অনেকে বলেন, কোর'বানের ঈদে পশু জবাই করার জন্যে এত টাকা খরচ না করে সে টাকা গরিব-অসহায়কে দিয়ে দেয়া ভালো। আসলে এই ধারণা জন্ম নেয়ার কারণ হলো, আমরা কোরবানির মূল উদ্দেশ্য ভুলে গেছি। কোরবানি মানে প্রাণ উৎসর্গ করা, দান করা নয়। ইব্রাহীম (আ)-এর মতো নিজের প্রাণের চেয়ে প্রিয় সন্তানের প্রাণকে আল্লাহর জন্যে উৎসর্গ করাকে কোরবান বলে। অথবা ইসমাঈল (আ)-এর মতো নিজের জীবনকে আল্লাহর জন্যে উৎসর্গ করাকে কোরবান বলে। কোরবান মানে নিছক কোনো দান-সদকা বা পশুর গোস্ত বিতরণ করা নয়। নামাজ পড়া আর রোজা রাখা যেমন এক নয়, তেমনি কোরবানি আর দান-সদকা এক নয়। দুটি ভিন্ন ভিন্ন দুটি ইবাদাত। নামাজ পড়লে যেমন রোজার কাজ হয় না, তেমনি দান সদকা করলে কোরবানি হয় না।
ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে। ১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন) ২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন) ৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য) ৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা) ৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি) আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো – "অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।" [১৭ ডিসেম্বর রূমির 'শবে আরুস'। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]