১
প্রতিটি সূফী আলেম, কিন্তু প্রতিটি আলেম সূফী নন। প্রতিটি প্রজ্ঞাবান জ্ঞানী, কিন্তু প্রতিটি জ্ঞানী প্রজ্ঞাবান নয়। জ্ঞানী ও আলেমদের উপরের সিঁড়ির নাম সূফী ও প্রজ্ঞাবান।
জ্ঞানহীন সূফীবাদ ভণ্ডামি, এবং কর্মহীন জ্ঞান মূল্যহীন।
২
আলেম ও সূফীদের মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য হলো - আলেমগণ ইসলামের থিউরি-তত্ত্ব বা ফতোয়া দিয়ে থাকেন, কিন্তু সে তত্ত্ব বা ফতোয়াটি কতটা প্রয়োগ যোগ্য, তা তারা ভাবেন না। অন্যদিকে সূফীগণ সবসময় চেষ্টা করেন, কিভাবে ইসলামকে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করা যায়। সূফীদের কাছে তত্ত্ব, থিউরি বা ফতোয়ার গুরুত্ব কম।
যেহেতু আলেমগণ তত্ত্ব বা ফতোয়া দেয়ার কাজকেই প্রধান কাজ মনে করেন, তাই তাঁরা ফতোয়া নিয়ে বেশি পড়ে থাকেন। ফলে, কার ফতোয়া সহীহ, কার ফতোয়া দুর্বল, এসব নিয়ে আলোচনা করেন আলেমগণ।
অন্যদিকে, সূফীদের কাছে যেহেতু ইসলামের প্রায়োগিক দিকটি প্রধান, তাই তাঁরা ফতোয়ার উপর কম নির্ভর করেন। মানুষ কোন কাজটি সহজে করতে পারবেন, তা চিন্তা করাই সূফীদের কাজ।
যেমন ধরুন, একজন আলেম ও একজন সূফী উভয়ে চান, মানুষ যিনা না করুক।
একজন আলেম শুরুতেই মানুষকে বলবে, "যিনা করা হারাম, সুতরাং যিনা করা যাবে না।" কিন্তু, একজন সূফী শুরুতেই যিনা করা হারাম কথাটা না বলে যে কারণে লোকটি যিনা করে তা আস্তে আস্তে দূর করার চেষ্টা করেন।
৩
ইবনে আরাবিকে কাফির বলা হয় তাঁর "ওহদাতুল ওজুদ" তত্ত্বের জন্য। অথচ, শায়খুল আকবর ইবনে আরাবি তাঁর কোনো লিখায় "ওহদাতুল ওজুদ" শব্দটি ব্যবহার করেননি।
৪
কোনো জিনিস চোখের খুব দূরে হলে আমরা দেখি না, আবার চোখের খুব কাছে হলেও আমরা দেখি না। আল্লাহ আমাদের খুব দূরে বলে আমরা আল্লাহকে দেখি না, তা নয়; বরং আল্লাহ আমাদের খুব কাছে বলেই আমরা আল্লাহকে দেখি না।
৫
রাসূল (স) কাফিরদেরকে এক এক করে মুসলিম বানিয়েছেন। আর আমরা মুসলিমদেরকে এক এক করে কাফের বানাই।
৬৭৮৯১০১১১২১৩১৪১৫
প্রতিটি সূফী আলেম, কিন্তু প্রতিটি আলেম সূফী নন। প্রতিটি প্রজ্ঞাবান জ্ঞানী, কিন্তু প্রতিটি জ্ঞানী প্রজ্ঞাবান নয়। জ্ঞানী ও আলেমদের উপরের সিঁড়ির নাম সূফী ও প্রজ্ঞাবান।
জ্ঞানহীন সূফীবাদ ভণ্ডামি, এবং কর্মহীন জ্ঞান মূল্যহীন।
২
আলেম ও সূফীদের মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য হলো - আলেমগণ ইসলামের থিউরি-তত্ত্ব বা ফতোয়া দিয়ে থাকেন, কিন্তু সে তত্ত্ব বা ফতোয়াটি কতটা প্রয়োগ যোগ্য, তা তারা ভাবেন না। অন্যদিকে সূফীগণ সবসময় চেষ্টা করেন, কিভাবে ইসলামকে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করা যায়। সূফীদের কাছে তত্ত্ব, থিউরি বা ফতোয়ার গুরুত্ব কম।
যেহেতু আলেমগণ তত্ত্ব বা ফতোয়া দেয়ার কাজকেই প্রধান কাজ মনে করেন, তাই তাঁরা ফতোয়া নিয়ে বেশি পড়ে থাকেন। ফলে, কার ফতোয়া সহীহ, কার ফতোয়া দুর্বল, এসব নিয়ে আলোচনা করেন আলেমগণ।
অন্যদিকে, সূফীদের কাছে যেহেতু ইসলামের প্রায়োগিক দিকটি প্রধান, তাই তাঁরা ফতোয়ার উপর কম নির্ভর করেন। মানুষ কোন কাজটি সহজে করতে পারবেন, তা চিন্তা করাই সূফীদের কাজ।
যেমন ধরুন, একজন আলেম ও একজন সূফী উভয়ে চান, মানুষ যিনা না করুক।
একজন আলেম শুরুতেই মানুষকে বলবে, "যিনা করা হারাম, সুতরাং যিনা করা যাবে না।" কিন্তু, একজন সূফী শুরুতেই যিনা করা হারাম কথাটা না বলে যে কারণে লোকটি যিনা করে তা আস্তে আস্তে দূর করার চেষ্টা করেন।
৩
ইবনে আরাবিকে কাফির বলা হয় তাঁর "ওহদাতুল ওজুদ" তত্ত্বের জন্য। অথচ, শায়খুল আকবর ইবনে আরাবি তাঁর কোনো লিখায় "ওহদাতুল ওজুদ" শব্দটি ব্যবহার করেননি।
৪
কোনো জিনিস চোখের খুব দূরে হলে আমরা দেখি না, আবার চোখের খুব কাছে হলেও আমরা দেখি না। আল্লাহ আমাদের খুব দূরে বলে আমরা আল্লাহকে দেখি না, তা নয়; বরং আল্লাহ আমাদের খুব কাছে বলেই আমরা আল্লাহকে দেখি না।
৫
রাসূল (স) কাফিরদেরকে এক এক করে মুসলিম বানিয়েছেন। আর আমরা মুসলিমদেরকে এক এক করে কাফের বানাই।
৬৭৮৯১০১১১২১৩১৪১৫