সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আমাদের বিয়ের প্রস্তাব পত্র

ক'দিন পরেই আমাদের বিয়ের এক বছর পূর্ণ হবে। বিয়ের আগে আমি তাঁকে সরাসরি দেখতে পারিনি। তাই ইনবক্সেই আমাদেরকে কথা বলতে হয়েছিলো। উনার সাথে আমার যে কথা হয়েছিলো, তা সাহস করে প্রকাশ করে দিলাম।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

(তিনি সালামের উত্তর দিয়েছেন।)

আপনাকে বিরক্ত করছি বলে এই অধমের বেয়াদবি মাফ করবেন। ইচ্ছা করে কাউকে কখনো বিরক্ত করি নি, কিন্তু এখন ‘অন্যকে’ বিরক্ত করার এক বিশাল ‘দায়িত্ব’ আমার মাথার উপর এসে ভর করে আছে। ঐ যে আরবি প্রবাদটা, অপেক্ষা মৃত্যুর চেয়ে সহজ। আমার অনেকগুলো কথা অপেক্ষা করছে আপনাকে বিরক্ত করার জন্যে। আপনি অনুমতি, সাহস ও নির্ভয় দিলে আপনাকে কিছু বিরক্ত করবো।

(তিনি অনুমতি দিয়েছেন।)

অনুমতি পেয়ে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি প্রভুর নিকট। আমার যে কথাগুলো আপনাকে বিরক্ত করবে, তা পয়েন্ট আকারে বলছি। প্রতিটি পয়েন্টে পৃথক পৃথক মন্তব্য আমাকে জানালে কৃতজ্ঞ হবে এই অধম।

বিরক্তি নং – ১।

দূর থেকে মানুষ আমাকে ভাবে আমি রোবট। রোবটের মত কাজ করি, কথা বলি। কিন্তু, সত্যি বলতে, আল্লাহ তায়ালা আমাকে দিয়েছেন একটি হৃদয়। আমি হৃদয়হীন নই। আমার হৃদয়টি তাঁদের জন্যে উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছে, যাদেরকে ভালোবাসতে বলেছেন স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল। আমি একজন ভালোবাসার মানুষের সন্ধান করছি। আশা করি, অনুগ্রহ করে, আপনি আমাকে সেই অনুসন্ধানে সহযোগিতা করবেন।

বিরক্তি নং – ২।

ভালোবাসা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নিয়ামত। আমরা মানুষকে কেবল আল্লাহর জন্যেই ভালোবাসি, এবং, কেবল আল্লাহর জন্যেই কাউকে ঘৃণা করি।

কিন্তু,

সমাজের অধিকাংশ মানুষ এমন না। তারা একে অপরকে ভালোবাসে টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ ও সৌন্দর্যের জন্যে। অথচ, এই অধমের কাছে টাকা-পয়সা ও সৌন্দর্য কিছুই নেই। এই অধম কেবল আল্লাহকে ভালোবাসে, অনেক বেশি, এতটুকুই তার আছে ।

তাই,

অধমের জন্যে কেউ কোনো কিছু ত্যাগ করতে চাইলে, তার বিনিময়ে ভালোবাসা ছাড়া অন্য কিছু দেয়ার মত নূন্যতম সমর্থ এই অধমের নেই।

যদিও বাংলায় একটি প্রবাদ আছে,

“অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়”। এ প্রবাদটি কতটুকু সত্যি তা আমি জানি না। তবে, আমি বিশ্বাস করি, যারা আল্লাহর জন্যে কাউকে ভালোবাসবে, তারা অর্থনৈতিক অভাব-অনটনের কারণে কখনোই পালিয়ে যাবে না।

বরং,

ব্যবসায়ী খাদিজা (রা) যেমন ইয়াতিম রাসূলের অভাব-অনটনের সময়েও তাঁর কাছে ছিলেন, তেমনি একজন ব্যবসায়ীর মেয়েও আমার মত এই অধমের অভাব-অনটনে আমার পাশে থাকবে, আমি এই আশা করি।

