সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সেক্যুলারিজম - রশিদ ঘানুশী

সেক্যুলারিজম সম্পর্কে তিউনেশিয়ার ইসলামপন্থী দলের প্রধান রশিদ ঘানুশী বলেন -

...আমাদের দেশে সেক্যুলার ও ইসলামপন্থীদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। উভয় পক্ষই একে অপরকে চরমপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করছে। একটা পক্ষ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ইসলাম সম্পর্কে তাদের বুঝজ্ঞানকে উপর থেকে চাপিয়ে দেয়ার পক্ষপাতি। আরেকটা পক্ষ রাষ্ট্র, শিক্ষাব্যবস্থা ও জাতীয় সংস্কৃতি থেকে ইসলামের প্রভাব উপড়ে ফেলতে আগ্রহী।...

...ইসলামকে চাপিয়ে দেয়ারও প্রয়োজন নেই। এটা অভিজাতদের ধর্ম নয়, এটা গণমানুষের ধর্ম। রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য নয়, ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা আছে বলেই ইসলামের এত অনুসারী এবং দীর্ঘসময় ধরে এটি টিকে আছে। রাষ্ট্র বরং প্রায়শ ধর্মের উপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।...

...ধর্মের মূল ক্ষেত্র হচ্ছে ব্যক্তিগত বিশ্বাস, রাষ্ট্রীয় ব্যাপার নয়। আর রাষ্ট্রের সর্বপ্রথম দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সেবা তথা কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ইত্যাদি নিশ্চিত করা। মানুষের হৃদয়-মন নিয়ন্ত্রণ করা রাষ্ট্রের কাজ নয়। এ কারণে আমি জনগণের উপর সব ধরনের বলপ্রয়োগের বিরোধী।...

...আমাদের দেশে চলমান বিতর্কের অধিকাংশই সেক্যুলারিজম ও ইসলাম নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির কারণে হচ্ছে। আমরা বাস্তবে দেখিয়েছি যে – সেক্যুলারিজম কোনো নাস্তিক্যবাদী দর্শন নয়। বরং বিশ্বাস ও চিন্তার স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রাখতে এটা একটা প্রক্রিয়াগত ব্যবস্থা। আব্দুল ওয়াহহাব আল মাসিরি তাঁর গবেষণায় কট্টর সেক্যুলারিজম ও উদার সেক্যুলারিজমের মধ্যে পার্থক্য দেখিয়েছেন।...

...ধর্ম ও রাষ্ট্রের পৃথকীকরণ বলতে কি বুঝানো হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করছে এটা গ্রহণযোগ্য নাকি বর্জনীয়। ওহীর প্রত্যক্ষ বিষয় এবং প্রায়োগিক রাজনৈতিক বিষয়ের মধ্যকার পার্থক্য প্রাথমিক যুগের মুসলিমরা যেভাবে বুঝতেন সেভাবে যদি বিবেচনা করা হয় – অর্থাৎ রাষ্ট্র হচ্ছে একটা মানবীয় ব্যাপার, আর ওহী হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত – তাহলে তা ঠিক আছে। আর যদি একে ফরাসী ধারণা কিংবা মার্কসীয় অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাখ্যা করা হয়, তাহলে তা ভয়ানক বিপদজনক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। এই ব্যাখ্যা রাষ্ট্র ও ধর্ম উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। রাষ্ট্র ও ধর্মের সম্পূর্ণ পৃথকীকরণের ফলে রাষ্ট্র মাফিয়াচক্রে পরিণত হবে, বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হয়ে পড়বে লুণ্ঠনবাদী, রাজনীতি হয়ে পড়বে প্রতারণা ও ভণ্ডামিপূর্ণ। কিছু ইতিবাচক দিক ছাড়া বাকি ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যে ঠিক এই ব্যাপারগুলোই ঘটেছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি অল্প কয়েকজন অর্থনৈতিক দালালের খপ্পড়ে বন্দি। এরা প্রচুর অর্থের মালিক, অসংখ্য মিডিয়া তাদের হাতে। এসবের মাধ্যমে তারা রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রণ করে।...

...জনজীবন থেকে ধর্মকে বাদ দেওয়া অর্থে সেক্যুলারিজমের ধারণা কখনোই ইসলামে ছিল না। এ পর্যন্ত মুসলমানদের জীবনে ইসলামের প্রভাব সুস্পষ্ট। তাদের জনজীবন ইসলামের শিক্ষা ও নির্দেশনা দ্বারা উদ্বুদ্ধ। যদিও ধর্ম ও রাজনীতির স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তারা সচেতন। ইসলামী স্কলারদের চিন্তাধারায়ও এই পার্থক্য সুস্পষ্ট। তারা চুক্তি/লেনদেনের পদ্ধতি (মুয়ামালাত) এবং ইবাদতকে আলাদা হিসেবে বিবেচনা করেছেন। ইবাদত হচ্ছে অপরিবর্তনীয় ও প্রথাগতভাবে পালনের বিষয়। অর্থাৎ এখানে সত্যে পৌঁছার জন্যে যুক্তি যথেষ্ট নয়। আর সাধারণ কল্যাণ অনুসন্ধানের ক্ষেত্র হলো মুয়ামালাত। ইমাম আল শাতিবী ও ইবনে আশুরের মতো মহান স্কলারগণ জোর দিয়ে বলেছেন, ইসলাম এসেছে মানুষের কল্যাণ সাধনের জন্য। স্কলারগণ একমত হয়েছেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই সকল ঐশীগ্রন্থের সর্বোচ্চ লক্ষ্য।...

