এক ভাইয়া প্রশ্ন করেছেন – “তাকদীর বা ভাগ্য কি পূর্ব নির্ধারিত না পরিবর্তনশীল?” এ প্রশ্নটিকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় ও দার্শনিক দিক থেকে পৃথিবীতে প্রচুর আলোচনা হয়েছে, এবং এখনো চলছে। কিন্তু ভাইয়া আমাকে বলেছেন খুব সহজ ভাষায় লেখার জন্যে। অবশ্য, আমি সবকিছু সহজ-সরল করেই লেখার চেষ্টা করি। কারণ, আমি ছোট মানুষ, কঠিন ও প্যাঁচালো লেখা যথাসম্ভব কম পড়ি ও লিখি। যাই হোক, তাকদীরের বিষয়টা আমার কাছে খুবই সহজ একটি বিষয় মনে হয়। এ বিষয়ে আমাদের মনে সাধারণত দু’টি প্রশ্ন জাগে। ১। ‘তাকদীর’ বা ভাগ্য যদি আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আগেই নির্ধারিত হয়ে থাকে, তাহলে আমরা আর ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে লাভ কি? অথবা, ২। আমরাই যদি নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে আল্লাহ দ্বারা নির্ধারিত ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে হবে কেন? এ প্রশ্নগুলোর জবাব জানার আগে কিছু উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি আমরা প্রাথমিকভাবে বোঝার চেষ্টা করব।
সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্যে তিনটি জিনিস থাকা চাই ___________ বিয়ে-শাদি নিয়ে কোর’আনে অনেক আয়াত আছে। তম্মধ্যে আমার ভালো লাগা একটি আয়াত হলো – وَمِنْ ءَايَـٰتِهِۦٓ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَٰجًۭا لِّتَسْكُنُوٓا۟ إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةًۭ وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَـٰتٍۢ لِّقَوْمٍۢ يَتَفَكَّرُونَ “আর তাঁর একটি নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও, এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।” [সূরা ৩০/ রূম – ২১] এ আয়াতে বলা হচ্ছে, চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। কিন্তু সেগুলো কি? বিবাহিত জীবনে এক জোড়া দাম্পত্যকে সাধারণত তিনটি পর্যায় অতিক্রম করতে হয়। অথবা, অন্যভাবে বললে, একটু সুখী দাম্পত্য জীবনে তিনটি জিনিস থাকতে হয়। ১। পারস্পরিক কাছে থাকার ইচ্ছা। ২। পারস্পরিক ভালোবাসা। ৩। পারস্পরিক দয়া। ধরুন, বিয়ের প্রথম ১০ বছর উভয়ে উভয়ের কাছে থাকতে চাইলো। তারপর, যদি কখনো কাছে থাকার বিষয়টি ধীরে ধীরে হ