সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গার্লফ্রেন্ড থাকলে সমস্যা কি?

মেয়ে বন্ধু নিয়ে চিন্তা করলে আর যাই হোক না কেন, বড় কোনো জ্ঞানী বা বিজ্ঞানী হওয়া যায় না।

এ কথাটা আমি বলিনি, বলেছেন – বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন।

আমাদের যেমন দু’একজন খারাপ বন্ধুবান্ধব থাকে, নিউটনেরও এমন দু’একজন খারাপ বন্ধু ছিল।


একবার, তারা নিউটনকে অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে একটি মদের হাউজে নিয়ে যায়। সেখান কিছু খারাপ মেয়েও ছিল। নিউটন অনেক কষ্টকরে কিছুক্ষণ থাকলেন।

কিন্তু, বের হয়ে এসে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন – ‘তিনি আর কখনো ঐসব খারাপ বন্ধুবান্ধবদের সাথে চলবেন না, এবং কখনো আর ঐসব মদের হাউজে প্রবেশ করবেন না’। কারণ হিসাবে নিউটন বলেছিলেন, ‘ঐসব খারাপ স্থানে গেলে তার পড়াশুনা ও চিন্তা-ভাবনা সব একেবারেই ধ্বংস হয়ে যায়’।

এরপর, নিউটন ঐসব খারাপ বন্ধুদের সঙ্গ ত্যাগ করে পড়াশুনায় ও ধর্ম পালনে মনোযোগী হন। কারণ, নিউটন ছিলেন খুবই ধার্মিক একজন মানুষ।

নিউটন সবসময় বলতেন –

“Truth is the Offspring of Silence and Unbroken Meditation.”
— Sir Isaac Newton, Keynes MS. 130, p. 7

অর্থাৎ, সত্য মানেই হলো নীরবতা এবং নিয়মিত-প্রাণবন্ত নামাজ।

এ প্রসঙ্গে, আল্লাহ তায়ালা বলেন,

قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّىَ ٱلْفَوَ‌ٰحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَٱلْإِثْمَ وَٱلْبَغْىَ بِغَيْرِ ٱلْحَقِّ وَأَن تُشْرِكُوا۟ بِٱللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِۦ سُلْطَـٰنًۭا وَأَن تَقُولُوا۟ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ

“আপনি বলুন, নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অশ্লীল বিষয়সমূহ, এবং অযৌক্তিক বিরোধিতাকে হারাম করেছেন। তিনি হারাম করেছেন আল্লাহর সাথে শিরক করাকে, যার কোনো প্রমাণ তিনি প্রেরণ করেননি। এবং তিনি হারাম করেছেন আল্লাহ সম্পর্কে এমন কথা বলা, যার জ্ঞান তোমাদের নেই”। [সূরা ৭/আরাফ – ৩৩]

আয়াতটি থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, কেউ আস্তিক বা নাস্তিক যাই হোক না কেন, সে যদি সত্য পেতে চায়, তাহলে অবশ্যই তাকে খারাপ আচরণ ও খারাপ বন্ধুবান্ধব ত্যাগ করতে হবে। এবং একইসাথে অযৌক্তিক বিরোধিতা করা থেকেও দূরে থাকতে হবে। তাহলেই কেবল শিরক-মুক্তভাবে মহা সত্যের জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হবে। বিজ্ঞানী নিউটন ঠিক তাই করেছিলেন।

[নিউটন সম্পর্কে এ তথ্যটি বিবিসি'র একটি ডকুমেন্টারিতে বলেছেন - নিউটন বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানী ড. রব ইলিফা]

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আল্লামা জালাল উদ্দিন রূমির বাণী ও কবিতা

ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে। ১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন) ২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন) ৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য) ৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা) ৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি) আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো – "অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।" [১৭ ডিসেম্বর রূমির 'শবে আরুস'। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]

সুফীদের জাহের ও বাতেনের সম্পর্ক

সুফিজমের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি শব্দ হলো জাহের ও বাতেন। জাহের মানে প্রকাশ্য, আর বাতেন মানে গোপন। সুফিদের মতে, প্রতিটি জিনিসের একটি অংশ থাকে প্রকাশ্য, এবং একটি অংশ থাকে অপ্রকাশ্য বা গোপন। যেমন, একটি গাছে প্রকাশ্য অংশ হলো গাছের কাণ্ড, পাতা, ফুল ও ফল; আর গাছের অপ্রকাশ্য অংশ হলো শিকড়। সূফীদের কাজ বাতেন বা গাছের শিকড় নিয়ে কাজ করা, আর ফকিরদের কাজ গাছের পাতা-ফুল-ফল ইত্যাদি নিয়ে কাজ করা। গাছের মতো মানুষের প্রতিটি কাজেরও দুটি অংশ রয়েছে। জাহের ও বাতেন। যেমন, কেউ নামাজ পড়ার সময় রুকু-সিজদা করাটা হলো জাহেরি কাজ; আর নামাজে খুশু-খুজু বা মনোযোগ ধরে রাখাটা হলো বাতেনি কাজ। নামাজে রুকু সেজদা ঠিক হয়েছে কি হয়নি, তা শিক্ষা দেন ফকিহগণ; আর নামাজে কিভাবে মনোযোগ ধরে রাখা যায়, তা শিক্ষা দেন সুফিগণ। নামাজে কেবল রুকু-সেজদা ঠিক মতো হলেই একজন মুফতি বলে দিবেন যে, নামাজ ঠিক হয়েছে। কিন্তু, একজন সুফি সূরা মাউনের ৪ ও ৫ নং আয়াত অনুযায়ী বলবেন যে, কেবল রুকু-সেজদা ঠিক মতো হলেই নামাজ হয়ে যায় না, নামাজে আল্লাহর প্রতি মনোযোগও থাকতে হবে। একইভাবে, ধরুন, আপনাকে আপনার প্রিয়া রাগ করে বললেন যে, "আমি আর তোমার কথা শুনতে চাই না...

হাতমোজা সমাচার

আমার আপু ইনবক্সে আমাকে একটা লেখা পাঠিয়েছেন। হাতমোজা নিয়ে অন্য একজনের লেখা । লেখার নিচে মন্তব্যগুলো পড়ে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে। ১। মুসলিমদের মহাসম্মেলনে অর্থাৎ হজ্জের সময়ে লাখো লাখো পুরুষের সামনে নারীরা হাতমোজা ও নিকাব পরেন না কেন? ২। নারীরা হাতমোজা ও নিকাব পরে যদি একেবারে ১০০% ঢেকে ফেলেন, তাহলে সূরা নূরের ৩০ নং আয়াতে পুরুষদেরকে দৃষ্টি নত করতে বলা হয়েছে কেন? ৩। সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “নারীদের যা প্রকাশ্য থাকার তা ব্যতীত” তাদের বক্ষদেশ আভরণ করার জন্যে। কিন্তু হাতমোজা দিয়ে ১০০% ঢেকে ফেললে নারীদের আর প্রকাশ্য থাকে কি? ৪। রাসূল (স) সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বলেছেন, “সহজ কর, কঠিন করো না”। কোনো নারী যদি হাতমোজা না পরতে চান, তাহলে তার জন্যে কঠিন কঠিন নিময় করার জন্যে কি রাসূল (স) বলেছেন? ৫। ঈমান ও তাকওয়া কি মানুষের হৃদয়ে থাকে না হাতে-পায়ে থাকে?