...কোনো বিশেষ স্থান-কালের লোকেরা ইসলামী মূল্যবোধকে যেভাবে বুঝেছে, তার আলোকে রাষ্ট্রের আইন প্রণীত হয়েছে। এদতসত্তেও শুধুমাত্র ঐশী আইন-কানুন দ্বারা পরিচালিত হতো বলেই কোনো রাষ্ট্র ইসলামী হিসেবে গণ্য ছিল না। বরং সেখানে মানবীয় বিচার-বিবেচনাও কার্যকর ছিল, যার সমালোচনা করা যেতো। রাষ্ট্র একটা পর্যায় পর্যন্ত নিরপেক্ষতা বজায় রাখতো। রাষ্ট্র যখন এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতো এবং একটা একক ব্যাখ্যা চাপিয়ে দিতো – যেমনটা ঘটেছিল আব্বাসীয় আমলে – তখনই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়তো।...

...আব্বাসীয় খলিফা আল মামুন কোরআনের একটিমাত্র ব্যাখ্যা এবং আকিদা সংক্রান্ত মুতাজিলা দর্শনকে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ) এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং ধর্মের ওপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্বের চেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেন। এতে তিনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হন। তাঁর এই প্রচেষ্টার ফলে জনমত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চলে যায় এবং আল মামুন শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হন।...

...একই ধর্মের নানা ধরনের ব্যাখ্যা ও দৃষ্টিকোণ নিয়ে আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাঁর আশংকা ছিল, রাষ্ট্রের উপরও এই বিভাজন প্রভাব ফেলতে পারে। তাই তিনি ইমাম মালিককে (রহ) ডেকে আনলেন এবং এই সবকিছুর সমন্বয় করে একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রণয়ন করতে অনুরোধ করলেন। এর ফলে ইমাম মালিক (রহ) তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আল মুয়াত্তা’ রচনা করেন। এতে খলিফা আল মনসুর খুবই খুশি হলেন। তিনি এটাকে সকল মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক আইনে পরিণত করতে চাইলেন। এতে ইমাম মালিক (রহ) আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তিনি এ রকম কিছু না করার জন্যে খলিফাকে অনুরোধ করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল – মহানবীর (সা) সাহাবীরা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছেন এবং তাঁরা ব্যাপক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তাঁরা লোকজনকে পরিস্থিতির আলোকে উপযুক্ত পন্থা বেছে নেয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন।...

...ধর্মীয় ইবাদত পালনে বল প্রয়োগের মধ্যে কোনো ফায়দা নেই। রাষ্ট্রীয় পেশিশক্তির মাধ্যমে আল্লাহর অবাধ্য বান্দাদের মুনাফিকে পরিণত করার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। মানুষকে স্বাধীন হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষের বাহ্যিক কিছু দিককে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও তাদের অন্তরের অবস্থা ও দৃঢ় বিশ্বাসকে পরিবর্তন করা অসম্ভব।...

...মদিনার সংবিধানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ধর্ম ও রাজনৈতিকতার মধ্যে পার্থক্য, যা বর্তমানকালের রাষ্ট্র ও ধর্মের পৃথকীকরণ ধারণার সাথে সংগতিপূর্ণ। মোহাম্মদ সালিম আল আওয়া এবং মোহাম্মদ ওমরের মতো খ্যাতনামা স্কলারগণ এই অভিমত দিয়েছেন।...

...কৃষি, শিল্প, সরকার পরিচালনার পদ্ধতির মতো বিষয় সম্পর্কে ব্যবহারিক নির্দেশনা প্রদান ধর্মের কাজ নয়। কারণ অভিজ্ঞতার আলোকে সত্যে উপনীত হতে যুক্তিবোধই যথেষ্ট। ধর্মের ভূমিকা হলো মানুষের অস্তিত্ব, উৎপত্তি, গন্তব্য এবং সৃষ্টির উদ্দেশ্য ইত্যাদি সম্পর্কিত গভীর প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া। ধর্মের আরেকটা কাজ হলো কিছু মূল্যবোধ ও মূলনীতি প্রদান করা। এগুলো আমাদের চিন্তা, আচরণ এবং রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়নে নির্দেশনা প্রদান করবে।...