জানি,

অভাব-অনটন সহ্য করা খুব সহজ নয়। রাসূল (স) এর কয়েকজন স্ত্রী পর্যন্ত অভাব-অনটন সহ্য করতে না পেরে রাসূল (স)-কে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু, কোর’আনে বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা কোন মানুষকে অভাব-অনটনের কষ্ট সহ্য করা ছাড়া জান্নাত প্রদান করবেন না। [২/১১৪]

আমি এমন একজনকে আমার ভালোবাসার মানুষ হিসাবে চাই, যিনি আমার অর্থনৈতিক অসহায়ত্বকে মেনে নিয়েই আমার জীবনসঙ্গিনী হতে চাইবেন।

এ ক্ষেত্রে আপনার মতামত কি?

বিরক্তি নং – ৩।

পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষ জন্ম গ্রহণ করে কেবল মৃত্যু বরণ করার জন্যে। খুব অল্প সংখ্যক মানুষ-ই পৃথিবীতে কিছু রেখে যেতে পারে। আমি এই অধম সেই অল্প সংখ্যক মানুষদের একজন হতে চাই। অর্থাৎ, পৃথিবীকে নিয়ে ভাবতে চাই, এবং পৃথিবীর জন্যে কিছু লিখতে চাই। পড়াশুনা করা ও লেখালেখি করা আমার কাছে নেশার মত। অবশ্যই তা ইসলামের জন্যে।

লেখালেখি যারা করেন, তারা খুব বেশি অর্থ উপার্জন করার সময় পান না। ফলে, অধিকাংশ সময়ে দারিদ্রতাকেই তারা সুখ মনে করেন। যেমন, কাজী নজরুল, ফররুখ আহমেদ, মতিউর রহমান মল্লিক বা আল মাহমুদ, তারাও ছিলেন এমনি।

ইসলামের জন্যে আমি আমার জীবনকে উৎসর্গ করে দিতে চাই। ফলে, টাকা-পয়সা উপার্জনের চেয়ে ইসলামের জন্যে কিছু করাই আমার কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

আমি এমন একজন ভালোবাসার মানুষ চাই, যিনি আমার এই লক্ষ্যের সাথে একমত পোষণ করে আমাকে মানসিকভাবে সাহায্য করার জন্যে এগিয়ে আসবেন। অর্থাৎ, তাঁর কষ্ট হলেও তিনি আমাকে পড়াশুনা ও লেখালেখির জন্যে উৎসাহ প্রদান করবেন।

বিরক্তি নং – ৪।

সত্যিকার বন্ধু সে, যে তাঁর বন্ধুকে আল্লাহর কাছে নিয়ে যায়। সত্যিকার ভালোবাসা তাই, যা মানুষকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়।

মানুষ হিসাবে আমরা কেউ-ই ভুলের ঊর্ধ্বে নই। আমার ভুলগুলো আমার সঙ্গিনী আমাকে ধরিয়ে দিবেন, তা আমি মনেপ্রাণে চাই। কারণ, আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করার আগে যদি আমার ভালোবাসার মানুষটি আমার ভুলের ব্যাপারে আমাকে সতর্ক করেন, তাহলে তা হবে আমার নাজাতের উসিলা।

এ কারণে, আমি চাই, আমার জীবনসঙ্গিনীর সাথে সদা-সর্বদা সত্য করা বলতে। যদিও সত্য কথা কখনো কখনো অপ্রিয় হয়ে যায়। কিন্তু, আল্লাহর জন্যে যারা পরস্পরকে ভালোবাসে, তাঁদের কাছে সত্য অপ্রিয় হলেও গ্রহণীয়।

আমি এমন একজনকে জীবনসঙ্গিনী করতে চাই, যিনি কেবল দুনিয়ায় নয়, আখিরাতের আমার সঙ্গিনী হতে পারেন। এ জন্যে, কখনো কখনো হয়তো এই অধমের জীবনসঙ্গীকে অনেক ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

