরমাণু দিয়ে গঠিত’। – এই কথাটার চেয়ে বড় কোনো ভুল পৃথিবীতে আর নেই।

বিশ্বজগতে প্রধানত দুই ধরণের বস্তু এবং দুই ধরণের শক্তি আছে। আমাদের এই দু’চোখ দিয়ে আমরা যা কিছু দেখতে পারি, তা হলো মোট বিশ্বজগতের ০.০৩% ভাগ। বাকি ৯৯.৯৭% ভাগ বস্তু ও শক্তি কোনো বিজ্ঞানীর দ্বারাও দেখা ও বোঝা সম্ভব না। এগুলোকে বলা হয় – অদৃশ্য বস্তু এবং অদৃশ্য শক্তি।

মহাবিশ্বের এই ‘অদৃশ্য বস্তু’ এবং ‘অদৃশ্য শক্তি’কে পৃথিবীর সকল বিজ্ঞানের বইয়ে অস্বীকার করা হয়েছে। তাই, পৃথিবীতে বিজ্ঞানের সকল বইপুস্তক-ই ভুলে ভরা।

মিচিও কাকু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের তরুণ বিজ্ঞানীদেরকে একটি উপদেশ দেন –

যদি তোমরা সত্যিকার অর্থে বিজ্ঞানে অবদান রাখতে চাও, যদি তোমরা স্ট্রিং তত্ত্ব নিয়ে কাজ করতে চাও, যদি তোমরা ভবিষ্যতে বিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার পেতে চাও, তাহলে কেবল এটা বিশ্বাস করবে যে, অতীতে বিজ্ঞানের যত বই লেখা হয়েছে, সব ভুল।

নিউটন বা আইনস্টাইনের সূত্র যদি ৯৯টি স্থানেও সঠিক হয়, কিন্তু ১টি স্থানে ভুল হয়, তাহলে বিজ্ঞান বলবে, নিউটন বা আইনস্টাইন ভুল। সুতরাং, তাদের ভুলগুলোকে আজ আর অন্ধভাবে বিশ্বাস না করে, নতুন বিশ্বাসের পথে চলতে হবে।

বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী মিচিও কাকুর মূল কথা হলো, “অতীতের বিজ্ঞান ভুল, এবং নতুন বিজ্ঞানের নাম – গায়েবে বিশ্বাস”।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আল্লামা জালাল উদ্দিন রূমির বাণী ও কবিতা

ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে। ১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন) ২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন) ৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য) ৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা) ৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি) আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো – "অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।" [১৭ ডিসেম্বর রূমির 'শবে আরুস'। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]

মাথায় রুমাল দেয়া কি মাদানী হুজুর হবার লক্ষণ? নাকি ইহুদি হবার লক্ষণ?

এক তথাকথিত সালাফী মাদানী হুজুর নিজেকে ছাড়া আর সবাইকে ভ্রান্ত মনে করেন। অথচ, নিজেই ইহুদিদের মতো মাথায় রুমাল দিয়ে ওয়াজ করেন। মাথায় রুমাল দেয়ার বিরুদ্ধে যেসব সহীহ হাদিস আছে, তা কি তিনি দেখননি? দলীল – ১ يَتْبَعُ الدَّجَّالَ مِنْ يَهُودِ أَصْبَهَانَ، سَبْعُونَ أَلْفًا عَلَيْهِمُ الطَّيَالِسَةُ দাজ্জালের বাহিনীতে ৭০ হাজার ইহুদী থাকবে, যাদের মাথায় চাদর বা রুমাল থাকবে। সহীহ মুসলিম, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ২৯৪৪ দলীল – ২ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الخُزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: نَظَرَ أَنَسٌ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَرَأَى طَيَالِسَةً، فَقَالَ: «كَأَنَّهُمُ السَّاعَةَ يَهُودُ خَيْبَرَ» আনাস ইবনু মালিক (রা) জুমার দিনে মসজিদের মধ্যে সমবেত মানুষের দিকে তাকালেন। তিনি অনেকের মাথায় রুমাল দেখতে পান। তখন তিনি বলেন, এরা এখনো ঠিক খাইবারের ইহুদীদের মত। সহীহ বুখারী, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ৪২০৮ দলীল – ৩ قال رسول الله – صلى الله عليه وسلم – : ” قال لقمان لابنه وهو يعظه : يا بني إياك والتقنع ، فإنها مخوفة بالليل مذلة بالنهار রাসূল (স) ...

আহলে কোর'আনের কিছু প্রশ্ন ও তার জবাব - ২

মোহাম্মদ Junaid ভাইয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর। ১) ইমামদেরকে standard মানতে হবে কেন? - ইমামদেরকে আমরা প্লেটো বা এরিস্টটলের মতো জ্ঞানী, স্কলার ও আলেম মনে করি, standard নয়। ২) ওনাদের status কী? - পৃথিবীর হাজার হাজার স্কলারের মাঝে ইমামরাও অন্তর্ভুক্ত। ৩) ওনাদের কি সুসংবদ্ধ চিন্তা ছিল? - জ্বী, উনাদের কাজ-ই ছিলো চিন্তাকে ফ্রেম দেওয়া। ৪) ওনাদের রচনাসমগ্ৰ কি সুলভ? - দুর্ভাগ্য আমাদের। বাংলা ভাষায় উনাদের বই পুস্তক অনুবাদ হয়নি। কিন্তু, উনাদের প্রচুর বই আছে, যা আমরা জানি না। ৫) প্রামাণিকতা প্রশ্নাতীত? - জী। ৬) বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা তো প্রবহমান নদীর মতো। পুরা যুগের কারো পায়রবিতে আটকে থাকতে হবে কেন? - নদী যেমন তার উৎসের সাথে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করতে চায় না, তেমনি আমরাও আমাদের অতীতের সকল জ্ঞানের উৎসের সাথে বাঁধ নির্মাণ করতে চায় না। বরং আমাদের জ্ঞানের উৎসে যাবার রাস্তা খোলা রাখতে চাই। ৭) জ্ঞানের পরিমাপক কী? - একজন মানুষ তার সময়ের কতগুলো সমস্যার সমাধান দিতে পেরেছেন, সেটাই তার জ্ঞানের পরিমাপক। ৮) ওনারা কি কিয়ামত দিবসে আমাদের কাজের দায়দায়িত্ব গ্ৰহণ করবেন? - অবশ্যই না। তবে, পৃথিবীকে জানা...