সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইবনে খালদুন সম্পর্কে এরদোয়ান

 

"কেবল পশ্চিমা বিশ্বে নয়, আমাদের দেশেও, বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান বিভাগগুলোতে সচেতনভাবে ইবনে খালদুনকে গোপন করা হয়। ছোটখাটো সমাজবিজ্ঞানী থেকে শুরু করে অগাস্ট কোৎ এর মতো সমস্যাজনক সমাজবিজ্ঞানীদেরকেও যতটা গুরুত্ব দেয়া হয়, ততটা গুরুত্ব ইবনে খালদুনকে দেয়া হয় না। ইবনে খালদুনকে যথাযথ মূল্যায়ন করা তো দূরে থাক, বরং ইবনে খালদুনকে গোনায় ধরা হয় না। আমাদের বুদ্ধিজীবীদের কেবলা পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে। তারা পশ্চিমাদেরকে জ্ঞানের একমাত্র উৎস মনে করেন। অথচ, ইতিহাসের প্রজ্ঞাকে যিনি উন্মুক্ত করেছেন, সেই ইবনে খালদুনকে তারা চিনে না। আসলে ইবনে খালদুন হলো ইতিহাস, দর্শন ও সমাজবিজ্ঞানে পরিপূর্ণ একটি সভ্যতার প্রতীক। এ কারণে ইচ্ছেকৃতভাবে আমাদের বুদ্ধিজীবীরা ইবনে খালদুনকে নাই করে দিতে চান।"

https://www.tccb.gov.tr/haberler/410/75263/medeniyet-birikimiyle-irtibatini-koparan-bir-ulke-fikr-kurakliga-maruz-kalir?fbclid=IwAR3fd3z2rRZJhyyk_nC1U99nMyv1RS9G3JkOLhByLBWsMFEoNCAZETtpl5Y

 

৬৫০ বছর পূর্বে ইবনে খালদুনের বলা আসাবিয়্যাহ (সংঘবদ্ধতা), উমরান (সভ্যতা), বিদাওয়াত (البداوة/গ্রাম), হাদারাত (الحضارة/শহর) এবং মুলক (রাষ্ট্র) সম্পর্তিক তত্ত্বগুলো আজো সমাজবিজ্ঞানের মৌলিক ধারণা হিসাবে বিবেচিত হয়।

- এরদোয়ান।

İbn Haldun’un 650 yıl önce ifade ettiği asabiye, umran, bedavet, hadaret, mülk gibi mefhumlar, bugün de sosyal bilimlerin temel mefhumları arasındadır.

 

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, "মুহাম্মদ ইকবাল বলেন, ইবনে খালদুনের মুকাদ্দিমা গ্রন্থের রূহ হচ্ছে আল কোর'আন।"

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আল্লামা জালাল উদ্দিন রূমির বাণী ও কবিতা

ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে। ১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন) ২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন) ৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য) ৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা) ৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি) আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো – "অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।" [১৭ ডিসেম্বর রূমির 'শবে আরুস'। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]

মাথায় রুমাল দেয়া কি মাদানী হুজুর হবার লক্ষণ? নাকি ইহুদি হবার লক্ষণ?

এক তথাকথিত সালাফী মাদানী হুজুর নিজেকে ছাড়া আর সবাইকে ভ্রান্ত মনে করেন। অথচ, নিজেই ইহুদিদের মতো মাথায় রুমাল দিয়ে ওয়াজ করেন। মাথায় রুমাল দেয়ার বিরুদ্ধে যেসব সহীহ হাদিস আছে, তা কি তিনি দেখননি? দলীল – ১ يَتْبَعُ الدَّجَّالَ مِنْ يَهُودِ أَصْبَهَانَ، سَبْعُونَ أَلْفًا عَلَيْهِمُ الطَّيَالِسَةُ দাজ্জালের বাহিনীতে ৭০ হাজার ইহুদী থাকবে, যাদের মাথায় চাদর বা রুমাল থাকবে। সহীহ মুসলিম, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ২৯৪৪ দলীল – ২ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الخُزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: نَظَرَ أَنَسٌ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَرَأَى طَيَالِسَةً، فَقَالَ: «كَأَنَّهُمُ السَّاعَةَ يَهُودُ خَيْبَرَ» আনাস ইবনু মালিক (রা) জুমার দিনে মসজিদের মধ্যে সমবেত মানুষের দিকে তাকালেন। তিনি অনেকের মাথায় রুমাল দেখতে পান। তখন তিনি বলেন, এরা এখনো ঠিক খাইবারের ইহুদীদের মত। সহীহ বুখারী, মাকতাবায়ে শামেলা, হাদিস নং – ৪২০৮ দলীল – ৩ قال رسول الله – صلى الله عليه وسلم – : ” قال لقمان لابنه وهو يعظه : يا بني إياك والتقنع ، فإنها مخوفة بالليل مذلة بالنهار রাসূল (স) ...

আহলে কোর'আনের কিছু প্রশ্ন ও তার জবাব - ২

মোহাম্মদ Junaid ভাইয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর। ১) ইমামদেরকে standard মানতে হবে কেন? - ইমামদেরকে আমরা প্লেটো বা এরিস্টটলের মতো জ্ঞানী, স্কলার ও আলেম মনে করি, standard নয়। ২) ওনাদের status কী? - পৃথিবীর হাজার হাজার স্কলারের মাঝে ইমামরাও অন্তর্ভুক্ত। ৩) ওনাদের কি সুসংবদ্ধ চিন্তা ছিল? - জ্বী, উনাদের কাজ-ই ছিলো চিন্তাকে ফ্রেম দেওয়া। ৪) ওনাদের রচনাসমগ্ৰ কি সুলভ? - দুর্ভাগ্য আমাদের। বাংলা ভাষায় উনাদের বই পুস্তক অনুবাদ হয়নি। কিন্তু, উনাদের প্রচুর বই আছে, যা আমরা জানি না। ৫) প্রামাণিকতা প্রশ্নাতীত? - জী। ৬) বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা তো প্রবহমান নদীর মতো। পুরা যুগের কারো পায়রবিতে আটকে থাকতে হবে কেন? - নদী যেমন তার উৎসের সাথে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করতে চায় না, তেমনি আমরাও আমাদের অতীতের সকল জ্ঞানের উৎসের সাথে বাঁধ নির্মাণ করতে চায় না। বরং আমাদের জ্ঞানের উৎসে যাবার রাস্তা খোলা রাখতে চাই। ৭) জ্ঞানের পরিমাপক কী? - একজন মানুষ তার সময়ের কতগুলো সমস্যার সমাধান দিতে পেরেছেন, সেটাই তার জ্ঞানের পরিমাপক। ৮) ওনারা কি কিয়ামত দিবসে আমাদের কাজের দায়দায়িত্ব গ্ৰহণ করবেন? - অবশ্যই না। তবে, পৃথিবীকে জানা...