বিরক্তি নং – ৫।

পৃথিবীতে আমরা সবাই দাসত্ব করি একমাত্র আল্লাহ তায়ালার। কোনো মানুষ অন্য কোনো মানুষের দাসত্ব মেনে নেয়া কুফরি। স্বামী যদি স্ত্রীর দাসত্ব মেনে নেয় তা যেমন কুফরি, স্ত্রী যদি স্বামীর দাসত্ব মেনে নেও, তাও কুফরি।

কিন্তু,

আল্লাহ তায়ালা আমাদের বলেছেন, ভালো কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করার জন্যে। [৫/২]। আমি একজন ভালোবাসার মানুষ চাই, যিনি আমাকে নিঃস্বার্থভাবে কেবল আল্লাহর জন্যেই সহযোগিতা করবেন।

যেমন,

আমার আব্বু-আম্মুকে দেখাশুনা করার দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালা কেবল আমাকেই দিয়েছেন। কিন্তু, আমি এমন একজন জীবনসঙ্গিনীকে চাই, যিনি আমার এ দায়িত্বে আমাকে সহযোগিতা করবেন। এ কাজের বিনিময়ে আমি আমার জীবনসঙ্গীকে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারব না। আমার সেই সমর্থ নেই।

এ অধমকে উপরোক্ত সহযোগিতা করতে আপনি ইচ্ছুক কিনা?

বিরক্তি নং – ৬।

আপনার ছবি দেখে মনে হয়েছে, আপনি অনেক সুন্দরী, মাশাল্লাহ। বিভিন্ন মানুষের কাছে শুনেছি, আপনি অনেক মেধাবী, বুদ্ধিমতী ও গুণবতী। আমি যতদূর শুনেছি ও বুঝেছি, তাতে মনে হয়েছে, আমি কোনো ভাবেই আপনার জন্যে যোগ্য কেউ নই। এ কারণে আমার ভীষণ ভয় হয় যে, অযোগ্য ও আনস্মার্ট এ ছেলেটিকে যদি কেউ কেবল আল্লাহর জন্যে ভালো না বাসে, তাহলে এই অধমের জীবনে অনেক বড় বিপদ নেমে আসবে।

আমি নিজে অহংকারকে প্রচুর অপছন্দ করি। আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত দোয়া করি, আমার জীবনসঙ্গিনী যেন নিরহংকারী একজন মানুষ হয়। যেমনটা রাসূল (স) বলেছেন, “যার অন্তরে একবিন্দু অহংকার থাকে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না”, ঠিক তেমনি আমার কাছে মনে হয়, যার অন্তরে অহংকার থাকে সে ভালোবাসা কি জিনিস তা বুঝে না।

আল্লাহ আমাকে অহংকার মুক্ত একজন জীবনসঙ্গিনী দান করুক, যিনি আমাকে নিঃস্বার্থভাবে কেবল আল্লাহর জন্যেই ভালোবাসবেন।

আপনি কি এই অধমের জন্যে এমন একজন হবেন, যে কেবল আল্লাহর জন্যেই ভালোবাসবে?

বিরক্তি নং – ৭।

মানুষের কতো কতো স্বপ্ন থাকে। আমারও আছে হাজারটা স্বপ্ন, কবুল করার মালিক তো কেবল তিনি।

একটি স্বপ্ন হলো এমন,

বিয়ের কাবিন বা মোহর হিসাবে কিছু দেয়ার সমর্থ তো এখন আমার একেবারেই নেই। কিন্তু, যদি কখনো সমর্থ হয়, তাহলে মক্কায় আল্লাহর ঘরটি দেখে আসার টিকেট হবে আমাদের কাবিন বা মোহর।

দ্বিতীয় স্বপ্নটি হলো এমন,

আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে খুব দ্রুত আমাদের সন্তান চাইবো। আল্লাহ তায়ালা যদি আমাদেরকে সন্তান দান করেন, তাহলে তারা যাতে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী মানুষ হতে পারে, আমরা উভয়ে সেই জন্যে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে থাকব।

বাকি স্বপ্নগুলো না হয় পরেই বলি…।

হুম, এবার আপনার কথা শুনছি...

