মুসলিমদের রাজনীতির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো রাষ্ট্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা। এখানে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা মানে, আদালত নামের একটি দালান তৈরি করা নয়, বরং রাষ্ট্রের সকল জনগণ তার ন্যায্য অধিকার পাওয়া।
এ কারণে, আবু বকর (রা) খলিফা হবার পর অল্প কয়েকটি বাক্যে “ইসলামী রাষ্ট্রের” বা মুসলিমদের পরিচালিত রাষ্ট্রের মূলনীতিগুলো বলে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন –
والضعيف فيكم قوي عندي حتى أريح عليه حقه إن شاء الله، والقوى فيكم ضعيف حتى آخذ الحق منه إن شاء الله،
“তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তি আমার কাছে সবচেয়ে শক্তিশালী, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তাঁর অধিকার ফিরিয়ে দিতে না পারি। এবং তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি আমার কাছে সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তি, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার থেকে অন্যের অধিকার না নিতে পারি।”
অর্থাৎ, আবু বকর (রা)-এর সূত্র হলো, শক্তি বা ক্ষমতার কারণে কেউ অতিরিক্ত অধিকার বা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।
কিন্তু, বর্তমানে আমাদের সমাজে তাকালে দেখবো, যাদের শক্তি ও ক্ষমতা বেশী, তাদের অধিকারও বেশী।
যেমন,
১) সাধারণ ছাত্রদের তুলনায় অবৈধ কোটার অধিকার বেশি।
২) গরীব মানুষের তুলনায় ধনী লোকদের অধিকার বেশি।
৩) উপজাতি বা আদিবাসীদের তুলনায় বাঙ্গালীদের অধিকার বেশি।
৪) জনগণের তুলনায় ক্ষমতাশীলদের অধিকার বেশি।
৫) নারীর তুলনায় পুরুষের অধিকার বেশি।
৬) কালো মানুষের তুলনায় সাদা মানুষের অধিকার বেশি।
৭) ধার্মিকদের তুলনায় সেক্যুলারদের অধিকার বেশি।
অর্থাৎ, আমাদের দেশের বর্তমান ব্যবস্থায় যাদের শক্তি ও ক্ষমতা বেশী, তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধাও বেশী। কিন্তু, একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে শক্তি বা ক্ষমতার কারণে কেউ কারো থেকে বেশী অধিকার ভোগ করার সুযোগ পাবে না।
এ কারণে, আবু বকর (রা) খলিফা হবার পর অল্প কয়েকটি বাক্যে “ইসলামী রাষ্ট্রের” বা মুসলিমদের পরিচালিত রাষ্ট্রের মূলনীতিগুলো বলে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন –
والضعيف فيكم قوي عندي حتى أريح عليه حقه إن شاء الله، والقوى فيكم ضعيف حتى آخذ الحق منه إن شاء الله،
“তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তি আমার কাছে সবচেয়ে শক্তিশালী, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তাঁর অধিকার ফিরিয়ে দিতে না পারি। এবং তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি আমার কাছে সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তি, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার থেকে অন্যের অধিকার না নিতে পারি।”
অর্থাৎ, আবু বকর (রা)-এর সূত্র হলো, শক্তি বা ক্ষমতার কারণে কেউ অতিরিক্ত অধিকার বা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।
কিন্তু, বর্তমানে আমাদের সমাজে তাকালে দেখবো, যাদের শক্তি ও ক্ষমতা বেশী, তাদের অধিকারও বেশী।
যেমন,
১) সাধারণ ছাত্রদের তুলনায় অবৈধ কোটার অধিকার বেশি।
২) গরীব মানুষের তুলনায় ধনী লোকদের অধিকার বেশি।
৩) উপজাতি বা আদিবাসীদের তুলনায় বাঙ্গালীদের অধিকার বেশি।
৪) জনগণের তুলনায় ক্ষমতাশীলদের অধিকার বেশি।
৫) নারীর তুলনায় পুরুষের অধিকার বেশি।
৬) কালো মানুষের তুলনায় সাদা মানুষের অধিকার বেশি।
৭) ধার্মিকদের তুলনায় সেক্যুলারদের অধিকার বেশি।
অর্থাৎ, আমাদের দেশের বর্তমান ব্যবস্থায় যাদের শক্তি ও ক্ষমতা বেশী, তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধাও বেশী। কিন্তু, একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে শক্তি বা ক্ষমতার কারণে কেউ কারো থেকে বেশী অধিকার ভোগ করার সুযোগ পাবে না।