...নির্বাচন ও গণতন্ত্রই হচ্ছে এখন পর্যন্ত অনুসরণীয় মানবজাতির জন্যে সর্বাধিক কার্যকর ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতির নেতৃত্ব গড়ে ওঠে এবং ব্যক্তিচিন্তার পরিবর্তে সামষ্টিক মতামত প্রাধান্য লাভ করে।...

...আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্যে মুসলমানদের প্রয়োজন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। ইসলামে যে ‘শুরা’র ধারণা রয়েছে, তার সঠিক মূল্যায়ন করতে এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।...

...রাষ্ট্রের কবল থেকে ধর্মের মুক্তি এবং ধর্মের উপরে আধিপত্য করা থেকে রাষ্ট্রকে বিরত রাখাই আমাদের প্রেক্ষাপটে বিবেচ্য বিষয়।...
https://cscsbd.com/1240

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আল্লামা জালাল উদ্দিন রূমির বাণী ও কবিতা

ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে। ১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন) ২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন) ৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য) ৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা) ৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি) আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো – "অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।" [১৭ ডিসেম্বর রূমির 'শবে আরুস'। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]

মাথায় রুমাল দেয়া কি মাদানী হুজুর হবার লক্ষণ? নাকি ইহুদি হবার লক্ষণ?

এক তথাকথিত সালাফী মাদানী হুজুর নিজেকে ছাড়া আর সবাইকে ভ্রান্ত মনে করেন। অথচ, নিজেই ইহুদিদের মতো মাথায় রুমাল দিয়ে ওয়াজ করেন। মাথায় রুমাল দেয়ার বিরুদ্ধে যেসব সহীহ হাদিস আছে, তা কি তিনি দেখননি? দলীল – ১ يَتْبَعُ الدَّجَّالَ مِنْ يَهُودِ أَصْبَهَانَ، سَبْعُونَ أَلْفًا عَلَيْهِمُ الطَّيَالِسَةُ দাজ্জালের বাহিনীতে ৭০ হাজার ইহুদী থাকবে, যাদের মাথায় চাদর বা রুমাল থাকবে। সহীহ মুসলিম, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ২৯৪৪ দলীল – ২ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الخُزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: نَظَرَ أَنَسٌ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَرَأَى طَيَالِسَةً، فَقَالَ: «كَأَنَّهُمُ السَّاعَةَ يَهُودُ خَيْبَرَ» আনাস ইবনু মালিক (রা) জুমার দিনে মসজিদের মধ্যে সমবেত মানুষের দিকে তাকালেন। তিনি অনেকের মাথায় রুমাল দেখতে পান। তখন তিনি বলেন, এরা এখনো ঠিক খাইবারের ইহুদীদের মত। সহীহ বুখারী, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ৪২০৮ দলীল – ৩ قال رسول الله – صلى الله عليه وسلم – : ” قال لقمان لابنه وهو يعظه : يا بني إياك والتقنع ، فإنها مخوفة بالليل مذلة بالنهار রাসূল (স) ...

আহলে কোর'আনের কিছু প্রশ্ন ও তার জবাব - ২

মোহাম্মদ Junaid ভাইয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর। ১) ইমামদেরকে standard মানতে হবে কেন? - ইমামদেরকে আমরা প্লেটো বা এরিস্টটলের মতো জ্ঞানী, স্কলার ও আলেম মনে করি, standard নয়। ২) ওনাদের status কী? - পৃথিবীর হাজার হাজার স্কলারের মাঝে ইমামরাও অন্তর্ভুক্ত। ৩) ওনাদের কি সুসংবদ্ধ চিন্তা ছিল? - জ্বী, উনাদের কাজ-ই ছিলো চিন্তাকে ফ্রেম দেওয়া। ৪) ওনাদের রচনাসমগ্ৰ কি সুলভ? - দুর্ভাগ্য আমাদের। বাংলা ভাষায় উনাদের বই পুস্তক অনুবাদ হয়নি। কিন্তু, উনাদের প্রচুর বই আছে, যা আমরা জানি না। ৫) প্রামাণিকতা প্রশ্নাতীত? - জী। ৬) বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা তো প্রবহমান নদীর মতো। পুরা যুগের কারো পায়রবিতে আটকে থাকতে হবে কেন? - নদী যেমন তার উৎসের সাথে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করতে চায় না, তেমনি আমরাও আমাদের অতীতের সকল জ্ঞানের উৎসের সাথে বাঁধ নির্মাণ করতে চায় না। বরং আমাদের জ্ঞানের উৎসে যাবার রাস্তা খোলা রাখতে চাই। ৭) জ্ঞানের পরিমাপক কী? - একজন মানুষ তার সময়ের কতগুলো সমস্যার সমাধান দিতে পেরেছেন, সেটাই তার জ্ঞানের পরিমাপক। ৮) ওনারা কি কিয়ামত দিবসে আমাদের কাজের দায়দায়িত্ব গ্ৰহণ করবেন? - অবশ্যই না। তবে, পৃথিবীকে জানা...