(এরপর তিনি আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন। এবং আমি তাঁর উত্তর পড়ে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে বিয়ে করি।)

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আল্লামা জালাল উদ্দিন রূমির বাণী ও কবিতা

ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে। ১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন) ২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন) ৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য) ৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা) ৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি) আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো – "অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।" [১৭ ডিসেম্বর রূমির 'শবে আরুস'। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]

মাথায় রুমাল দেয়া কি মাদানী হুজুর হবার লক্ষণ? নাকি ইহুদি হবার লক্ষণ?

এক তথাকথিত সালাফী মাদানী হুজুর নিজেকে ছাড়া আর সবাইকে ভ্রান্ত মনে করেন। অথচ, নিজেই ইহুদিদের মতো মাথায় রুমাল দিয়ে ওয়াজ করেন। মাথায় রুমাল দেয়ার বিরুদ্ধে যেসব সহীহ হাদিস আছে, তা কি তিনি দেখননি? দলীল – ১ يَتْبَعُ الدَّجَّالَ مِنْ يَهُودِ أَصْبَهَانَ، سَبْعُونَ أَلْفًا عَلَيْهِمُ الطَّيَالِسَةُ দাজ্জালের বাহিনীতে ৭০ হাজার ইহুদী থাকবে, যাদের মাথায় চাদর বা রুমাল থাকবে। সহীহ মুসলিম, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ২৯৪৪ দলীল – ২ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الخُزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: نَظَرَ أَنَسٌ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَرَأَى طَيَالِسَةً، فَقَالَ: «كَأَنَّهُمُ السَّاعَةَ يَهُودُ خَيْبَرَ» আনাস ইবনু মালিক (রা) জুমার দিনে মসজিদের মধ্যে সমবেত মানুষের দিকে তাকালেন। তিনি অনেকের মাথায় রুমাল দেখতে পান। তখন তিনি বলেন, এরা এখনো ঠিক খাইবারের ইহুদীদের মত। সহীহ বুখারী, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ৪২০৮ দলীল – ৩ قال رسول الله – صلى الله عليه وسلم – : ” قال لقمان لابنه وهو يعظه : يا بني إياك والتقنع ، فإنها مخوفة بالليل مذلة بالنهار রাসূল (স) ...

আহলে কোর'আনের কিছু প্রশ্ন ও তার জবাব - ২

মোহাম্মদ Junaid ভাইয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর। ১) ইমামদেরকে standard মানতে হবে কেন? - ইমামদেরকে আমরা প্লেটো বা এরিস্টটলের মতো জ্ঞানী, স্কলার ও আলেম মনে করি, standard নয়। ২) ওনাদের status কী? - পৃথিবীর হাজার হাজার স্কলারের মাঝে ইমামরাও অন্তর্ভুক্ত। ৩) ওনাদের কি সুসংবদ্ধ চিন্তা ছিল? - জ্বী, উনাদের কাজ-ই ছিলো চিন্তাকে ফ্রেম দেওয়া। ৪) ওনাদের রচনাসমগ্ৰ কি সুলভ? - দুর্ভাগ্য আমাদের। বাংলা ভাষায় উনাদের বই পুস্তক অনুবাদ হয়নি। কিন্তু, উনাদের প্রচুর বই আছে, যা আমরা জানি না। ৫) প্রামাণিকতা প্রশ্নাতীত? - জী। ৬) বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা তো প্রবহমান নদীর মতো। পুরা যুগের কারো পায়রবিতে আটকে থাকতে হবে কেন? - নদী যেমন তার উৎসের সাথে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করতে চায় না, তেমনি আমরাও আমাদের অতীতের সকল জ্ঞানের উৎসের সাথে বাঁধ নির্মাণ করতে চায় না। বরং আমাদের জ্ঞানের উৎসে যাবার রাস্তা খোলা রাখতে চাই। ৭) জ্ঞানের পরিমাপক কী? - একজন মানুষ তার সময়ের কতগুলো সমস্যার সমাধান দিতে পেরেছেন, সেটাই তার জ্ঞানের পরিমাপক। ৮) ওনারা কি কিয়ামত দিবসে আমাদের কাজের দায়দায়িত্ব গ্ৰহণ করবেন? - অবশ্যই না। তবে, পৃথিবীকে জানা...